পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিনড়ব স্থানে বিক্ষোভ করেছেন বিভিনড়ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। গতকাল রোববার রাজধানীর শাহবাগ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রঅধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে বেলা ১১টা থেকে প্রায় এক ঘন্টা বিক্ষোভ করেন তারা।
ঘন্টাব্যাপি ওই কর্মসূচিতে রাজধানীর বিভিনড়ব প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁরা বিভিনড়ব প্লাকার্ডে ও স্লোগানে স্লোগানে তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এ সময় তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘নিয়োগে অভিনড়ব কার্ড মার্ক নিশ্চিত কর’, ‘নাতি পুতি কোটা বাতিল কর’, ‘১০% এর বেশি কোটা নয়’ ইত্যাদি দাবি লেখা দেখা যায়।
কর্মসূচিতে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। দাবিগুলো হলো: কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিনড়ব বয়সসীমা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।
বিক্ষোভে বলা হয়, ‘আমাদের এই আন্দোলন কোটার বিরুদ্ধে নয়, এটা কোটা সংস্কারের আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপড়ব দেখেছিলেন, বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা এর অন্তরায়। আমরা চাই কোটা সংস্কারের মাধ্যমে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া হোক।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভিনড়ব সময় কোটায় বিশেষ কোটা ছাড়াও ৫৬ শতাংশ কোটা থাকায় সাধারণ চাকরি-প্রত্যাশীরা বিভিনড়ব বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন। তারা জানান তাঁদের চারজনের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে কোটা সংস্কারের জন্য একটি আবেদনপত্র দিয়েছেন। আগামী ৩ মার্চের মধ্যে যদি তাঁদের ওই দাবি পূরণ না হয়, তাহলে ৪ মার্চ আবার কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করবেন তাঁরা।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি। গততাল দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী হাসান এই অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, কোটার বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রছাত্রীর ব্যানারে একটি অসাধু চক্র অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হচ্ছে।
যশোর ব্যুরো : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১ টার সময় সরকারি এম এম কলেজর সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, কোটা ব্যবস্থ্যার কারণে শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থান কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি করেছেন আন্দোলন কারী শিক্ষার্থীরা।
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট নগরীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। বেলা ১১টায় নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় বিভিনড়ব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় কোটা বৈষম্যের মধ্য দিয়ে মেধাবীদের জীবনের আশা-আকাঙ্কাকে গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে। এমন বৈষম্য কোন কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না।
জাবি সংবাদদাতা জানান, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এ স্লোগানে দেশে চলমান ৫৬% কোটা পদ্ধতির সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মানববন্ধটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবন থেকে জুবায়ের স্বরণী পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এক মত প্রকাশ করেন।
চবি সংবাদদাতা জানান, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা সংস্কারের ৫ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে “বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ” ব্যানারে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রাবি সংবাদদাতা জানান, চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও মেধার যথাযথ মূল্যায়নের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সাড়া বাংলাদেশে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। গতকাল রবিবার সকাল ১১ টায় বিশ^বিদ্যালয় প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মানববন্ধনে শেষে মৌন মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বাকৃবি সংবাদদাতা জানান, সারা দেশে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে ওই মানববন্ধন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।