Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধান শিক্ষক হয়েও পরিবার পরিকল্পনা ও প্রশিকায় চাকরি গ্রহণ!

৪টি জন্ম তারিখ নিয়ে দাখিল পাস

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ আমতলীতে ৪টি জন্ম তারিখ নিয়ে দাখিল ও এইচএসসি পাশ করে ভুয়া ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে থেকেও পরিবার পরিকল্পনা ও প্রশিকায় চাকুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমতলী উপজেলার পূর্ব-পশ্চিম চিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা: নাছরিন আক্তার। পিতা হাবিবুর রহমান তক্তাবুনিয়া নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার ইবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক পিতার বদৌলতে মোসা: নাছরিন আক্তারের ৪টি জন্ম তারিখ সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৩ সালে উত্তর পশ্চিম চিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে ভর্তিকালীন মোসা: নাছরিন আক্তারের জন্ম তারিখ দেয়া হয়েছে ০১-০১-১৯৯৩ইং, এইচবি চিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রিশন কার্ডে তার জন্ম তারিখ ০১-০১-১৯৯৪ ইং, উপজেলার ৪নং হলদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারিতে নিবন্ধিত জন্ম সনদে মোসা: নাছরিন আক্তারের জন্ম তারিখ ১০-০১-১৯৯৬ এবং তক্তাবুনিয়া নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০১১ সালের দাখিল পরীক্ষার সনদে মোসা: নাছরিন আক্তারের জন্ম তারিখ ১০-০২-১৯৯৬ ইং। এছাড়া ২০১৩ ইং সালে আমতলী থানায় তার পিতা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মেয়ে মোসা: নাছরিন আক্তারকে অপহরন ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে যে মামলা দায়ের করেন সেখানে মোসা: নাছরিন আক্তারের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ১৭ বছর। এসব জাল-জালিয়াতী ভুয়া জন্ম তারিখ নিয়ে মোসা: নাছরিন আক্তার এইচএসসি পাশ করার পর পিতা হাবিবুর রহমান পূর্ব পশ্চিম চিলা প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে ১টি ভূয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে মেয়েকে সেখানে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করে। জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পিতা হাবিবুর রহমান নিজেই। অপর ৪ জনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২-৩ লাখ করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ভুয়া ভূমিহীন সেজে ভূমি অফিস থেকে ৫৪(আম)১৯৯৫-৯৬ নং বন্দোবস্ত মূলে দেড় (১.৫০) একর জমি প্রাপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের নামে দান করে যা একটি প্রবহমান খাল, যাতে সবসময় ৬-৭ হাত পানি থাকে। যেখানে বিদ্যালয়ের কোন অস্তিত্ব নেই। অস্তিত্বহীন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা: নাছরিন আক্তার উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ১ম-৫ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২৫ সেট বিনা মূল্যের বই নিয়ে কেজি দরে বিক্রিয় করে। অপর দিকে মোসা: নাছরিন আক্তার ২০১৬ইং সালে ৫ এপ্রিল উল্লেখিত বিভিন্ন তারিখের জন্ম নিবন্ধন ও দাখিল পাশের সনদপত্রসহ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে পেইড ভলান্টিয়ার পদে আবেদন করে এবং ঐ পদে এখন সে চাকুরিরত আছে। পাশাপাশি সে বেসরকারী সংস্থা প্রশিকায় ও চাকুরী করে আসছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাকরি

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৭ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ