Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিফা দপ্তরে মঞ্জুর অভিযোগপত্র

প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান কমিটির দূর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ দিয়ে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন সাবেক তারকা ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু। তিনি গত ২৪ মার্চ এই অভিযোগপত্র পাঠান। মঞ্জুর দায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে ফিফা ওই দিনই তাকে ফিরতি মেইল পাঠায়। তারা মঞ্জুকে জানায়, ‘আপনার অভিযোগপত্র ফিফা দপ্তরে পৌঁছেছে। স্টার সানডে উপলক্ষ্যে ফিফা সদর দপ্তর বন্ধ থাকায় আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনি। তবে অফিস খোলার পর আপনার অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ফিফার কাছে পাঠানো মঞ্জুর অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বাফুফে বিগত তিন বছর সাধারণ সভা করেনি। তারা দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ঢাকার বাইরে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) করে অডিট রিপোর্ট অনুমোদন করিয়েছে। তিন বছরের অডিট রিপোর্টে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি রয়েছে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের নামে লাখ লাখ টাকা লোপাট হয়েছে। সিলেট বিকেএসপি ফুটবল একাডেমি, মিডিয়া ও পাবলিসিটি খাত, বঙ্গবন্ধু কাপ আয়োজন, কম্পিউটার ইকুইপমেন্ট, গাড়ির জ্বালানী, মহিলা ফুটবল ও ফিফার নিষিদ্ধ সভাপতি সেপ বøাটারের সফরকে পুঁজি করে কোটি কোটি লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ফিফার কাছে লেখা চিঠিতে মঞ্জু আরও বলেন, সবচেয়ে বড় দূর্ণীতি হলো সিলেট বিকেএসপির নামে দু’কোটি ৬৬ লাখ টাকা খরচ দেখানো। সিলেট বিকেএসপি বাফুফের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়ার পর ২০১২ সাল পর্যন্ত তা চালুই হয়নি। ওই বছর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের অর্থে প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ করে সিলেট বিকেএসপি সংস্কার করে বাফুফেকে বুঝিয়ে দেয়। ফিফার দেয়া অনুদান সাত লাখ ডলার এদিক সেদিক হয়েছে। দূর্নীতির ভয়াবহ চিত্র ফুটে ওঠেছে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ ফিফার সাবেক সভাপতি সেপ বøাটারের ঢাকা সফরের খরচের হিসাবে। তার একদিনের ঢাকা সফরে ৯০ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয় অডিট রিপোর্টে। বøাটারের একদিনের সফরে মিডিয়া ও পাবলিসিটি খাতে খরচ ৫৫ লাখ টাকা, আপ্যায়ন বাবদ সাড়ে চার লাখ টাকা ও উপহার সোয়া লাখ টাকা। অবাক কাÐ এই যে, বøাটারকে ভাতা ৯২ হাজার টাকা, টিএ/ডিএ এক লাখ আট হাজার টাকা দিয়েছে বাফুফে।
চিঠিতে মঞ্জু আরো বলেন, বাড্ডা জাগরনী সংসদের কোন সাধারণ সদস্য না হওয়া সত্বেও বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ট মাহফুজা আক্তার কিরনকে ডেলিগেট করিয়ে আনা হয়েছে। তার দাবী, সবচেয়ে আলোচিত দূর্নীতির উৎস হলো- ব্যাংক হিসাব থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ লেনদেন। প্রিমিয়ার ব্যাংকের মতিঝিল শাখার বাফুফের হিসাব পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২৩ ফেব্রæয়ারি ১৪ লাখ ৪১ হাজার, ১৫ ফেব্রæয়ারি সাত লাখ ৫ হাজার, ৩ ফেব্রæয়ারি আট লাখ, ১৪ জানুয়ারি ১০ লাখ টাকা নগদ তোলা হয়েছে। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি একই দিনে তিনটি চেকের মাধ্যমে ২৪ লাখ টাকা নগদ উঠানো হয় ব্যাংক থেকে।
মঞ্জু জানান তার অভিযোগপত্র পেয়ে অনেকটা নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গতকাল মঞ্জু বলেন, ‘আমি াংলাদেশের ফুটবলের ধ্বংস নয়, উন্নতি দেখতে চাই আমরা। এ জন্যই দেশের ফুটবল অঙ্গন থেকে বাজে লোকদের বিতাড়িত করতে হবে। ফুটবল না বাঁচলে আমাদেরও কোন মূল্য থাকবে না।’ এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের প্রতিক্রিয়া জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিফা দপ্তরে মঞ্জুর অভিযোগপত্র
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ