পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আদমদীঘি ( বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : ট্রেনের ছাদে উঠে প্রাণহানীর ঘটনা বাড়ছে। যাত্রী ও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রতি বছরই প্রাণ হারাচ্ছে ট্রেনের যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ট্রেনের ছাদে ওঠা যাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। প্রায় প্রতিদিনই ছাদে ওঠার অপরাধে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। তারপরেও কাজ হচ্ছে না। জানা গেছে, গতকাল বুধবার ভোরে নওগাঁ জেলাধীন রানীনগর স্টেশনে ওভারব্রিজের সাথে ধাক্কা খেয়ে কয়েকজন যাত্রী চলন্ত ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যায়। এর মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় আরও একজন। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দিনাজপুরগামী দ্রæতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি রানীনগর স্টেশন অতিক্রম করার সময় স্টেশনের ওভারব্রিজের সাথে ধাক্কা লাগায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। ৫ মাস আগে গত বছরের ৩১ আগস্ট একই ট্রেনে একই স্থানে ছাদ থেকে পড়ে একজন যাত্রী মারা যায়। সে সময় ঈদ উপলক্ষে ট্রেনে যাত্রীদের প্রচÐ চাপ ছিল।
সান্তাহার জিআরপি থানার ওসি আকবর হোসেন জানান, গতকাল রাত আনুমানিক ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী দ্রæতযান একপ্রেস ট্রেনের ছাদ থাকা কয়েকজন যাত্রী রানীনগরে স্টেশনের ওভারব্রিজের সাথে ধাক্কা খায়। এসময় নিচে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। ওসি বলেন, সকাল ৭টার দিকে সান্তাহার জিআরপি থানা পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতলে পৌঁছে দেওয়া হয়। নিহতরা হলেন দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড়হাসিমপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গির আলম (২২), একই জেলার পার্বতীপুর উপজেলার চৈতাপাড়া গ্রামের মুনির হোসেন (২২), নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মালিপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আমিনুল ইসলাম বুলবুল (২৯) ও পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী আপেল মাহমুদ (২৬)। তারা সবাই ঢাকা থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পুলিশ জানায়, গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত আপেল মাহমুদের পুরো ঠিকানা পাওয়া যায় নাই।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রানীনগর রেল স্টেশনের ওভারব্রিজটি অনেক পুরাতন। কয়েক বছর আগে রেললাইন সংস্কার করায় ব্রিজটি নিচু হয়ে গেছে। ট্রেনের ছাদে যাত্রী ঘাড় সোজা করে বসলেও ওই ব্রিজের সাথে ধাক্কা লাগে। আর দাঁড়িয়ে থাকলে তো কোনো কথাই নেই। রেলওয়ে সূত্র জানায়, দ্রæতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাটোর থেকে ছাড়ার পর সান্তাহার স্টেশনে দাঁড়ায়। সান্তারের আগেই রানীনগর স্টেশন। সেখানে ট্রেনটি না দাঁড়ানোর কারনে গতিবেগ অনেক বেশি থাকে। এতে করে যাত্রীরা একটু অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, ইদানিং ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বাড়ার সাথে সাথে ছাদে ভ্রমণ করার প্রবনতাও বেড়েছে। এ কারনে রেলের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিদিন জেল-জরিমানা করার পরেও ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। আর ঈদ এলে রেল পুলিশই দালালের মাধ্যমে যাত্রীদেরকে ছাদে ওঠার জন্য সিঁড়ি সরবরাহ করে থাকে।
নওগাঁ রানীনগর স্টেশনে একই ট্রেনে একই স্থানে পর পর দুটি দুর্ঘটনা ঘটার পর প্রশ্ন উঠেছে গত বছর দুর্ঘটনা ঘটার পর কর্তৃপক্ষ ওভার ব্রিজটি কেনো উঁচু করার উদ্যোগ নিল না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রানীনগর স্টেশনে হাতে গোনা কয়েকটা ট্রেন দাঁড়ায়। সেখানে ওভারব্রিজের কোনো প্রয়োজন নেই। এমনকি ওই ওভারব্রিজটি কেউ ব্যবহারও করে না। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি রেল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলেই ভেঙ্গে ফেলতে পারে। জানতে চাইলে রেল ভবনের একজন কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা খুব শিগগিরি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।