পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানুষ অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে আসে। তাই রোগীরা যাতে হতাশ হয়ে ফিরে না যায় সে চেষ্টা করতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘রোগীরা হাসপাতালের অতিথি। আপনাদের (চিকিৎসকদের) কোনো আচরণে তারা যেন মনে কষ্ট না পান, সে দিকে বিশেষ নজর দেবেন।’
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সনদপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আপনারা (চিকিৎসকরা) আজ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জাতির মূল্যবান মানবসম্পদ। আপনাদের এ পর্যায়ে নিয়ে আসতে সমাজ ও রাষ্ট্রের অপরিসীম অবদান রয়েছে। তাই সমাজের কাছে আপনাদের দায়বদ্ধতা সাধারণ জনগণের চেয়ে বেশি। আমার বিশ্বাস আপনাদের মেধা, মনন, চিকিৎসা ও মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে দেশের মানুষের সেবা প্রদান করবেন।’
সনদপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট বলেন, সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় দেখা যায় ভুল চিকিৎসা বা অপচিকিৎসায় রোগীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। অনেক সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রোগীদের অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়। অনেক রোগীর পক্ষেই এসব ব্যয় মেটানো সম্ভব হয় না। ফলে তারা সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই অল্প কিছু লোকের অসাধুতার জন্য যাতে চিকিৎসার মতো মহান পেশার সুনাম নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতিও দিন দিন আধুনিকায়ন হচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ এখন বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই সেবা নিতে পারছে। তাই আপনাদেরকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বশেষ উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। রোগীরা যাতে স্থানীয় চিকিৎসক ও চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর আস্থা রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
সমাবর্তনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ দেশের সাত গুণী চিকিৎসককে সম্মানসূচক পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করেন। এরা হলেন- বিএসএমএমইউর নেফ্রোলজি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মতিউর রহমান, প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম কিউ কে তালুকদার, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক শামসুদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুল আনোয়ার, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অর্থোডনটিকস বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক এবং বিএসএমইউর অ্যানেসথেশিওলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আফজালুন নেছা।
সমাবর্তনে ১ হাজার ২১৬ জন উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী চিকিৎসক অংশ নিয়ে তাদের সনদ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে মেডিসিন অনুষদে ৩৪৪ জন, সার্জারি অনুষদে ৩৯৫ জন, বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদে ২৪৩ জন, ডেন্টাল অনুষদে ৫১ জন, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদে ১৪১ জন চিকিৎসক এবং নার্সিং অনুষদে ৪২ জন ডিগ্রিধারী নার্স সনদ গ্রহণ করেন। ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬০৭ জন ছাত্র এবং ৬০৯ জন ছাত্রী রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।