Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী হিসাবে ঘোষণা এখন সময়ের দাবি

২২ ফেব্রæয়ারি রাজশাহী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রেজাউল করিম রাজু : রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী হিসাবে সরকারী ঘোষণা এখন সময়ের দাবী। এখানকার মানুষের প্রত্যাশার কথা হলো ঢাকা রাজধানী, চট্রগ্রাম বন্দর নগরী আর কক্সবাজার পর্যটন নগরীর স্বীকৃতি পেলেও রাজশাহীকে সবুজ শিক্ষা নগরী হিসাবে সরকারী স্বীকৃতি এখনো মেলেনি। যদিও এখানকার সমৃদ্ধ শিক্ষা ব্যাবস্থার কারণে রাজশাহীর পালকে কথায় আলোচনা আর লেখায় যোগ হয়েছে শিক্ষা নগরীর উপাধি। যোগ হবার সঙ্গত কারণও রয়েছে। রাজশাহীর প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে শিক্ষার ব্যাপারটি অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। এখানকার ইতিহাস আর ঐতিহ্যের প্রচীনত্ব নিয়ে নেই কোন দ্বিমত। এ অঞ্চলের প্রাচীন সাংস্কৃতি গড়ে ওঠে হাজার বছরের পুরাতন শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভর করে। পাল রাজার সময় (৭৮১-৮২১ খৃষ্ঠাব্দ)। নওগায় গড়ে উঠেছিল বৌদ্ধ মহাবিহার। যা ছিল সে সময়কার আর্ন্তজাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলার স্বাধীন সুলতান নুশরত শাহের আমলে রাজশাহীর বাঘায় মক্তব মাদরাসা খানকা গড়ে ওঠে। বাগদাদ থেকে শিক্ষকও এসেছিলেন। এখানে সে সময় দেশ বিদেশ থেকে শত শত শিক্ষার্থী এসে ধর্ম ভাষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন। ১৮৩৫ সালে ইউলিয়াম এডাম এর রিপোর্ট এ বিষয়ে অনেক ভাষ্য রয়েছে। 

ইতিহাস থেকে জানাযায়, ১৮২৮ সালে ‘বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া হয়। এর পেছনে ভূমিকা ছিল গভর্নর জেনারেল ইউলিয়াম বেটিংফের। অনেক চড়াই-উৎরায় পেরিয়ে ১৮৭৩ সালে বাউলিয়া ইংলিশ স্কুলটি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন লাভ করে। ১৮৭৮ সালে প্রথম শ্রেণীর কলেজ হিসাবে মর্যদা লাভ করে। বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল নাম পরিবর্তন হয়ে রাজশাহী কলেজ হয়। বাউলিয়া হাইস্কুলের নাম পরিবর্তন করে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল হয়।
শুরুর দিকে রাজশাহী কলেজের ক্লাস বাউলিয়া ইংলিশ স্কুলে চলত। রাজশাহী কলেজ হবার পর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায় অনেক। বলা যায় আধুনিক ইংরেজী শিক্ষার শুরু হয় কলেজিয়েট স্কুলের মাধ্যমে। আজো দুটো প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তাদের গৌরবময় ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৮৪৭ সালে লোকনাথ উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর একের পর এক এক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে থাকে। পিএন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, রাজশাহী মাদ্রাসা, ভোলানাথ হিন্দু একাডেমী, মিশন বালিকা বিদ্যালয়, সাবিত্রী শিক্ষা বিদ্যালয়, রাজশাহী ট্রেনিং স্কুল, ডায়মন্ড জুবলী স্কুল, ফিমেল নরমাল স্কুল, রাজশাহী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় অন্যতম। কালক্রমে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার বিস্তার ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম যাত্রা শুরু হয় রাজশাহী কলেজ দিয়ে।
উল্লেখ্য, ১৯১৭ সালে শিক্ষা ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভাল বিবেচনা করে স্যাডলর কমিশন সুপারিশ করেছিলেন উত্তবঙ্গের মানুষের উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজশাহীতে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় করার। কিন্তু ১৯২১ সালে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি প্রবল হয়ে উঠলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টা চাপা পড়ে যায়। কিন্তু এতে রাজশাহীর শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা থেমে যায়নি। ব্রিটিশ শাসনামলের শেষ পর্যন্ত রাজশাহীতে চিকিৎসা বিষয়ক কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। ১৯৪৯ সালে মাদারবক্সসহ কয়েকজন বিদ্যানুরাগী ও দানশীল ব্যক্তি প্রথম বেসরকারী মেডিকেল স্কুল করেন। পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়। ১৯৫০ সালের শেষ দিকে মেডিকেল স্কুলের এক সভায় রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারটি আলোচনায় চলে আসে। শুরু হয় দেন দরবার। পদ্মায় অনেক পানি গড়ানোর পর ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে অনুমোদন লাভ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। শহরের পূর্বাঞ্চলে মতিহার সবুজ চত্বরে গড়ে ওঠে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। জ্ঞান আহরণে আসা প্রায় ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থীর কলতানে এখন সব সময় মুখরিত থাকে মতিহার সবুজ চত্বর। ১৯৬০ সালে মতিহারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে প্রকৌশল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। যদিও ১৯৬৪ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে নাম পরিবর্তন করে হয় বিআইটি। আর ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে।
রাজশাহীতে সাধারণ স্কুল-কলেজের পাশপাশি কারিগরি শিক্ষার জন্য ১৯৫০ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যাড সার্ভে ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬৩ সালে স্থপিত হয় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বছর দশেক আগে নির্মিত হয়েছে মহিলা পলেটেকনিক ইনস্টিটিউট। ১৯৬২ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করা হয়। (রাজশাহীতে আধুনিক শিক্ষা চালু হবার পর প্রয়োজনীয়তা দেখা যায় ভাল মানের শিক্ষা গুরুর)। এজন্য ১৮৬৫ সালে রাজশাহী ট্রেনিং স্কুল নামে শিক্ষক প্রশিক্ষণ স্কুল চালু করেন। যা ১৯৫৩ সালে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ হিসাবে মানুষ গড়ার কারিগরদের কলেজ চালু হয়। রাজশাহীতে মহিলা কলেজসহ অসংখ্য সরকারী-বেসরকারী স্কুল-কলেজ শিক্ষার আলো বিতরণ করে চলেছে অবিরাম।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্যারামেডিকেল, চারুকলা কলেজ, রাজশাহী আর্ট কলেজ, কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সরকারী-বেসরকারী শারীরিক শিক্ষা কলেজ, স্থাপিত হয়েছে। শুধু নগরীতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে অর্ধশতের বেশী, বেসরকারী কুড়িটি, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ছয়টি, বেসরকারী বিদ্যালয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশী, সরকারী কলেজের ছয়টি ও বেসরকারী কলেজের সংখ্যা তেরটি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশপাশি আরেকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ চলছে। যার প্রথম ভিসি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহীর কৃতি সন্তান ডা: মো: মাসুম হাবিব। আগামী ২২ ফেব্রæয়ারী প্রধানমন্ত্রী যার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। রাজশাহীতে সরকারীভাবে আইটি পল্লীর কাজও এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে রাজশাহীতে বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিসাবে কাজ শুরু করেছে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, উদয়ন ডেন্টাল কলেজ, পাশপাশি গড়ে উঠেছে নাসিং-ট্রেনিং সেন্টার ও অসংখ্য ম্যাটস এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজশাহীতে দুটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। এরমধ্যে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বেশ খানিকটা এগিয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরেও অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। মোটা দাগে বলা যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিশ হাজার, রাজশাহী কলেজে আঠাশ হাজার। অন্যান্য সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় দেড়লাখ শিক্ষার্থীর পদচারনায় মুখরিত রাজশাহী। দিন যত যাচ্ছে বাড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা। দেশের অন্য সিটির মত রাজশাহী শিল্প বাণিজ্য অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও জ্ঞানার্জনের আদর্শ স্থান হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে চলেছে। এখানকার অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা। লেখাপড়া ছাড়াও বিভিন্ন নিত্যনৈমিত্তিক প্রয়োজনে মাসে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এখানে আসা শিক্ষার্থীরা। ছাত্রাবাস, হোটেল, রিকশা-অটোরিকশা, বাদাম আর জুতো পালিশকারী সর্বক্ষেত্রে সচল ভূমিকা রাখছে। পাল্টে যাচ্ছে নগরীর জীবনমান। প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে নানা ধরনের ফাস্টফুড, বিরিয়ানী, তেহেরি, চাইনীজ আর খাবার হোটেল। এসব স্থানের অতিথির বেশীর ভাগ হলো শিক্ষার্থীরা।
বাজারে কাপড় থেকে কসমেটিক্স সর্বত্র এদের পদচারণা। বিনোদন কেন্দ্রগুলো মুখরিত থাকে। চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুম হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্রাবাস-ছাত্রীনিবাস একেবারেই কম। ফলে এরা বিভিন্ন মহল্লায় গড়ে ওঠা ছাত্রাবাস-ছাত্রীনিবাসের বাসিন্দা হয়ে স্থানীয়দের সাথে ক্ষণিকের জন্য হলেও গড়ে তুলেছে সখ্যতা। এসব ছাত্রাবাসে অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। সব মিলিয়ে এখানকার অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বিজ্ঞজনরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বলছেন রাজশাহীতে যখন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে। ঐতিহ্যবাহী রেশম যখন মসলিনের পথ ধরেছে। বস্ত্রকল, পাটকল যখন ধুকছে। তখন শিল্পাঞ্চল চাঙ্গা করার পাশপাশি শিক্ষাঞ্চলের দিকে এখন বেশী নজর দেবার সময়ের দাবি। রাজশাহীকে শিক্ষা অঞ্চল তথা শিক্ষা নগরীর হিসাবে সরকারী প্রাধান্য দিয়ে এর উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। চট্টগ্রাম যদি বাণিজ্য নগরী হয়। তবে রাজশাহী কেন শিক্ষা নগরী হতে পারে না?
এখানে সে সম্ভাবনা ইতোমধ্যে তৈরী হয়ে গেছে। আর সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ধান ও গম গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে বিশাল এলাকাজুড়ে। এখানেই খুব অল্প খরচে গড়ে উঠতে পারে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। নগরীর পশ্চিমে রাজাবাড়িতে রয়েছে গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগী খামার। এটাকে নির্ভর করে সহজে হতে পারে ভ্যাটেনারী বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানীর মানসম্মত দু’চারটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে এখানে আনা যেতে পারে। রাজশাহী বিভাগীয় নগরী হওয়ায় রয়েছে প্রশাসনিক সুবিধা। মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বিভাগীয় ও জেলা শিক্ষা অফিস। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, জ্ঞানের ক্ষুধা মেটানোর জন্য রয়েছে ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার। ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত শাহমখদুম ইনস্টিটিউট, ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত বরেন্দ্র গবেষণা যাদুঘর লাইব্রেরী, রাজশাহী বিভাগীয় গ্রন্থাগার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী ও রাজশাহী কলেজ লাইব্রেরী। এসব স্থানে হাজার হাজার অত্যন্ত দুর্লভ মূল্যবান গ্রন্থ রয়েছে। যা ছাত্র শিক্ষকদের গবেষণা কাজে অবদান রেখে চলেছে। রয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক পাঠাগার, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী, শিশু একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমী। সর্বোপরি রয়েছে নগরীর উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনের গ্রীন সিটি, হেলদি সিটি ও এডুকেশন সিটি হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ। এক কথায় রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী হিসাবে গড়ে তোলার সব উপকরণ বিদ্যমান। এখন প্রয়োজন সরকারীভাবে রাজশাহীকে সবুজ শিক্ষানগরী হিসাবে গড়ে তোলার ঘোষণা ও কিছু পদক্ষেপ। মানুষের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী আগামী ২২ ফেব্রæয়ারীর জনসভা থেকে রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী হিসাবে ঘোষণা দেবেন।



 

Show all comments
  • হুমায়ুন কবীর ২৭ মার্চ, ২০১৯, ৬:০২ পিএম says : 0
    রাজশাহী নয় ময়মনসিংহ হল শিক্ষা নগরী।রাজশাহীর তুলনায় ময়মনসিংহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেশী।তাছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ায় বৃহত্তম।নাম্বার ওয়ানের স্বীকৃতি পেল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Haniful islam ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ৪:১৮ পিএম says : 0
    হুমায়ন কবীর,আপনি রাজশাহী শহর সম্পর্কে জানেন না। স্কুল,কলেজ,ভার্সিটি,মেডিকেল,নার্সিং,বেসরকারী ভার্সিটি আর মেডিকেল etc সম্পর্কে খোজ নিয়ে দেখবেন একটু। আপনার ময়মনসিংহ এর মতো ছোট শহরে কি আছে তা ভালো করেই জানি। আমি বলছিনা যে ময়মনসিংহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কম, তবে এটা মানতেই হবে রাজশাহী থেকে কম।শুধু তাই নয়, খুলনা,সিলেট থেকেও কম। ময়মনসিংহে অনেকদিন থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। রাজশাহী শহরের অলিগলিতে স্কুল কলেজ।
    Total Reply(0) Reply
  • Sohel Rana Sumon ২৫ জুন, ২০২১, ৯:৪৩ এএম says : 0
    রাজশাহী হল বাংলাদেশের শিক্ষা নগরী।
    Total Reply(0) Reply
  • MD. BORHAN UDDIN ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:৩৭ এএম says : 0
    রাজশাহী শহর কে শিক্ষা নগরী নয়, শিক্ষা মহানগরী ঘোষণা করা হোক। এটাই এখন সময়ের দাবি।
    Total Reply(0) Reply
  • MD. BORHAN UDDIN ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:৫৮ এএম says : 0
    রাজশাহী শহরকে শুধু শিক্ষা নগরী নয়, "বাংলাদেশের শিক্ষা মহানগরী " OR "EDUCATION CITY OF BANGLADESH "ঘোষণা করা সময়ের দাবি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ