বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া ব্যুরো : বগুড়ার ধুনট উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের নি¤œমানের খাবার পরিবেশন এবং ভুয়া রোগী ভর্তি দেখিয়ে অতিরিক্ত খাদ্যের বিল উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার প্রায় ৪ লাখ জনগোষ্টির জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও মাত্র ৫ জন ডাক্তার দিয়েই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এখানে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন ডা: ইকবাল হাসান সনি। তার সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও তিনি ইছামতি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখতেই বেশি সময় ব্যয় করেন। এছাড়া হাসপাতালে ২৫ জন নার্সের স্থলে রয়েছে ১৭ জন। এদিকে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও ডাক্তার ও জনবলের অভাবে দীর্ঘদিন যাবত অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রয়েছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকার যত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসিগুলো অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ২০০৪ সালে ৮ লাখ টাকায় ক্রয়কৃত এক্সরে মেশিনটি একদিনের জন্যও চালু করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া ইসিজি মেশিন ও আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন থাকলেও জনবলের অভাবে মেশিনগুলো দীর্ঘদিন যাবত বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে কোন জরুরী রোগীকে এখানে ভর্তি করানো হয় না। জরুরী রোগী আসলেই তাকে রেফার্ড করে বগুড়ায় পাঠানো হয়। এইস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের খাদ্য সরবরাহ নিয়েও দূর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শন কালে দেখা যায় বিছাানায় ২৬ জন রোগী থাকলেও হাসপাতালের ডায়েট খাতায় রোগী ভর্তি দেখানো হয়েছে ৪৬ জনকে। তাছাড়া ১৬ ফেব্রæয়ারি (শুক্রবার) রোগী ভর্তি দেখানো হয়েছে ৪৩ জনকে। তবে ওইদিন রোগী ভর্তি না হলেও আগের দিনই ওই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ রোগীর নামই ভুয়া। আর এভাবেই রোগীদের খাদ্য সরবরাহের নামে ভুয়া বিলের মাধ্যমে সরকারী তহবিল আত্মসাত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রহিমা বেগমের স্বামী ময়নুদ্দিন বলেন, দুই দিন যাবত হাসপাতালে তার স্ত্রীকে ভর্তি করা হলেও রোগীকে কোনো খাবার দেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, রোগীদের খাদ্য সরবরাহের ঠিকাদারীর দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কুদরত-ই খুদা জুয়েল। তিনি হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডা: ইকবাল হোসেন সনির সহযোগিতায় নি¤œমানের খাবার পরিবেশন এবং ভুয়া রোগী ভর্তি দেখিয়ে অতিরিক্ত বিল উত্তোলন করে আসছেন। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সংকট ও প্রয়োজনীয় ষন্ত্রপাতির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এছাড়া খাদ্য সরবরাহ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগটিও তদন্ত করে দেখা হবে এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।