Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হস্তক্ষেপের বিষয় স্বীকার করলেও সংযোগের অস্বীকৃতি ট্রাম্পের

রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে মুলারের বিশেষ তদন্তে তিন প্রতিষ্ঠানসহ ১৩ রুশ অভিযুক্ত

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) দুই বছর আগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের দায়ে ১৩ রাশিয়ান নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে। এদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিক জালিয়াতি এবং পাঁচজনের বিরুদ্ধে অন্যের পরিচয় ব্যবহারেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের বিশেষ তদন্তে এদের নাম এসেছে। ৩৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে সেইন্ট পিটার্সবার্গভিত্তিক একটি ইন্টারনেট গবেষণা সংস্থাসহ রাশিয়ার তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। এ কোম্পানিগুলো ‘মার্কিন রাজনীতিতে অনৈক্যের বীজ বপন করার কৌশলগত লক্ষ্যে’ কাজ করছিল বলেও এফবিআইয়ের অভিযোগ। অভিযোগের বিষয়ে গত শুক্রবার সকালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে, বলছে হোয়াইট হাউজ। দিনের শেষভাগে এক টুইটে প্রেসিডেন্ট রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি ‘কার্যত স্বীকার’ করে নিলেও এর সঙ্গে তার বা রিপাবলিকান শিবিরের কোনো ধরনের সংযোগ ছিল না বলেও ফের দাবি করেন। এর আগে ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দাবিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখার কথা বলে আসছিলেন ট্রাম্প। এ নিয়ে কংগ্রেস ও বিচার বিভাগের তদন্তকেও বারবার একহাত নিয়েছিলেন তিনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও অন্যান্য কর্মকর্তারা সবসময়ই মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। রয়টার্স বলছে, মুলারের অভিযোগপত্রে রাশিয়ান নাগরিক ও কোম্পানিগুলোর নাম এলেও এদের সঙ্গে মস্কোর সরাসরি সংযোগের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে ‘প্রজেক্ট লাখতা’ নামে মার্কিন রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের কাজ শুরু করে অভিযুক্তরা, দাবি এফবিআইর। অভিযুক্তরা নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে মার্কিন নাগরিক সেজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে প্রচার চালায়। পরিচয় পাল্টে তারা আর্থিক লেনদেন ও রাজনৈতিক কর্মকাÐ পরিচালনা করে, যেন সাধারণ আমরিকানরা তাদের ভিনদেশি না ভাবে। এ রাশিয়ানরা বিভিন্নজনের কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অর্থও সংগ্রহ করে; ২০১৬-র নির্বাচনী প্রচারের সময় এ গোষ্ঠীর ব্যয় প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ডলারে দাঁড়ায় বলেও অভিযোগ। “প্রাথমিকভাবে তাদের লক্ষ্য ছিল হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে অপমানজনক তথ্য সরবরাহ। তারা টেড ক্রুজ ও মার্কো রুবিওর মতো অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের প্রচারে কালি লাগানোর কাজেও নিয়োজিত ছিল। তাদের সমর্থন ছিল প্রথমে বার্নি স্যান্ডার্সের প্রতি এবং পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প,” বলা হয়ে অভিযোগপত্রে। মার্কিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রজেনস্টাইন পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অভিযুক্তরা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও প্রার্থীদের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ ছড়িয়ে দিতে ‘তথ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছিল। এদিকে ১৩ রুশ নাগরিক ও তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগকে ‘হাস্যকর ও ভিত্তিহীন’ অ্যাখ্যা দিয়েছে মস্কো। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ