গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
এক যুগ আগে রাজধানীর মিরপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনির উদ্দিন মনু খুনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম ও অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন।
২০১৫ সালের ৩০ মার্চ এ মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন- মিরপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত, মো. মিন্টু, মো. মাসুদুর রহমান তোতা ওরফে তোতলা মাসুদ, লিটন হোসেন লোটাস ওরফে নূরুজ্জামান ও মো. নোমান ইবনে বাশার ওরফে বাবু।
আর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে মাসুদুর রহমান সোহেল ও মো. হাসান সারওয়ার জিকুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া জাহানারা নামে আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার দণ্ড দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিরপুরের ৪৯/৩ শাহ আলী বাগের বাসার সামনে মিলাদ মাহফিলের তবারক বিতরণ শেষে খুন হন ১২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মনির উদ্দিন মনু।
আসামিরা মনুকে পরপর আটটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হত্যাকাণ্ডের দিনই নিহতের ভাই মো. আকবর আলী থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, শাহাদাত ও মিন্টু মিরপুর এলাকার ব্যবসায়ী মনুর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় সোহেল,জিকু,লিটন ও টিভিএস বাবু কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।