মাধবপুর (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : আল্লামা ফুলতলী সাহেব (রঃ) এর সুযোগ্য নাতী উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেমেদ্বীন শায়খুল হাদিস মোফাচ্ছিরে কোরআন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, হাইকোর্ট কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের খতিব ও বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল-ইসলাহ’র যুগ্ম মহা-সচিব ড. মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলি বলেছেন, এই উপমহাদেশে যুগ যুগ ধরে হক্কানী পীর আউলিয়ারাই তাওহিদের মূল শিক্ষা এবং ইসলাম প্রচার ও প্রসারে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে গেছেন। অলি আউলিয়াদের আদর্শ অনুসরন ও অনুকরনের কোন বিকল্প নেই। ফরজিহাতের হুকুম বাধ্যতামূলক ভাবে সকল মুসলমান কে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি প্রাপ্ত বয়স্ক নর-নারীর উপর নামাজ আদায় করা ফরজ। আর নামাজই হচ্ছে মুসলমান ও বিধর্মীদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্যকারী। আল্লাহপাক তার বান্দাকে নফল ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে অলি আউলিয়ার স্তরে পৌছে দেন। মাজার জিয়ারত জায়েজ, কিন্তু সিজদা করা জায়েজ নেই। যেখানে আসল সেখানে নকল থাকবেই। কিন্তু কোন অবস্থাতেই আসল ছাড়া যাবে না। যে স্থানে আল্লাহ তার রাসূলের আলোচনা করা হয় সেই স্থানটি হচ্ছে জান্নাতের বাগান। নবীর শিক্ষা হচ্ছে মানুষ মানুষের মধ্যে কোন বেদাভেদ করা যাবে না। বেশী বেশী করে দুরুদ সালাম ও মিলাদ কিয়াম করতে হবে। সকল ভ্রান্ত মতবাদ ত্যাগ করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা বিশ্বাস সমাজের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। উত্তম চরিত্র মায়া মমতা ও ভালবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। আর প্রশস্থ মন দিয়ে একে অপরের জন্য দোয়া করতে হবে। তিনি সুন্নী মতাদর্শ ভিত্তিক সকল হক্কানী দরবারের পীর মাশায়েখদের একটি প্লাটফর্মে এসে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহŸায়ন জানান। তিনি আরও বলেন, আল্লাহ তার রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত বন্দেগী করতে হবে। নামধারী ও লোক দেখানো ইবাদত বন্দেগী আল্লাহর নিকট কবুল হয় না। প্রকৃত মুসলমান হতে হলে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মান সম্মান রক্ষার্থে মাঠে ময়দানে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল। আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হচ্ছে, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত হওয়া। তিনি গত ৯ ফেব্রæয়ারী হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলাধীন ছাতিয়াইন বি.এন হাইস্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামিযে ইসলামিয়া ছাতিয়াইন শাখা কর্তৃক আয়োজিত উপমহাদেশের বিখ্যাত অলি শামছুল ওলামা আল্লামা ফুলতলী ছাহেব (রঃ) এবং তদীয় জামাতা খান্দুরী হাবীলির বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ছাতিয়াইন বি.এন হাইস্কুল এন্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ আজাহারুল হোসেন (রঃ) এর ইছালে ছাওয়াব উপলক্ষে ৪র্থ বার্ষিক আজিমুশ্বান সুন্নি মহা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। খান্দুরা হাবীলির পীরে কামেল সৈয়দ মজিবুর রহমান খসরু মিয়া পীর সাহেব ও সৈয়দ তাজামুল ইকবাল এর সভাপতিত্বে এবং মাহফিলের আহŸায়ক সৈয়দ আফজাল হোসেন সায়েম এর সার্বিক তত্বাবধানে ও মাওলানা এ.টি.এম তরিকুল ইসলাম ও মাওঃ মাহবুব উল্লাহর পরিচালনায় ওয়াজ করেন, মাওঃ মুফতি আবুল নছর জিহাদী, মাওঃ ড. মুর্শেদ আলম সালেহী, মাওঃ আনোয়ার হোসেন সালেহী, মাঃ আব্দুর রউফ সালেহী, মুফতি সিরাজুল ইসলাম জালালী। ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, আবু সাঈদ মোঃ সায়েম। বিশেষ ছিলেন, ছাতিয়াইন ইউ/পি চেয়ারম্যান, শহীদ উদ্দিন আহমদ, দৈনিক ইনকিলাবের মাধবপুর প্রতিনিধি কে.এম শামছুল হক আল মামুন, সৈয়দ নূর মোহাম্মদ শাহজাহান, সৈয়দ তারিকুল হোসেন, সৈয়দ সাজিদুল হোসেন নোমান, মোঃ সোহাগ খান, শাহীন খান, মোঃ ফারুক মিয়া, মোঃ উজ্জ্বল মিয়া, মোঃ ফেরদৌস, সৈয়দ সাজ্জাদ মুর্শেদ সোহান সহ হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান। পরে বাংলাদেশ সহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি, ঐক্য ও রহমত কামনা করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট মোনাজাত করা হয়।