গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
প্রস্তাবিত ডিজিটাল কালো আইন সংশোধন ও ৩২, ১৯ ধারা অবিলম্বে বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিকরা।
শনিবার সকালে রাজধানীর শাহাবাগে 'আমরা সংবাদকর্মী' ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হুশিয়ারি দেয়া হয়। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর পদত্যাগও দাবি করেন সাংবাদিকরা।
মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, সরকার আমাদের কথা দিয়েছিল ৫৭ ধারা বাতিল করা হবে। কিন্তু বাতিলের নামে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি আইনের নামে যে কালো আইন করা হয়েছে, তা কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সংবাদকর্মীরা দেশের জন্য কাজ করি, দেশের মানুষের জন্য কাজ করি। এই আইন দিয়ে আমাদের কাজ বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই কালো আইন দিয়ে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করার অপচেষ্টা চলছে।অবিলম্বে এই আইন বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সমালোচনা করে সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, সারা দেশে সাংবাদিকদের নামে এই ৩২ ধারায় মামলা হবে। আপনি কত জায়গায় গিয়ে লড়বেন। নাকি মন্ত্রণালয়ের কাজ করবেন। আপনার এসব তাল বাহানা বন্ধ করেন। কালো আইন বন্ধ করেন।
ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলী শুভ বলেন, কোন ধরনের কলাকৌশল, কালো আইন কিংবা জেল জরিমানা করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধ করা যাবে না। হয়রানী নির্যাতন বা কারো রক্তচুক্ষ আমাদের থামাতে পারবে না। সত্য প্রকাশে, দেশ ও জাতির কল্যাণে, সত্যের সন্ধানে আমরা সদায় দুর্বার, দুর্জয়। আমাদের অবিচল এ পথ চলা কোন বাধাই থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধ করতেই এই ৩২ ধারার করা হয়েছে। এই কালো ধারা বাতিল করতে হবে।
ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, আমাদের দেশের সংবিধান বলে গণমাধ্যম স্বাধীন। কিন্তু সেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আমরা দেখছি না। তাই আজ আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা সংবিধানের অধিকার সমুন্নত রাখতে চাই। তাই অবিলম্বে এই ৩২ ধারা বাতিল করতে হবে।
তিনি বলেন, এই ধারা বাতিল না হলে সাংবাদিকতা বলতে কিছু থাকবে না। এই কালো আইন করে গণমাধ্যমকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে।
অবিলম্বে এই ৩২ ধারা বাতিল না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন এই সাংবাদিক নেতা।
এসময় মানববন্ধন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কয়েকশ' সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।