নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইমামুল হাবীব বাপ্পি : ২০১৩ সালে লিভারপুলের জার্সিতে প্রথম গোলটির কথা নিশ্চয় ভুলবেন না ফিলিপ কুতিনহো। হয়তো ভুলবেন না পরশু বার্সেলোনার জার্সিতে প্রথম গোলটির কথাও। মাঝের সময়টাতে ৫ বছরের বিশাল ফাঁকা থাকা সত্তে¡ও দুই গোলেই কি অদ্ভুদ মিল দেখুন। দুটি গোলেই ব্রাজিলিয়ান প্লেমেকারের সহকারির ভুমিকায় ছিলেন একইজনÑ লুইস সুয়ারেজ।
২০১৪ সালে লিভারপুল থেকে ন্যু ক্যাম্পে নাম লেখান সুয়ারেজ, একই ক্লাব থেকে কদিন আগে ১৪৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিশাল ট্রান্সফার ফিতে কুতিনহো। মাঝের এই সময়টা যে তাদের সাবেক বোঝাপড়ায় একটুও ব্যবধান তৈরী করতে পারেনি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন পরশু কোপা দেল রের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে। আর তাতে ছারখার হয়ে গেল ভ্যালেন্সিয়া।
ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে বার্সা। ইভান রাকিটিচের করা দ্বিতীয় গোলেও ছিল উরুগুয়ান তারকার সহায়তা। দুই লেগ মিলে জয়ের ব্যবধানটা ৩-০। তার মানে রেকর্ড ৪০তম বারের মত আসরের ফাইনালে উঠল বার্সা। সামনে এখন আসরের ৩০তম ও টানা পঞ্চম শিরোপা জয়ের হাতছানি। যেখানে তাদের একমাত্র বাধা সেভিয়া। গেলবার এই সেভিয়াকে হারিয়েই আসরের রেকর্ড ২৯তম শিরোপা জিতেছিল লুইস এনরিকের দল।
এবারের ফাইনালের দিনক্ষন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সামনের সপ্তায় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াইয়ে নামার আগে ট্রেবল জয়ের কাজটা বেশ এগিয়ে রাখল আর্নেস্তো ভালভার্দের দল। লিগে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পর কিংস কাপ খ্যাত কোপা দেল রের ফাইনাল। এখন নিশ্চয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালোভাবে মন দিতে পারবেন মেসিরা।
ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল বার্সা। এরপরও ভালভার্দে জানতেন লা লিগার তিন নম্বর দলের বিপক্ষে এদিন কাজটা সহজ হবে না। যে কারণে সেরা একাদশ নিয়েই লড়াই শুরু করেন। প্রথমার্ধে তুমুল প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে স্বাগতিকরা তা প্রমাণও করেন। চোট কাটিয়ে ফেরা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে ও গোলরক্ষক সিলিসেন দুবার বাঁচান দলকে। এসময় লিওনেল মেসিরও একটি ফ্রি-কিক দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে ট্রাম কার্ডটি ব্যবহার করেন ভালভার্দে। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামান কুতিনহোকে। এর চার মিনিট পরেই আসে সেই মুহূর্ত। বাঁ প্রান্ত থেকে দুজন ডিফেন্ডারকে ঝাপটা মেরে ফেলে বিপরীত দিকে ক্রস করেন সুয়ারেজ। দূরহ কোন থেকে ¯øাইড শটে তা জালে পাঠান কুতিনহো। এরপর নূন্যতম তিন গোল দিতে হত ভ্যালেন্সিয়াকে। কিন্তু তা তো তারা পারেইনি উল্টো ৮২তম মিনিটে আবারো সুয়ারেজের বাড়ানো বল থেকে সহজ শটে স্কোরবোর্ডে নাম লেখান রাকিটিচ। তার মানে পুরো ম্যাচটাই হয়ে থাকল সুয়ারেজময়।
কাতালান জার্সিতে পঞ্চমবারের মতো মাঠে নেমে প্রথম গোলের দেখা। কুতিনহোর উচ্ছ¡াসটাও তাই ছিল দেখার মত। শ্যাচ শেষে উচ্ছ¡াসিক কন্ঠে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দারুণ সুখের দিন। আগের ম্যাচ কটিতেও আমি গোলের খোঁজ করছিলাম। শেষ পর্যন্ত আজ আমি সফল হয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমি এই গোলটি পেয়েছি। যে গোলের মাধ্যমে দল পেয়েছে ফাইনালের টিকিট। এটি আমার জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। এটি ছিল খুবই কঠিন এবং অসাধারণ একটি ম্যাচ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।