Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পদ নিয়ে ভীত নন কোন্তে

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ সাত ম্যাচে জয় মাত্র একটি। এরই মাঝে আর্সেনালের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে লিগ কাপ থেকে। শেষ দুটি হারও চোখে বিঁধার মত। আগের ম্যাচে বোর্নমাউথের কাছে ৩-০ গোলে উড়ে যাওয়ার পর এবার পয়েন্ট তালিকার আরো নিচের সারির দল ওয়াটফোর্ডের কাছে ৪-১ গোলের লজ্জা। এমন দশায় দলের কোচের দিকে আঙ্গুল উঠবে এটাই স্বাভাবীক।
বলা হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেলসির কথা। বিশেষ করে ইংলিশ গণমাধ্যম তো আর দলের কোচ অ্যান্তোনিও কোন্তেকে ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়। এমনিতেই দলের নড়বড়ে অবস্থা এরপর এমন সমালোচনামূলক প্রশ্ন কারই বা ভালো লাগে। ক্ষুদ্ধ কোন্তে তাই জবাব দিলেন এভাবে, ‘আমার অবস্থা? আগের মতই। আমি এখানেই আছি, কাজ করছি।’ কোন অদৃশ্য চাপ কাজ করছে কিনা এমন প্রশ্নে ইতালিয়ান কোচের উত্তর, ‘চাপ? কিসের চাপ? কেমন চাপ?’ পদ নিয়েও মোটেই শঙ্কিত নন বলে জানান তিনি। তবে বাস্তবতা যে তিনি একেবারেই বোঝেন না তা নয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাই বলতে বাধ্য হলেন, ‘ক্লাব ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতেই পারে যদি তারা মনে করে আমি ভালোমত কাজ করছি না।’
ওয়াটফোর্ডের ভিতারেজ রোজ স্টেডিয়ামে শেষ ছয় মিনিটের এক ঝড়েই মূলত পরশু লন্ডভন্ড হয়ে যায় সফরকারী শিবির। এসময় ১-১ ড্র থেকে স্কোরবোর্ড ৪-১ করে ফেলেন ড্যারিল জানমাত, জেরার্ড ডেউলেফু ও রবার্তো পেরেইরা। তবে কোন্তের দলের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় ম্যাচের ৩০তম মিনিটে। এসময় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার তাইমু বাকায়োকো। বাকি সময় ১০ জনের দল নিয়ে লড়তে হয় চেলসিকে। সেই সুযোগ ট্রয় ডিনে পেনাল্টি থেকে ৪২ মিনিটে ওয়াটফোর্ডকে এগিয়ে নেন। এডেন হ্যাজার্ড ম্যাচ শেষের আট মিনিট আগে দুর্দান্ত এক স্ট্রাইকে সমতা ফেরালেও শেষ ছয় মিনিটের ঐ ঝড় সবকিছু এলোমেলো করে দেয়। এই পরাজয়ে এখনো চতুর্থ স্থানে থাকলেও টটেনহ্যামের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট এগিয়ে চেলসি।
দলের এই ব্যর্থতার দায় পুরোপুরি নিজের উপর নিতে চাননি কোন্তে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যেক দিনই কাজ করে যাচ্ছি। আমি ১২০ ভাগ দিচ্ছি, এটা যদি যথেষ্ঠ হয় তবে ঠিক আছে। আর তা নাহলে ক্লাব যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমি মোটেই চিন্তিত নই। এই ফলাফল অবশ্যই বেশ হতাশার, এতে কোন সন্দেহ নেই। আমি মনে করি আমাদের পারফরমেন্স খুবই খারাপ ছিল। আমাদের শুরুটাও বাজে হয়েছে। কেমন যেন এক শঙ্কা নিয়ে আমরা আজ (পরশু) খেলেছি যা পুরো ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে।’
এতকিছুর পরও চেলসির সাথে তিনি তার চুক্তি ২০১৯ পর্যন্ত দেখতে চান বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে সবকিছু মিলিয়ে চেলসির সাথে কোন্তের ভবিষ্যত যে মোটেই ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না তা সহজেই অনুমেয়।
সম্প্রতি দল গঠন নিয়েও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছেন কোন্তে। আরো একবার স্বীকৃত স্ট্রাইকারসহ নতুন চুক্তিভূক্ত অলিভার জিরুদকে বাদ দিয়েই মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন। পিঠের ইনজুরিতে আক্রান্ত আলভারো মোরাতার অনুপস্থিতিতে হয়ত জিরুদ বদলী বেঞ্চে বসার সুযোগ পান। হ্যাজার্ড, পেদ্রো রড্রিগুয়েজ ও উইলিয়ানকে নিয়ে সাজানো মেকশিফট ফ্রন্ট-লাইন আবারো ওয়াটফোর্ডের নতুন বস জাভি গার্সিয়ার কৌশলের সাথে পেরে উঠেনি। এই ম্যাচ দিয়েই ঘরের মাঠে অভিষেক হয় ওয়াটফোর্ড কোচের। যেটাকে তিনি ‘স্বরণীয় রাত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই রাতটা সত্যিই ভোলার মত নয়। এটা ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম সেরা জয়। খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি দারুন গর্বিত।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোন্তে

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ