পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতির মামলায় রায়কে কেন্দ্র করে আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সড়কপথে সিলেটে শো-ডাউন করতে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপি প্রধানের গাড়িবহর সিলেটে যাওয়ার পথে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে বিভিন্ন স্থানে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা ও ধরপাকড়ের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বিমানপথে না গিয়ে সড়কপথে একটা বিজিওয়েতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে গেছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে বনানীর সেতুভবনে পৃথক তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটার কোনো দরকার ছিল না। কারণ তার এজেন্ডা হচ্ছে সেখানে মাজার জিয়ারত করা। মাজার জিয়ারত করার জন্য তিনি রাস্তায় শো-ডাউন করবেন, রাস্তা দখল করলে পুলিশ সেখানে বাধা দেবেই।
কাদের বলেন, রাস্তা দখল করলে মাইলের পর মাইল, কিলোমিটারের পর কিলোমিটার রাস্তায় যানজট হয়ে যাবে। আবার ঢাকা-সিলেট অত্যন্ত ব্যস্ত মহাসড়ক। এখানে যানবাহন, পণ্য পরিবহন, যাত্রী পরিবহন-সবদিক থেকেই এটা অত্যন্ত ব্যস্ততম একটা মহাসড়ক। এখানে তো তার মাজার জিয়ারতের জন্য এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল না। সিলেটে তিনি ফ্লাইটে যেতে পারতেন। তিনি বলেন, যেহেতু তার কোনো পলিটিক্যাল এজেন্ডা নেই, যেটা ঘোষিত হয়েছে সেটা হচ্ছে তিনি শাহ জালাল, শাহ পরাণের মাজার জিয়ারত করতে যাবেন।
মাজার জিয়ারতের আড়ালে খালেদা জিয়ার অন্য লক্ষ্য রয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, মাজার জিয়ারতটা তার লক্ষ্য না, তার লক্ষ্য হচ্ছে তার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে তিনি শো-ডাউন করতে চান। তার সঙ্গে লোকজন আছে-সেটাও দেখাতে চান। আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চান। সঙ্গে সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রেসার সৃষ্টি করতে চান। মাজার জিয়ারতের সাথে এটার তো কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।
নির্বাচনী প্রচারণা শুরু না করলেও কোথাও তারা দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে না বলে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো প্রচারণার তো দরকার ছিল না। তার লক্ষ্য ছিল মাজার জিয়ারত। মাজার জিয়ারত হলে তিনি পথে পথে কেন রাস্তা দখল করবেন, রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করবেন? মাইলের পর মাইল যানজট সৃষ্টি করবেন? মানুষকে ভোগান্তির মুখে ঠেলে দেয়া তো রাজনীতির ভাষা নয়। এটা তো হতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা তো তাকে একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে ভাবি। তার কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে। রাস্তা দখল করে শো-ডাউন করা কিন্তু দায়িত্বশীলতা না।
এদিকে, ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে বনানীর সেতু ভবনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে উত্তরা ৩য় ফেইজ সংলগ্ন বাউনিয়া, দ্বিগুন, বড়কাঁকড় মৌজায় অধিগ্রহণকৃত জমিতে ১৫তলা বিশিষ্ট ১২টি ভবন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিদাধি নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পৃথক তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ বিষয়ে সেতুমন্ত্রী জানান, চুক্তির আওতায় ‘বøক-এ’ এর অধীন এক হাজার বর্গফুট ইউনিটের ১৫ তলা বিশিষ্ট ছয়টি ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে ৮টি করে ইউনিট থাকবে। মোট ফ্ল্যাটের সংখ্যা হবে ৬২৪টি। প্রায় ৩৪৮ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার চুক্তিপত্রে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের পরিচালক কাজী মো. ফেরদাউস এবং দক্ষিণ কোরিয়ান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঝঅগডঐঅঘ এবং বাংলাদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর আখতার জেভি এর পক্ষে গৎ. ঝঁহম ঔড়ড়হ করস. স্বাক্ষর করেন।
আনুষঙ্গিক সুবিদাধি হিসাবে বিদ্যালয়, মসজিদ, কমিউনিটি মার্কেট, কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, খেলার মাঠ, সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন, ইলেকট্রিক্যাল সাবস্টেশন, অভ্যন্তরীণ সড়ক/ড্রেইন/ল্যান্ড স্কেপিং, ডীপ টিউবওয়েল ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।
এ সময় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সেতু কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।