পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল দিন ফিরিয়ে আনতে হবে -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে হারিয়ে যাচ্ছে। এবং ইসলামবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে। এ পর্যায়ে সচেতন মুসলমান বিশেষ করে আলেম ওলামাদের অনেক কাজ করতে হবে।মুসলমানদের মধ্যে বিভক্ত হওয়ার কারণ চিহ্নিত করে, এক্ষেত্রে যথাযথ অবদান রাখার মাধ্যমে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল দিন ফিরিয়ে আনতে হবে।
আল আকসা মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম শায়খ আল্লামা আলী ওমর ইয়াকুব আব্বাসী বলেছেন, শুধু আল আকসা মসজিদ উদ্যান নয়, সারা বিশ্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এমন হতে পারে বাংলাদেশ থেকে কেউ গিয়ে আল আকসা মসজিদ মুক্ত করবেন। সেদিন বেশি দূরে নয়। যে দিন সমগ্র ইউরোপে মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন ইহুদীরা মুসলমানদের মারছে আবার মুসলমানদের টেরোরিস্ট বলছে। তারাই হিরোশিমায় বোমা মেরেছিলো। তারাই বিভিন্ন মুসলমান দেশে মুসলমান হত্যা করছে। অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে যখন সারা বিশ্বে কোথাও স্থান পাচ্ছিলো না, তখন তুরস্কে মুসলমানদের কাছে তারা আশ্রয় পেয়েছিলো। সুতরাং ইহুদী খৃস্টানদেরকে বিশ্বশান্তির জন্য এবং তাদের নিজেদের স্বার্থেই ইসলাম ও মুসলমানদের বিষয়ে তাদের নীতির পরিবর্তন করে মুসলমানদের সহযোগী হওয়া জরুরী। কারণ হযরত সালাহউদ্দীন আইয়ুবী (রহ.) আল আকসা বিজয় করলেও একজন মুসলমানকেও হত্যা করেন নি। মক্কা বিজয়ের পর হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন কাফিরকেও হত্যা করেননি। তিনি বলেন মুসলমানরা অচিরেই আল আকসা মুক্ত করবে খুব বেশি সময় লাগবে না। আল আকসা আল্লাহ তায়ালার মসজিদ আল্লাহ পাক কাবা ঘর যেভাবে রক্ষা করেছেন। কাবা শরীফকেও তিনি রক্ষা করবেন। জেরুজালেমের পক্ষে সর্বপ্রথম অবস্থান নেওয়ায় এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সুন্দরভাবে দ্রুত মোকাবেলা করায় তিনি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি জহির ইবনে মুসলিম এর সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা কনফারেন্স সিটিতে আয়োজিত “বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মুসলমানদের ঐক্য সংহতি বড় প্রয়োজন” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল ও মাওলানা মাসউদুর রহমান বিক্রমপুরী। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন আল্লামা ড. আবু রেযা নিজামুদ্দীন এমপি, ফিলিস্তীনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস রামাদান, মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ, শিল্পপতি আতিকুল ইসলাম, শায়খ ড. কামাল আহমদ সুদান। শায়খ ফরিদ আহমদ খান, ড. মতিউর রহমান, আল্লামা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী, শায়খুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী, শায়খুল হাদিস আল্লামা শেখ আযিুমুদ্দীন, মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, শায়খ জাকারিয়া, মাওলানা মাহফুজুল হক প্রমুখ।
গুলশান আজাদ মসজিদে ইমামতি করেন শায়খ আব্বাসী
শায়খ আল্লামা আলী ওমর ইয়াকুব আব্বাসী গতকাল গুলশান সোসাইটি মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করেন। শায়খ আব্বাসী সোসাইটি মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যেন গতকাল জুমার নামাজে হাজার হাজার মুসল্লির ঢল নামে। এত বিপুল সংখ্যক মুসুল্লির কারণে মসজিদের বাইরে রাস্তা ও খালী জায়গায় নামাজে দাড়ান তারা। অতিরিক্ত মুসুল্লির কারণে সোসাইটি মসজিদের আশপাশে কোনো ফাঁকা জায়গা অবশিষ্ট ছিল না। নামাজে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারীখাতে বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ এএমএম বাহাউদ্দিনসহ অন্যরা।
শায়খ আব্বাসীর খুতবার ভাষান্তর করেন মাও. ফরিদ আহমেদ খান। খুতবায় তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করলে সমস্যার সমাধান হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর নিকট দোয়া করলে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন। জনগণের জন্য শাসকের দিল আল্লাহ নরম করে দিবেন।
উল্লেখ্য যে, গতরাতে জর্দানের উদ্দেশে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে কথা ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।