চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
পাক ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত উলামায়ে কেরাম মীলাদ শরীফের মাহফিল অনুষ্ঠান করাতেন। বিশেষতঃ দেওবন্দের আকাবির অর্থাৎ শীর্ষস্থানীয় খ্যাতনামা বহু উলামায়ে কেরাম মীলাদ মাহফিল অনুষ্ঠান করা এবং গুরুত্ব সহকারে এগুলোতে অংশ গ্রহণের কথা উল্লেখ আছে।
হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহ্লভী (রঃ): আয় আল্লাহ! আমার এমন কোন আমল নেই যে আমল আপনার দরবারে পেশ করতে পারি। কেননা আমার সকল কর্ম নিয়তের দোষে বিনষ্ট হয়ে গেছে। তবে আপনার খাস মেহেরবাণীতে এমন একটি আমল সম্পাদন করে আসছি যে আমলটি আপনার দরবারে পেশ করার মত, তা হলো আমি মীলাদ মাহফিলে দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করি এবং যার পর নেই বিনয় সহকারে মহব্বতের সাথে খালিস নিয়তে আপনার হাবীবের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপর দুরূদ ও সালাম পাঠ করে থাকি। আয় আল্লাহ! এমন কোন স্থান আছে যেখানে মীলাদে পাক হতে অধিক বরকত ও মঙ্গল আপনার পক্ষ থেকে নাযিল হয়। তাই হে আরহামুর রাহিমীন! আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমার এ আমল কখনও বৃথা যাবে না। বরং তোমার কাছে গ্রহণীয় হবে। তাছাড়া যে ব্যক্তি দুরূদ ও ছালাম পড়ে তার অছীলা নিয়ে দোয়া করবে তার দোয়া কখনও ফিরিয়ে দেয়া হবে না। (আখবারুল আখইয়ার ৬২৬ পৃঃ)
হযরত শাহ আব্দুর রহীম মুহাদ্দিসে দেহ্লভী (রঃ): হযরত শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ) লিখেছেন:- আমার শ্রদ্ধেয় ওয়ালিদ মুহতারাম আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আমি প্রতি বৎসর হুযূরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম দিবসে তাঁর রূহ পাকে সওয়াব রেসানীর উদ্দেশ্যে সর্বদা খানা পিনার আয়োজন করতাম। এক বছর এমন হলো যে, অভাবের দরুন এ তারিখে আহারের জন্য কোন কিছু সংগ্রহ করতে না পারায় কেবল মাত্র কিছু পাকানো চানাবুট জনগণের মধ্যে বণ্টন করে দিলাম। অতঃপর আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাকে অত্যন্ত আনন্দিত এবং নূরানী চেহারা নিয়ে তাশরিফ রেখেছেন এবং সে চানাবুটগুলো তাঁর সম্মুখে রাখা আছে। (আদ্দুররুস সামীন ফীমুবাশশারা তিন্নাবিয়্যিল আমীন লিশ্ শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ) ৮ পৃঃ)
হযরত শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহ্লভী (রঃ): তিনি মীলাদ শরীফে শরীক হওয়ার কথা বর্ণনা করে লিখেছেন:- আমি ইতোপূর্বে একবার হুজুরে পাকের জন্ম দিবসে সে ঘরে উপস্থিত ছিলাম যেখানে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। উপস্থিত জনতা হুযূর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করেছিলেন, তাঁর জন্মের সময় এবং নবুওয়ত প্রকাশের পূর্বেকার যে সমস্ত অলৌকিক ঘটনাবলী সংঘটিত হয়েছিল তৎসমুদয়ের উল্লেখ করছিলেন, এমতাবস্থায় হঠাৎ করে দেখতে পেলাম কতগুলো নূর চমকাচ্ছে। আমি বলতে পারিনা উক্ত নূরগুলো আমার চর্ম চক্ষু দ্বারা দেখেছি না অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখেছি। এ দু’ অবস্থার মধ্যে প্রকৃত ব্যাপার কি ছিল, সে সম্বন্ধে আল্লাহপাকই অধিকতর জ্ঞানী। আমি এ নূরগুলোর প্রতিধ্যান করলে বুঝতে পারলাম যে, ইহা সে সমস্ত ফেরেশতার নূর যারা এ ধরনের মাহফিলে উপস্থিত হয়ে থাকেন। (ফুয়ূদুল-হারামাইন)।
উক্ত ঘটনা দ্বারা বুঝা গেল যে, ওলিকুল শিরোমণি হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ) মীলাদ শরীফকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসতেন এবং মীলাদ মাহফিলে শরীক হতেন। এমন কি হুযূরে পাকের জন্ম দিবসে পবিত্র মক্কা নগরে মীলাদ অনুষ্ঠানে শরীক হয়েছিলেন।
হয়রত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ): হযরত শাহ্ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ) মীলাদ শরীফের অনুষ্ঠান প্রতি বৎসর করতেন। শাহ্ সাহেব মুরাদাবাদের আলী মুহাম্মদ খানের নামে যে পত্র লিখেছিলেন, সে পত্রতে বাৎসরিক মীলাদ মাহফিলের বিবরণ উল্লেখ করেছেন। মীলাদ মাহফিলের প্রসঙ্গে বাকি রইল। এর ব্যাখ্যা এই যে, ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে আগের ন্যায় জনসাধারণ এসে সম্মিলিত হন এবং দুরূদ শরীফ পড়তে লাগেন। আমি ফকীর উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের শান সম্পর্কিত হাদীস, নবীজীর জন্ম বৃত্তান্ত, দুধ পান, বদন মুবারকের আকৃতি এবং হুযূরের জীবনের কতগুলো আশ্চর্য ঘটনাবলী আলোচনা করি। তারপর প্রস্তুতকৃত খানা বা শিন্নির উপর ফাতিহা পাঠ করতঃ তা হাজিরানে মজলিসের মধ্যে বণ্টন করা হয়। (শাহ্ মাওলানা আব্দুল হক এলাহাবাদী কর্তৃক লিখিত “আদ্দুররুল মুনাজ্জাম” তারিখে মীলাদ ৫২ পৃঃ)
হযরত শাহ্ আব্দুল আযিয মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ)- এর প্রতিনিধি হযরত শাহ্ মুহাম্মদ ইছহাক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ) কর্তৃক লিখিত “মিয়াতে মাসাইল” নামক কিতাবের ১৫নং মাসআলায় লিখেছেন-মীলাদ শরীফের উপর উরূসের কিয়াছ করা শুদ্ধ নয়। যেহেতু মীলাদ শরীফে খাইরুল বাশার সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করা হয়। তা খুশীর কারণ আর খুশীর জন্য জমায়েত হওয়ার বিদআত ও মন্দ কাজ থেকে মুক্ত হলে জাইয আছে। আর আসলে হুযূর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের খুশীর মত আর খুশী নেই।
হযরত মাওলানা শাহ আব্দুল গণি মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ): মুহাজিরে মাদানী মীলাদ শরীফের মাহফিলে উপস্থিত হতেন, যেমন তাঁর একান্ত বাধ্য ছাত্র শাহ আব্দুল হক এলাহাবাদী (রঃ) লিখেন:- আমাদের শায়খ ও মুুর্শিদ উমদাতুল মুফাসসিরীন জুবদাতুল মুহাদ্দিসীন জনাব হযরত মাওলানা শাহ আব্দুল গণি সাহেব নক্শবন্দী মুজাদ্দিদীকে আমি দেখেছি ১২ রবিউল আউয়াল রোজ রবিবার মদীনা শরীফে মসজিদে নববীর মীলাদ শরীফের মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেছেন এবং মসজিদে নববীর চত্বরে বসে একজনের পর একজন ইমাম রওজা শরীফের দিকে মুখ করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের কাহিনী বয়ান করছিলেন তা মনযোগের সাথে শুনছেন এবং ক্বিয়ামের সময় সকলের সঙ্গে কিয়ামও করেছেন এ মাহফিলের অবস্থা কয়ফিয়ত ভাষায় ব্যক্ত করার মত নয়। (আদ্দুররুল মুনাজ্জাম)
হযরত মাওলানা মুফতী আজম আলহাজ শাহ মুহাম্মদ মাজহারুল্লাহ (রঃ): তিনি ১২ই রবিউল আউয়ালের রাত্রে বাৎসরিক মীলাদুন্নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাহফিল অনুষ্ঠান করাতেন। যা স্বীয় মছলকের জন্য পাক ভারতের মধ্যে একক মাহফিল ছিল, যেখানে শরীয়তের পুরোপুরি আদবসমূহ লক্ষ্য রাখা যেত, এত বরকতময় অনুষ্ঠান রাজধানী দিল্লীর অন্তর্গত ফতেহপুরী জামে মসজিদে এশার নামাজান্তে শুরু হত এবং ফজরের নামায পর্যন্ত জারী থাকত। ফজরের নামাজান্তে অনুমান দশ মন শিন্নি বিতরণ করা যেত যোদ্ধারা মেহমানদেরও সংখ্যা ভালরূপে অনুমান করা যেতে পারে। ১২ই রবিউল আওয়াল তারিখের সকাল ১০ টা হতে ভোজনালয় শুরু হয়ে তৃতীয় প্রহর পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশ মন খাওয়া আহার করা যেত। আবার জোহরের নামাযের পর দ্বিতীয় অধিবেশন আরম্ভ হয়ে বিকাল আসর পর্যন্ত জারী থাকত। (মাওয়াইযে মাযহারী ১৫৯ পৃঃ)
এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে, এত বড় মুফ্তীয়ে আজম এত প্রচুর পরিমাণ টাকা পয়সা খরচ করে পরম জাক-জমকে এবং সমারোহের সাথে মীলাদুন্নবীর মাহফিল উদযাপন করলেন। যদি এ মাহফিল নাজাইয বা বিদআত হতো, তবে কি এত বড় যুগশ্রেষ্ঠ বুজুর্গ ব্যক্তিত্ব হতে কি এ ধরনের নাজাইয কাজ প্রকাশ পাওয়ার কল্পনা করা যেত?
হযরত মাওলানা হাছন আলী লকনভী (রঃ): রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের উদ্দেশ্যে মীলাদ শরীফের মাহফিল অনুষ্ঠিত করা একটি উত্তম বরং মুস্তাহাব কাজ এবং নেকীর কারণ। মীলাদ অনুষ্ঠানের দলীলসমূহ কিতাবাদির মধ্যে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মহানুভব মুহাদ্দিসীন ও উলামায়ে কেরাম লিখেছেন। (আদ্দুররুল মুনাজ্জাম)
হযরত মাওলানা ফজুলুর রহমান গঞ্জমুরাদাবাদী (রঃ): খাজা নূরুল হাছান (রঃ) তদীয় “রিসালায়ে আসরারে মহব্বত” নামক কিতাবের মধ্যে লিখেছেন:- কুতবুল আকতাব হযরত মাওলানা ফজলুর রহমান গঞ্জমুরাদাবাদী (রঃ) বলেন যে, আমার উস্তাদ হয়রত মুহাম্মদ ইছহাক দেহলভী (রঃ) এর সঙ্গে মীলাদ শরীফে যেতাম।
হযরত মাওলানা মুফ্তী ছা’দুল্লাহ মুরাদাবাদী (রঃ): যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুনিয়ার শুভাগমন উপলক্ষে উত্তম নিয়ত সহাকারে এবং খুশী প্রকাশার্থে মাহফিল করে হযরতের জীবনীর বিভিন্ন দিক আলোচনা করে মু’জিযা বা অলৌকিক ঘটনাবলী উল্লেখ করে খয়রাত করতঃ দান দক্ষিণা করা হয়। আর তাতে শীরয়ত বিরোধী কোন কাজ শামীল না হয় তবে নিশ্চয়ই তা মুস্তাহাব কার্যাবলীর মধ্যে গণ্য হবে। অতএব, মীলাদুন্নবীর দিবসকে ঈদের দিনের ন্যায় গণ্য করে এতে আনন্দ প্রকাশ করা জাইয আছে। (ফাতাওয়া ছায়দিয়া)
হয়রত সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরেলভী (রঃ): হযরত সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরেলভী (রঃ) এর জীবনী পাঠ করলে মালুম হয় যে, তিনি মীলাদ শরীফ পাঠ করেছেন। যেমন তাঁর একজন শিষ্য সৈয়দ মুহাম্মদ আলী সাহেব “মাখ্যনে আহমদী” নামক কিতাবে হযরতের আরব সফরের সম্পূর্ণ বিবরণ উল্লেখ করে লিখেছেন:- লস্কা নামক স্থান খবুই ভীতিপ্রদ, যেখানে জিন ভূত, দেও দানবরা পথিকদেরকে বড়ই উপদ্রব করতো যখন হযরত সৈয়দ সাহেবের জাহাজ সেখানে গিয়ে পৌছল। তখন হযরত কিবলাহ সমস্ত রাত্রি জাগ্রত থেকে হিজবুল বাহার পড়তে থাকেন। আল্লাহ তা’লার খাস রহমত এবং তাঁর যিকির আযকারের অসীলায় জিন ভূতের আক্রমণ হতে মুক্তি লাভ করলেন এবং ভোর বেলায় আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করণার্থে মীলাদ শরীফ পাঠ করেন।
পরিশেষে যখন প্রভাত হতে লাগল এবং জাহাজখানি নির্বিঘেœ ভীতিপ্রদ স্থানটি পার হয়ে গেল। প্রভাতে ক্যাপ্টেন কয়েক পেয়ালা হালুয়া সহকারে স্বীয় কক্ষ হতে বের হলো এবং মীলাদ পাঠ করে শিন্নি বিতরণ করা হলো। (মাখযানে আহমদী)
হয়রত শাহ মুহাম্মদ ইছহাক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ) : তিনি লিখেছেন, মীলাদ শরীফের উপর উরূসের কিয়াছ করা শুদ্ধ নয়। কারণ মীলাদ শরীফের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করা হয়। আর তা খুশীর কারণ। বিদআত ও শরীয়ত বিরোধী এবং নাজাইয কাজ হতে মুক্ত হলে খুশী এবং আনন্দের জন্য একত্রিত হওয়া কোন বাধা নেই।
বস্তুতঃ হুযূর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের বেলাদত শরীফের খুশীর ন্যায় খুশী আর কিছুতেই নেই। (মিয়াত মাসাইল মাসআলা নং ১৫)
হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রঃ): আল্লাহর পরিপূর্ণ ইলমে হক্বিক্বতের দলীল, যুগের সিদ্দীক বা সত্যবাদী, যামানার সার অভিজ্ঞ, ইলমে মা’রিফতের রহস্যবলীর উম্মোচনকারী, আধ্যাত্মিক দরিয়ার তাৎপর্যাবলীর ডুবুরী, আধ্যাত্মিক জ্ঞানের মুক্তাসমুহের দরিয়া, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পরিষদ, আল্লাহর দরবারের মকবুল বান্দা, শাহ হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেব থানভী (রঃ)। (ফাতওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ ১ খ. ৫৪ পৃ.)
(চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।