Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাবনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চরমপন্থি বাহিনীর প্রধান নিহত

পাবনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮, ৫:১৯ পিএম

পাবনার বেড়া উপজেলাধীন আমিনপুর থানার ঢালারচরে চরমপন্থি দলের নেতা জুলহাস বাহিনীর প্রধান জুলহাস মন্ডল(৪২) কথিত বন্দুকযুদ্ধে মধ্যে ক্রস ফায়ারে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবী সে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দেশীয় ওয়ান শুটারগান(স্বয়ংক্রিয়), ০৭ রাউন্ড বন্দুকের তাজা কার্তুজ ও ০৬ রাউন্ড বন্দুকের গুলির খোসা, একটি দেশীয় তৈরি পয়েন্ট টুটু বোর পিস্তল, এক রাউন্ড .২২ বোর পিস্তলের তাজা গুলি ও একটি খালী খোসা, এবং দুইটি রামদা ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয় । বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে পুলিশের ৪জন সদস্য আহত হয়েছেন । মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত জুলহাস আমিনপুর থানার দড়িরচর মন্ডলপাড়া গ্রামের জসিম ওরফে জেসেম মন্ডলের পুত্র।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম সাংবাদিকদের জানান, বেশ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামী, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি নেতা জুলহাস মন্ডলকে অতি সম্প্রতি ঢাকা থেকে ডিএমপির নিউ মার্কেট থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে । মঙ্গলবার ৩০ জানুয়ারি/১৮ তাকে পাবনার আমিনপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার সহযোগী ও ব্যবহৃত অস্ত্র গোলাবারুদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্যানুসারে আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার মোহন্ত ও একদল পুলিশ ধৃত জুলহাসকে নিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দিকে দিকে ঢালারচরের দড়িরচরে অভিযানে যায়। ঢালারচরের বালাজ মেম্বারের মোড় নামক স্থানে জুলহাসকে ছিনিয়ে নিতে তার সহযোগীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ও জানমাল রক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। এসময় পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে জুলহাস মন্ডল এবং ক্রস ফায়ারের মধ্যে পরে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধের সময় দুর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রায় ৩০/৪০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশের পাল্টা গুলিতে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ জুলহাসকে উদ্ধার করে বেড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দুকযুদ্ধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ