পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য প্রযুক্তি আইনের সমালোচিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করে সেগুলোর বিস্তারিত বিন্যাস সংযোজনের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
গতকাল সোমবার প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় বৈঠকে আইনটির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা বিলুপ্তির কথা বলা হয়েছে। মানহানিকর তথ্য পরিবেশনের জন্য খসড়া আইনে তিন বছরের কারাদন্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই আইনে জামিনযোগ্য ও জামিন অযোগ্য বেশ কিছু ধারা রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়ায় জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা, প্রচারণার মদদ দেয়ার শাস্তি অনধিক ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করে ইলেকট্রনিক মাধ্যম বা ওয়েবসাইটে প্রচার করলে ১০ বছরের কারাদন্ড এবং সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্টের শাস্তি সাত বছর কারাদন্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৬ সালের বছরের ২২ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এই প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কয়েক দফা সভা করার পর গত বছরের ২৯ নভেম্বর এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়। এরপরই খসড়াটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাঠায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। তার বদলে এসব ধারার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে অপরাধের প্রকৃতি অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। প্রস্তাবিত এই আইনে জামিনযোগ্য ও জামিন অযোগ্য বেশ কিছু ধারা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্য খসড়ায় সর্বোচ্চ ১৪ বছর জেল এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের কয়েকটি ধারায় শাস্তির বিধান আছে, কিন্তু সেগুলো অপর্যাপ্ত। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আইন আছে। পাশের দেশ ভারতেও একটি বিস্তারিত আইন আছে, তার আদলেই বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা স¤প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হয় বা ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহলে এ কাজ অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধে সর্বোচ্চ ১৪ বছর ও সর্বনিম্ন সাত বছর কারাদন্ড এবং সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে বিদ্যমান আইনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।