মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বখ্যাত টেবিল মাউন্টেন বা টেবিলের মতো পর্বত, আফ্রিকান পেঙ্গুইন, সাগর ও রোদের উজ্জ্বলতার শহর হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন। আর এসব কারণেই বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রে থাকা জায়গাগুলোর মধ্যে এটিও একটি। কিন্তু খুব সহসাই এ শহরটির ‹বিখ্যাত› হয়ে উঠতে পারে আরও একটি কারণে, আর সেটি হলো সম্ভবত কেপটাউনই হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম পানিহীন শহরে।
সা¤প্রতিক উপাত্তগুলো আভাস দিচ্ছে যে মার্চের শুরুতেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে কেপটাউনের অধিবাসীরা কিংবা ভ্রমণরত পর্যটকরা। এ সংকট বা সমস্যার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে গত তিন বছরে ইতিহাসের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে সেখানে। অন্যদিকে দিনে দিনে শহরটিতে জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে।
শহরের প্রায় চল্লিশ লাখ অধিবাসীকে সংরক্ষণ করা পানি ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে তাও আবার দিনে কোনভাবে ৮৭ লিটারের বেশি নয়। খাবার, গোসল, টয়লেট কিংবা আনুষঙ্গিক সব দরকারের জন্যই এটুকু বরাদ্দ। গাড়ী ধোয়া বা সুইমিং পুলে পানি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেপটাউনেই বসবাস করেন বিবিসির মোহাম্মেদ আলীঈ। এই ভয়াবহ পানি সংকটের মধ্যে জীবন কেমন চলছে-তার একটি বিবরণ দিয়েছেন তিনি নিজেই। আমার স্ত্রী এখন আর শাওয়ার নেন না। তিনি দেড় লিটারের মতো পানি ফুটিয়ে তার সাথে এক লিটারের মতো টেপ ওয়াটার মিশিয়ে তার ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহার করেন। আবার একবার ব্যবহৃত পানি আমরা সংরক্ষণ করি টয়লেটে ব্যবহারের জন্যগ্ধ। তিনি জানান কেপটাউনের অন্য অধিবাসীদের মতোই তার পরিবারের চার সদস্যও সংরক্ষণ করা পানি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। সন্তানরা গোসল সারে মাত্র দু মিনিটের মধ্যে। তীব্র খরার সময় পানি ব্যবহারের সীমা ৫০ লিটারে নামিয়ে আনেন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সব প্রচেষ্টা আসলে ডে-জিরোকে বিলম্বিত করা।
ডে-জিরোর নির্ধারণ হয়ে আছে ১২ই এপ্রিল, যেদিন কেপটাউনের পানি সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
কিন্তু ৫০ লিটার পানি ব্যবহার মাত্র- এটি সত্যিই কঠিন সেখানকার মানুষের জন্য, কারণ সাধারণত একবার শাওয়ার বা গোসলের সময় প্রতি মিনিটে দরকার হয় ১৫ লিটার পানি। কিংবা টয়লেটে ফ্ল্যাশে প্রতিবার দরকার হয় ১৫ লিটারের মতো পানি।
কেপটাউনের পানি বিষয়ক তথ্য:
পানি ব্যবহারের সীমা: প্রতি অধিবাসী ৮৭ লিটার, পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ৫০ লিটার।
ডে জিরো: ১২ এপ্রিল
প্রয়োজন ছাড়া টয়লেট ফ্ল্যাশ নয়, প্রতি ফ্ল্যাশে লাগে ১৫ লিটার পানি। শাওয়ার বা বেসিনে ব্যবহৃত পানি টয়লেট, গাড়ী ধোয়া বা বাগানের কাজে ব্যবহার। পানির এমন সংকটের সাথে মানুষ যেমন অভ্যস্ত হচ্ছে তেমনি এ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ অভিযোগও। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।