পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কোনো রায়ের মাধ্যমে জেলে দেওয়া হলে দলের সিনিয়র নেতারা সকলে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবে বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, মামলায় যদি ন্যায়ভিত্তিক সুবিচার, সাক্ষীপ্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেয়া হয় তাহলে তিনি (খালেদা জিয়া) বেকসুর খালাস পাবেন। যদি অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে জেলে দেয়া হয় তাহলে শুরু হবে সরকার পতনের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার গঠন করা হবে। শুধু তা-ই নয়, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হলে আমরা দলের সিনিয়র নেতারা স্বেচ্ছায় জেলে যেতেও প্রস্তুত। গতকাল (রোববার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার সঠিক রায় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আবার একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে মরিয়া সরকার। এ কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা অস্বাভাবিক গতিতে পরিচালিত হয়েছে। তড়িঘড়ি করে রায়ের দিন ঘোষণা করা হয়েছে, যা কখনও আইনি কর্মকান্ড হতে পারে না। আমরা মনে করি এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকান্ড। মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলার মাধ্যমে বিএনপিকে বিভক্তি করা তো দূরের কথা দুর্বলও করা যাবে না মন্তব্য করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপি অত্যন্ত শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ একটি দল। চুল পরিমাণ ফাঁক নেই যেখানে সরকারের ষড়যন্ত্রের রেখা পৌঁছাতে পারে।
দেশে দুঃসময় ও ক্রান্তিকাল চলছে উল্লেখ করে দলটির এ নীতিনির্ধারক বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার বৃহৎ কারাগারে পরিণত। এ কারাগার থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। সেই মুক্তির দায়-দায়িত্ব যখন বিএনপিকেই নিতে হচ্ছে ঠিক তখন ক্ষমতাসীন সরকার জাতীয়তাবাদী দলকে দাবিয়ে রাখতে তাদের কণ্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কেননা তারা (সরকার) ভালো করে জানে জনগণ একবার ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে এ সরকার টিকতে পারবে না। খালেদা জিয়া ব্যতীত একাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে দেয়া হবে না মন্তব্য করে মোশাররফ বলেন, ২০১৪ সালে তথাকথিত নির্বাচনে ১৫৪ আসনে ভোট হয়নি। এ সরকার জনগণের সরকার নয়, বয়কট সরকার। ফলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা এখন দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাই সরকারকে বলতে চাই, আপনারা বৃথা চেষ্টা করছেন, এদেশে সেরকম নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি ছাড়া এদেশে নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীর মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।