পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : শত্রুদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, যারা আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবে আমরা তাদের স্বাগত জানাব। আর যে সাহায্য চাইবে তার সঙ্গে প্রয়োজনে রুটি (খাবার) ভাগ করে খাব। কিন্তু যারা তুরস্কের ক্ষতি করতে চাইবে তাদের ক্ষমা করা হবে না। গত শনিবার দেশটির রাজধানী ইস্তাম্বুলে কাশিমপাশা-হাস্কয় নামক একটি টানেল উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এরদোগান বলেন, তুরস্ক কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য যারা তুরস্কের ভবিষ্যৎ শত্রু আমরা তাদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ক্ষমতা প্রদর্শন করব না। উল্লেখ্য, তুরস্ক সিরিয়ার আফরিন এলাকায় পিকেকে ও দাশেয়ের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহ থেকে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। পিকেকে ও দায়েশকে তুরস্ক তাদের শত্রু মনে করে। আফরিন ও আজাজ অঞ্চলে অভিযান শেষ হওয়ার পর তুর্কি বাহিনী মানজিব প্রদেশেও অভিযান চালাবে বলে জানান এরদোগান। অপর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহীদের থেকে মিত্রদের থেকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। গত শনিবার ইস্তাম্বুলে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান। ভাষণে এরদোগান কুর্দিদের জন্য অব্যাহত সমর্থনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেন। যদিও তিনি ন্যাটোর এই মিত্র দেশটির নাম সরাসরি উল্লেখ করা থেকে বিরত ছিলেন। এর আগে, তিনি সিরিয়ার আফরিন অঞ্চলে ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ’ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন। তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত কুর্দিশ মিলিশিয়া পিওয়াইডি-ওয়াইপিজির সদস্যরা চলে না যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ভাষণে এরদোগান বলেন, তারা সন্ত্রাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নিজস্ব ইচ্ছার পদধ্বনি দিচ্ছে এবং সতর্ক বার্তা দিচ্ছে যে তাদের কারোরই কোনো কিছুই ঘটতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, ‘আপনি যদি ভিজতে না চান, তাহলে বৃষ্টির জন্য আপনার অপেক্ষা করা উচিত নয়।’ এরদোগান তার দেশের চলমান সামরিক অভিযান মানবিজ এলাকায় সম্প্রসারিত করার প্রতিজ্ঞা করেন। এই মানবিজ এলাকাতেই কুর্দিদের সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর সৈন্যরা অবস্থান করছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, যে কোনো ‘ভুল হিসাব’ তুর্কি ও আমেরিকান বাহিনীর মধ্যে একটি সরাসরি দ্ব›েদ্বর জন্ম দিতে পারে। এর আগে তুর্কি সেনাবাহিনী জানায়, এক সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া এই অপারেশনে এ পর্যন্ত কুর্দিশ গোষ্ঠীর অবস্থানকে লক্ষ্য করে তারা কয়েকশ’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। এতে ইসলামিক স্টেট ও পিওয়াইডি-ওয়াইপিজি সহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কমপক্ষে ৩৯৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীকে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও বিমান সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ওয়াশিংটন আঙ্কারাকে ক্ষুব্ধ করেছে। তুরস্ক মনে করে যে ওয়াইপিজি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একটি বর্ধিত অংশ। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পিকেকে তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কুর্দিশ অঞ্চলে ভয়াবহ বিদ্রোহ সৃষ্টি করে চলেছে। গত শনিবার থেকে সিরিয়ার বিদ্রোহী দল কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে ‘অলিভ ব্রাঞ্চ’ নামে অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক সেনাবাহিনী। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আফরিন থেকে কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন ইউনিটকে (ওয়াইপিজি) বিতাড়িত করতে স্থল ও আকাশ পথে অভিযান শুরু করে তুর্কি বাহিনী। আনাদোলু, বøুমবার্গ ডটকম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।