Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রেসিডেন্ট পদ হারাতে পারেন ট্রাম্প

রুশ সংযোগ তদন্তে সাক্ষ্য দিতে রাজি আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : কঠিন চাপের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার সম্ভাব্য আঁতাতের বিষয়ের তদন্ত এখন তাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সম্ভাব্য আঁতাতের ঘটনা খতিয়ে দেখতে নিযুক্ত বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারের তদন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদ একটি সম্ভাব্য ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা অনেকের। এতে প্রেসিডেন্ট পদ হারাতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ এবং তার প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুলারের তদন্ত দল। সম্ভাব্য আঁতাতের বিষয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত করা মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কেবল তা-ই নয়, স্বয়ং আঁতাতের বিষয়ে এবার ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান মুলার। মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জেফ সেশন্স ও জেমস কোমিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ প্রমাণ করে রবার্ট মুলারের স্পষ্ট ধারণা আছে তিনি কী করতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাধা দিয়েছিলেন, মুলারের তদন্তের মাধ্যমে হয়তো সেই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা অনেকের। অপর এক খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচনের সময় তার রুশ সংযোগ নিয়ে তদন্তে সাক্ষ্য দিতে তিনি রাজি আছেন। বিষয়টি নিয়ে সিআইএ-এর পরিচালক মাইক পম্পেও-কে জিজ্ঞাসাবাদের পরই গুঞ্জন উঠে এবার ট্রাম্পকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্তে নিয়োজিত স্পেশাল কাউন্সেল। এর মধ্যেই বুধবার ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য এলো। ডোনাল্ড ট্রাম্পহোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, শপথ অনুযায়ী তিনি স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সম্মত রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমি এর জন্য অপেক্ষা করছি। শপথ অনুযায়ী আমি এতে অংশ নেবো। যত দ্রæত সম্ভব আমি এতে অংশ নিতে চাই। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মুলারের তদন্তে সহযোগিতার কথা বলা হলেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেননা ইতোপূর্বে এই তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছে ট্রাম্প শিবির। জিজ্ঞাসাবাদের সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এটি আমার আইনজীবীদের বিষয়। সাংবাদিকরা জানতে চান, ট্রাম্প এটা মনে করেন কিনা যে, স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলার তাকে ন্যায্য সম্মান দেবে? উত্তরে তিনি বলেন, আমরা এটি খুঁজে বের করতে যাচ্ছি। মুলার এককালে এফবিআইয়ের পরিচালক ছিলেন। তার সাবেক সহকারী মাইকেল জেলডিন বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বাধা কোন পর্যায়ের অপরাধ, মুলার সম্ভবত সেই বিষয়টি নির্ধারণের চেষ্টা করছেন। এটা কি অভিশংসনযোগ্য অপরাধ, নাকি এর দ্বারা কোনো অপরাধই সংঘটিত হয়নি, তাই নির্ধারণের চেষ্টা করছেন বিশেষ কৌঁসুলি। গত মে মাসে কোমিকে বরখাস্তের পর ক্রিস্টোফার রেকে এফবিআই পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাম্প। স¤প্রতি খবর হচ্ছে, ক্রিস্টোফারও পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। কারণ, ট্রাম্পের অনুগত অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স তাকে চাপ দিচ্ছেন এফবিআইতে জেমস কোমির নিয়োগ করা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিতে। কারণ, ট্রাম্প মনে করেন ওই কর্মকর্তারা তাঁর প্রতি বিরাগভাজন। রুশ আঁতাত নিয়ে তদন্তে এই পর্যন্ত ট্রাম্পের চারজন শীর্ষ সহযোগী অভিযুক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের সাবেক প্রধান পল মানাফোর্ট এবং তাঁর প্রচারণা শিবিরের সাবেক পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা জর্জ পাপাডোপুলাস। তবে এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেআইনি কাজের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। রয়টার্স, সিএনএন।

 



 

Show all comments
  • নিজাম ২৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ৫:৩০ এএম says : 1
    আরো আগেই হারানো উচিত ছিলো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ