পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য ভোটার তালিকা চেয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার ইসি সচিবালয় থেকে স্পিকার বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি কমিশন বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর এ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তিনি আরো বলেন, স্পিকারের কাছে সংসদ সদস্যদের তালিকা অর্থাৎ ভোটার তালিকা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার থেকে ২১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষণ গণনাও শুরু হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইসির প্রস্তুতির মাঝেই গত সোমবার রাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে বলে ইসির কাছে জানতে পেরেছি। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯ মেয়াদে ১৬ জন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। সেই হিসেবে আবদুল হামিদ এই পদে সপ্তদশ ব্যক্তি। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্যপদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩ এপ্রিল। সেক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে কমিশনকে মেয়াদ শেষের ৬০ দিন আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট করার প্রস্তুতি নেয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। সে ক্ষেত্রে চলতি অধিবেশনেই হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইন ১৯৯১ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এমপিদের ভোটে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাতে নির্বাচনী কর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইনের সপ্তম ধারায় বলা হয়েছে- নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্ধারিত দিন, সময় ও স্থানে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষার পর একজনের মনোনয়নপত্র বৈধ থাকলে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তিকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন। তবে একাধিক ব্যক্তির মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাদের নাম ঘোষণা করবেন। সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় একবারই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থীই বি না প্রতিদ্ব›িদ্বতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী, একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনী কর্তার সামনে নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও নিজের স্বাক্ষর দিয়ে তা জমা দিতে হবে। ভোটের দিন গ্যালারিসহ সংসদ কক্ষে প্রার্থী, ভোটার, ভোট নেয়ায় সহায়তাকারী কর্মকর্তা ছাড়া সবার প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করবেন নির্বাচনী কর্তা। ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনার প্রকাশ্যে ভোট গণনা করবেন। সর্বাধিক সংখ্যক ভোটপ্রাপ্তকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।