পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মন্ত্রী-সচিবরা শীতল পাটি নিলেন
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে এবং তাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়াটা হবে সরকারের অনেক বড় অর্জন।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এসব কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় বলছে, আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। চলতি বছরের মার্চে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এর জন্য তিনটি সূচকই এরমধ্যে অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় দেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে রফতানি কমে যাবে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল ১৮ হাজার কোটি টাকা রফতানি কমে যাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়াটা আমাদের সরকারের জন্য অনেক বড় অর্জন হবে। যারা এখন এটা নিয়ে সমালোচনা করছে, আমরা এই জায়গায় পৌঁছাতে না পারলে, তারাই আবার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠতো। তারা বলতো সরকার পারলো না, সরকার ব্যথ। আমরা মধ্যম আয়ের দেশের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে না পারলে তখন বলা হতো, সরকারের অক্ষমতার কারণে হয়নি। এই অর্জন আমাদের জন্য একটা বড় গর্বের বিষয়, এটা একটা বিরাট সফলতা। এটা সমালোচকরা দেখবে না। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ হলে অনেক রাষ্ট্রই বিনিয়োগ করতে আসবে। বিনিয়োগে তারা আগ্রহী হবে। আমরা নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করছি, আমাদের সক্ষমতার কারণে এখন বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবি আরও বেশি ঋণ দিতে চায়। ১৮ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসতে পারে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল, এটা মনে করে অনেকেই বিনিয়োগ করতে আসবে। বিনিয়োগও বাড়বে।
গত বছরের শেষে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকেট, উদ্বোধনী খাম এবং একটি বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হারের তুলনামূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে আটটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৬৮টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৩টির, ১৫টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৭৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০১৬ সালের একই সময়ে ১০টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, ওই সময়ে সিদ্ধান্ত হয় ১১৬টি, যার মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ৮০টি। ৩৬টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন ছিল। বাস্তবায়নের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সচিব জিয়াউল বলেন, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আটটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি নীতি বা কর্মকৌশল অনুমোদিত হয়েছে। আর সংসদে পাস হয়েছে তিনটি আইন। ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আটটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং পাঁচটি নীতি বা কর্মকৌশল অনুমোদিত হয়েছিল। ওই সময়ে সংসদে ১১টি আইন পাস হয়।
মন্ত্রী-সচিবরা পেলেন শীতলপাটি
শীতলপাটির বয়নপদ্ধতি ইউনেস্কোর নির্বস্তÍক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়ায় মন্ত্রিসভার সদস্য এবং মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থিত সচিবদের একটি করে শীতলপাটি দেওয়া হয়েছে। সচিব জিয়াউল আলম বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফয়েজ আহমেদ মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সচিবদের শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে শীতলপাটি দেন। কাস্টমস দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকেট উন্মোচন\ এন এম জিয়াউল আলম বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরুর আগে শেখ হাসিনা এই ডাক টিকেট ও খাম উন্মোচন করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাক টিকেট, একই মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডেটা কার্ড ও বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন। আগামী ২৬ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের ১৮২টি সদস্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হবে। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালন করে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।