Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের সংবর্ধনা শিল্পীদের বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে : ডা. কামরুল হাসান খান

প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মহান স্বাধীনতা দিবস-২০১৬ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মহান ও গুণী শিল্পীদের এক গুরুত্বপূর্ণ সংবর্ধনা দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান। অনুষ্ঠানে ভিসি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের ফুলেল শুভেচ্ছা, সম্মাননা স্মারক প্রদান এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন। পরে শব্দসৈনিক কামাল লোহানী প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খানকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। শব্দসৈনিক মো. মনোয়ার হোসেন খান ডা. কামরুল হাসান খানের হাতে মুক্তিযুদ্ধকালীন ২৪টি গানের একটি সিডি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের তালিকা তুলে দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ডা. এসএম মোস্তফা জামান। পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা মহান মুক্তযুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত, উদীপ্ত, অণুপ্রাণিত করার আগুনঝরা স্বাধীনতার গান পরিবেশন করেন।
ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের পদধূলীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি আরো পবিত্র হলো। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীনতার গান, চরমপত্র পাঠ ইত্যাদির মাধ্যমে একযোগে সমগ্র বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছেন। প্রকৃতপক্ষে এভাবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা একযোগে সমগ্র বাংলাদেশে যুদ্ধ করেছেন। তারা এদেশের বড় মাপের মুক্তিযোদ্ধা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। ভিসি তার বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। তাই জয় বাংলা ¯েøাগান ও বঙ্গবন্ধুকে আমরা যেনো ভুলে না যাই।
শব্দসৈনিক কামাল লোহানী বলেন, স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শিল্পীরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে সঙ্গীত পরিবেশনসহ বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ, উজ্জীবিত, আন্দোলিত, আলোড়িত করেছেন। তবলা ছিলো না, তাই টেবিলে টোকা দিয়ে গান পরিবেশন করে সে গান রেকর্ড করে পরে তা প্রচার করা হতো। কাগজ ছিলো না, তাই সংবাদপত্রের সাদা (অলিখিত অংশে) অংশে সংবাদ লিখে তা চরমপত্র আকারে সংবাদ পাঠ করা হতো।
যাঁদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয় তারা হলেনÑশব্দসৈনিক রেজাউল করিম চৌধুরী, শব্দসৈনিক কামাল লোহানী, শব্দসৈনিক আশরাফুল আলম, শব্দসৈনিক বুলবুল মহলানবীশ, শব্দসৈনিক আ. ম. সারফুজ্জামান, শব্দসৈনিক মো. মনোয়ার হোসেন খান, শব্দসৈনিক রথীন্দ্র নাথ রায়, শব্দসৈনিক ফকির আলমগীর, শব্দসৈনিক মাজহারুল ইসলাম, শব্দসৈনিক মাওলানা শেখ মো. উবায়দুল্লাহ, শব্দসৈনিক মঞ্জুলা দাস গুপ্তা, শব্দসৈনিক মঞ্জুশ্রী নিয়োগী, শব্দসৈনিক ডালিয়া নওশিন, শব্দসৈনিক শহীদ হাসান, শব্দসৈনিক আবু নওশের, শব্দসৈনিক এমএ মান্নান, শব্দসৈনিক তিমির নন্দী, শব্দসৈনিক আজহারুল ইসলাম, শব্দসৈনিক শীলা ভদ্র, শব্দসৈনিক আশফাকুর রহমান খান প্রমুখ। মোট ২৪ জন মহান শিল্পীকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ