পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো. হেদায়েত উল্লাহ, টঙ্গী থেকে : টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব গতকাল শুক্রবার শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত হয়েছে। আগামীকাল রোববার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমা। রাজধানী ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গী শিল্পনগরী তুরাগ নদীর তীরে এ বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন। শুক্রবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে মুসল্লীদের সাথে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বীদের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমায় দেশের ১৪ জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরাও দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিয়েছেন। এ পর্বের জন্য ইজতেমা ময়দানকে জেলাওয়ারি ২৮টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে ইজতেমা ময়দানে দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেছেন। জুমার নামাজে ইমামতি করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের খতিব হাফেজ হযরত মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের। জুমার নামাজে অংশ নিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয় ইজতেমা ময়দান। নামাজে অংশ নিতে গাজীপুর ও ঢাকাসহ আশপাশের জেলার মুসল্লিরা ভোর থেকে ময়দানে আসতে শুরু করেন। ইজতেমা ময়দান এবং ময়দানে স্থান না পেয়ে সড়ক-মহাসড়ক, অলিগলিসহ বিভিন্ন স্থানে পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ, চাদর ও পলিথিন বিছিয়ে মুসল্লিরা জুমার নামাজে শরিক হন।
ইজতেমার মুরুব্বি প্রকৌশলী মন্তাজ জানান, শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। বাদ ফজর আম বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা ফারুক। বাদ জোহর ঈমান ও আমলের উপর হেদায়েতী বয়ান করেন মাওলানা শেখ আহমদ মাসুদ ও বাদ আছর তাবলীগ জামাতের ৬ উছুলের ওপর বয়ান করেন মাওলানা ইউনুছ পালনপুরি।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ৩৫টি দেশের ২ হাজার ৫শ’ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। এসময় তিনি আরো জানান, প্রথম পর্বের মতো র্যাব, পুলিশের ৮ স্তরের কড়া নিরাপত্তা অবস্থায় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। আশপাশ এলাকায় জেলা প্রশাসনের ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ভেজালবিরোধী অভিযান এবং উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার মুরুব্বী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন জানান, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে মুসল্লিরা জামাতবদ্ধ হয়ে বুধবার রাত থেকে ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেন এবং ময়দানে জেলাওয়ারি খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান নেন। কেউবা বাস, ট্রাক, পিকআপ, লেগুনা, কেউবা ট্রেনে, নৌকায় চড়ে এবং ট্রেনে করে ইজতেমাস্থলে আসছেন। যানবাহন থেকে নেমে তারা তাদের প্রয়োজনীয় মাল ছামানা নিয়ে নিজ নিজ জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। মুসল্লিদের ইজতেমা ময়দানে আসার এ ঢল আখেরী মোনাজাতের আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
জুম্মার নামাজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অংশগ্রহণ:
শুক্রবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরির্দশনে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাওলানা সা’দ ইস্যুতে কোনো প্রভাব এবারের বিশ্ব ইজতেমায় পড়েনি, ভবিষ্যতেও পড়বে না বলে তিনি জানান। শুক্রবার দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন পুলিশ কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব একথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, এডিশনাল আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর রশিদসহ পুলিশ ও র্যাবের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের সদস্যদের মধ্যে মতভেদ আছে। তারই একটি ধারবাহিকতা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সরকার এ মতভেদ দূর করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। ফলে ইজতেমার প্রথম পর্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, দ্বিতীয় পর্বও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, ইজতেমার প্রথম পর্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ হাজারের বেশি বিদেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় পর্বেও অনেক বিদেশি এসেছেন। এ পর্ব শেষেও শান্তিপূর্ণভাবে মুসল্লিরা বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন। সরকারি ভাবে মুসল্লীদের ইবাদত বন্দেগী নির্বিঘœ করতে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা নজরদারিসহ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সেবা, পয়ঃনিষ্কাশনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক ব্যবস্থা প্রথম পর্বের মতোই এবার রাখা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নারায়গঞ্জের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে আছে। যারা অস্ত্র দেখিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।’
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ৩৫ দেশের মুসল্লি:
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহমুদ হাসান বলেন, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় ৩৫টি দেশের ২ হাজার ৫শ’ বিদেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। বিদেশি মেহমানদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, বিদেশি মেহমানদের জন্য পৃথক পাঁচটি বøক, পৃথক থাকার ব্যবস্থাসহ তাদের নিরাপত্তার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিদেশি মেহমানরা যাতে সহি-সালামতে বাংলাদেশের আতিথেয়তা এবং শুদ্ধ ইসলামের চর্চা করে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন সেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিদেশি মেহমানদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ইজতেমা সফল করতে ৭৫টি দফতরের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। অবকাঠামো, ইউটিলিটি ও নিরাপত্তাসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে অবস্থানরত মুসল্লিদের ২৮টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এসব খিত্তার মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, পয়ঃনিষ্কাসন ব্যবস্থাসহ সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে, মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জল, স্থল ও আকাশ পথে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রাহাতুল ইসলাম জানান, বিদেশি মেহমানদের রান্নার কাজের জন্য ১৩৬টি গ্যাসের চুলা স্থাপন করা হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ঢাকা জেলার খিত্তা নং-১ হইতে ১০ এবং ১৮ ও ১৯), জামালপুর জেলা খিত্তা নং-১১ ও ১২, ফরিদপুর জেলা খিত্তা নং-১৩, ফরিদপুর জেলা খিত্তা নং-১৪, ঝিনাইদহ জেলা খিত্তা নং-১৫, ফেনী জেলা খিত্তা নং-১৬, সুনামগঞ্জ জেলা খিত্তা নং-১৭, চুয়াডাঙ্গা জেলা খিত্তা নং-২০, কুমিল্লা জেলা খিত্তা নং-২১ ও ২২, রাজশাহী জেলা খিত্তা নং-২৩ ও ২৪, খুলনা জেলা খিত্তা নং-২৫ ও ২৭, ঠাকুরগাঁও জেলা খিত্তা নং-২৬ ও পিরোজপুর জেলা খিত্তা নং-২৮ এ অংশ নিবেন। তবে ঢাকা জেলার মুসল্লীরা ইজতেমার দুই পর্বেই অংশ নিচ্ছেন। মুসল্লীদের সুবিধার্থে ময়দানের উত্তর দিক থেকে ক্রমানুসারে দক্ষিণ দিকে খিত্তার নম্বর বসানো হয়েছে।
ইজতেমায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ৬৬৬ পুলিশ, আনসার ৩০০
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব সফল করতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ৬৬৬ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তাদেরকে সহযোগিতা করছেন ৩০০ আনসার সদস্য।
গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইজতেমায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে দু’জন এডিশনাল এসপি ও চারজন এএসপির নেতৃত্বে ২৮জন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া ট্রাফিক সার্জেন্ট ৮১ জন, হাবিলদার ৫৫ জন, ট্রাফিক কনস্টেবল ৪৯৬ জনসহ ৩০০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
গাড়ি পার্কিং
রেইনবো ক্রসিং থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। ইজতেমায় আসা সম্মানিত মুসল্লিদের যানবাহনগুলো নিম্নবর্ণিত স্থানে পার্কিং করা যাবে-
চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং : গাউসুল আজম অ্যাভিনিউ (১৩ নম্বর সেক্টর রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত হয়ে গরিবে নেওয়াজ রোড)।
ঢাকা বিভাগ পার্কিং : সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা থেকে দিয়াবাড়ী খালপাড় পর্যন্ত।
সিলেট বিভাগ : উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর শাহমখদুম অ্যাভিনিউ।
খুলনা বিভাগ : উত্তরা ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের খালি জায়গা।
রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ : প্রত্যাশা হাউজিং এ পার্কিং করা যাবে।
বরিশাল বিভাগ : ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডবিøউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
ঢাকা মহানগরী : উত্তরা শাহজালাল অ্যাভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ-২ এর আশপাশের খালি জায়গা।
আর নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক বা হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়।
ডাইভারশন : দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন ২১ জানুয়ারি ভোর ৪টা থেকে মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন গ্যাপ, প্রগতি সরণি, কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২, ধউর ব্রিজ, বেড়িবাঁধসংলগ্ন উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের প্রবেশ মুখ।
ডাইভারশন চলাকালীন : আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহন মহাখালী ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। কাকলী, মিরপুর থেকে আসা যানবাহনগুলো এয়ারপোর্টের দিকে না গিয়ে হোটেল রেডিসন গ্যাপ এবং কুড়িল বিশ্বরোডে ইউটার্ন করে বা ফ্লাইওভার হয়ে প্রগতি সরণি দিয়ে চলাচল করবে। আর প্রগতি সরণি থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো বিশ্বরোড ক্রসিংয়ে ইউটার্ন করে বা ফ্লাইওভার দিয়ে কাকলী-মহাখালী রোড ও মিরপুর ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করবে। আর ২১ জানুয়ারি বিমানের অপারেশন্স ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সব যাবাহনের চালকদের বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেছে ডিএমপি। বিদেশগামী বা বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ৪টি বড় আকারের মাইক্রোবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেইটে ভোর ৪টা থেকে মোতায়েন থাকবে। ট্রাফিক সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যের জন্য প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৭১৩-৩৯৮৪৯৮) অথবা টিআই (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৭১১-৩৬৬৫৬১) নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারী তিনদিন ব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে ১৪ জানুয়ারী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মাঝে ৪দিন বিরতি দিয়ে গতকাল শুক্রবার থেকে ৩দিন ব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০১৮ সালের ৫৩ তম বিশ্ব ইজতেমা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।