Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আল-কোরআনের মাহাত্ম্য

| প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


আলেমা আমাতুল্লাহ তামান্না
\ শেষ \
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা:) উহুদের শহীদদের দুইজন কে এক সঙ্গে দাফন করতেন। জিজ্ঞেস করতেন, কে বেশী কুরআন শিখেছে? যার প্রতি ইশারা করা হত কবরে তাকে সামনে রাখতেন। বুখারী। হযরত জাবের (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) ইরশাদ করেন, কুরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ গৃহিত এবং এমন বিতর্ককারী যে সত্যবাদী হিসেবে স্বীকৃত ও যার বিতর্ক গ্রহনযোগ্য। যে কোরআন কে পিছনে ফেলে রাখবে কোরআন তাকে জাহান্নামে ফেলে দিবে। (ইবনে হিব্বান)
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য কোরআন কে নাজাতের উসীলা বানিয়ে দিন।
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, তোমাদের কেউ কি এটা পছন্দ করে, নিজের ঘরে গিয়ে তিনটি গর্ভবতী বড়সর মোটা উষ্ট্রী পেয়ে যাবে! আমরা বললাম, অবশ্যই আমরা এটা পছন্দ করি। হুযুর (সা:) বললেন, নামাযে তিনটি আয়াত পড়া তিনটি গর্ভবতী বড়সর মোটা উষ্ট্রী থেকে উত্তম। মুসলিম। এছাড়াও কুরআন মাজীদের প্রত্যেকটা সূরা ও আয়াতসমূহের বিভিন্ন ফযীলত ও উপকারিতা রয়েছে। হযরত রাসূল (সা:) বলেছেন, প্রত্যেক জিনিসের একটি ‘ক্বলব’ আছে। কোরআনের ক্বলব হচ্ছে ‘সূরা ইয়াসিন’। যদি কোন মূমূর্ষ ব্যক্তির পাশে বসে সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করে তবে মৃত্যুর কষ্ট লাঘব হয় এবং সহজে রূহ কবয (বের) হয়। প্রসব কষ্ট লাঘবে সূরা ইয়াসীনের প্রভাব ও বরকত বহু পরীক্ষিত ও প্রমানিত। যে কোন বিপদ ও অসুস্থতার সময় সূরা ইয়াসীনের খতম খুবই কার্যকরী। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেন, যে ঘরে প্রত্যহ মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করা হবে সে ঘরে আর্থিক অভাব অনটন থাকবে না। এছাড়াও সূরা মুলক সম্বন্ধে বর্ণিত আছে সূরা মূলক পাঠকারীর জন্য এস্তেগফার করা হয় অর্থাৎ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। হাদীস শরীফে আরও বর্ণিত আছেÑ যদি কোন ব্যক্তি সকাল-সন্ধা “তিন কুল” অর্থাৎ সূরা নাস, সূরা ফালাক, সূরা ইখলাস ও আয়াতুল কুরসী পড়ে শরীরে ফুঁক দেয় তবে সে জ্বিন-ভ‚ত, যাদু-টোনা ইত্যাদি এজাতীয় বালা-মুসীবত হতে হেফাজতে থাকিবে।
পরিশেষে পাঠকদের সমীপে আরজ এই যে, এত গুরুত্ব ও ফজীলত সত্তে¡ও যদি আমরা কুরআন মাজীদ তেলাওয়াতের প্রতি মনোযোগী না হই তাহলে যে শুধু এসবে ফজীলত হতে বঞ্চিত হতে হবে তা নয়। বরং আল্লাহর দরবারে অভিযুক্ত হতে হবে। কুরআন মাজীদ অভিযোগ করবে। নবী করীম (সা:) অভিযোগ করবেন। কুরআন তাকে পরিত্যাগকারীর বিরুদ্ধে তর্ক করবে এবং তার তর্ক মেনে নেওয়া হবে। আর নবীর অভিযোগের কথা খোদ কোরআনেই বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (সা:) বলেন, হে প্রভু, নিশ্চয় আমার জাতি এ কুরআনকে পরিত্যাক্ত বানিয়ে রেখেছে। সূরা ফুরকান: ৩০। আল্লাহ তাআলা নবী ও কুরআনের অভিযোগ থেকে আমাদের রক্ষা করুন। কুরআন শরীফ এর প্রতি অবহেলার মন মানসিকতা দূর করে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের তাওফীক দান করুন। আমীন!!

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ