Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোপালগঞ্জে বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুড়িতে আক্রান্ত দিশেহারা কৃষক

| প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে শৈত্য প্রবাহে ৫ হাজার হেক্টর বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। বীজতলার চারার পাতা ঝলসে হলুদ বর্ন ধারন করেছে। চারা বাড়ছে না। বীজতলা নিয়ে কৃষক বিপাকে পড়েছে। গত ১০ দিনের ঘন কুয়াশা, শীত ও শৈত্য প্রবাহে বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার পর কৃষি বিভাগের পরামর্শে সেচ ও ওষুধ ¯েপ্র করেও কৃষক ভাল রেজাল্ট পাচ্ছেনা। এ ছাড়া রোরো ক্ষেতে রোপন করা ধান গাছও কোল্ড ইনজুরিতে পড়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে।
জেলার ৫ উপজেলায় এবছর ৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পরিমান জমি আবাদের জন্য প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরী করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর, কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বোরো বীজতলা কম বেশি কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে পাতা হলুদ বর্ন ধারন করেছে। গত ১০ দিনে বীজতলার চারা বাড়েনি। এক অবস্থায় দাড়িয়ে আছে। বীজতলা নিয়ে কৃষকের দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই। কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণকান্দি গ্রামের কৃষক পলাশ শেখ (৪৫) বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে বীজতলার চারা মার যাবে। ধান আবাদ করতে পারব না। আমাদের মূলত এক ফসলী জমি। এ জমিতে আমারা বোরো আবাদ করে যে ফসল পাই তা দিয়ে সংসার চলে। এ বছর বীজতলায় বীজ ধান ফেলার পর ভাল চারা গজায়। কিন্তু শীতে চারা ঝলসে হলুদ বর্ন ধারন করেছে। চারা বাড়ছে না। এ চারা তুলে ক্ষেতে রোপন করলে বাচবে না। খেন নতুন করে বীজতলা তৈরী করারও সময় নেই। সেচ ও ওষুধ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। বোরো বীজতলা নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছি। কোটালীপাড়া উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের কৃষক মশিউর রহমান বলেন, ১৫ দিন আগে দেড় একর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করেছি। এরই মধ্যে প্রচন্ড শীতের পাশাপাশি কুয়াশা শুরু হয়েছে। শেকড় ছাড়তে না পেরে ধান গাছ হলুদ হয়ে যাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, শীত , কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কম বেশি বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। বীজতলায় সেচ , নোইন পাউডার ও থিওভিট প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। যতটুকু আক্রান্ত হয়েছে এতে শংকিত হওয়ার কিছু নেই। তেমন কোন ক্ষতি হবে না। বীজতলার এ চারা দিয়েই বোরো আবাদ করা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বোরো ক্ষেতে ধান বাড়তে শুরু করবে। পরে সবুজ বর্ণ ধারন করবে। এতেও বোরো ক্ষেতে কোন ক্ষতি হবেনা। গোপালগঞ্জ কৃষি স¤প্রসারনের ডিডি সমীর কুমার গোস্বামী বলেন, কোল্ড ইনজুড়ি ও পাতা ঝলসানো আক্রমন রোগ থেকে বীজতলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনাবলি দিয়ে মাঠ পর্যায়ের সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কৃষকদের সাথে নীবিড়ভাবে কাজ করারর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ