পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন পাঁচ জন প্রার্থীই। গতকাল (সোমবার) রাতেই বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাতকার দিয়েছেন তারা। তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বিএনপির দলীয় প্রার্থী। তবে রাত সাড়ে ৯টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি দলটি। এর আগে দলের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঁচজন প্রার্থী ২৫ হাজার টাকা জামানতসহ তাদের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে প্রত্যেকেই ধানের শীষের প্রার্থীতা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এবার বিএনপির প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। এবারও তিনি মনোনয়ন পাওয়ার আশাও প্রকাশ করছেন। এছাড়াও প্রার্থী হতে আগ্রহী বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সহ প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ, সাবেক এমপিঅবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান, ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম। কাইয়ুম ছাড়া প্রত্যেক প্রার্থীই গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামানতের টাকাসহ মনোনয়ন ফরম জমা দেন। আর বিদেশে থাকা কাইয়ুমের পক্ষে মনোনয়ন ফরম জমা দেন উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, সাধারণ সম্পাদক আহসানুল্লাহ হাসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ জি এম শামসুল হক। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, রাতে গুলশানের কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ড মেয়র পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ৫ জনের সাক্ষাৎকার নেবে। এর মধ্য দিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ডের এই বৈঠক হবে। মনোনয়ন বোর্ড দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রয়েছেন। পদাধিকারবলে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও বৈঠকে থাকবেন বলে জানান রিজভী।
মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে তাবিথ সাংবাদিকদের বলেন, এখন আমি অপেক্ষায় আছি রাতে মনোনয়ন বোর্ড আমাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে। আমি আশাবাদী, বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দেবে। কেন আশাবাদী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, একই নির্বাচনে কিছু বছর আগে আমাকে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট সমর্থন দিয়েছিলো। যেই সমর্থন পাওয়ার মাঝে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম ও বিশেষ জনমত তৈরি করতে পেরেছিলাম। সেই নির্বাচনটা কারোরই প্রত্যাশা মতো হয়নি। আমি মনে করি যে অভিজ্ঞতা ছিল, যে জনমত তৈরি ইতোমধ্যে করতে পেরেছি। জনগণ ভোট দিলেও ভোটের অধিকার গণনার মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল, তারা আবারো আশাবাদী যে, আমাকে ভোট দিয়ে জয়লাভ করতে যাবে।
ছাত্রদলের সাবেক নেতা আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সামগ্রিকভাবে এক পরিবর্তন করাই হচ্ছে আমার প্রত্যাশা। মনোনয়নের বিষয়ে নিঃসন্দেহে বিবেচনা করার মালিক পার্টি। আমাদের পার্টি গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতায় বিশ্বাস করে। আমি ফরমে আমার সব কিছু লিখেছি, আশা করি দল বিবেচনা করবে। আমরা যারা প্রার্থিতার জন্য আবেদন করেছি, তারা সবাই যোগ্য। আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। আমাদের দল সব কিছু বিবেচনা করে এটা চূড়ান্ত করবে।
শাকিল ওয়াহেদ বলেন, আমরা সবাই যোগ্য। এখন দেখার বিষয় সব কিছু বিবেচনা করে আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব একজনকে বাছাই করবেন- এই আস্থা আমার রয়েছে। আখতারুজ্জামান বলেন, মনোনয়ন বোর্ড যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমি তা মাথা পেতে নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।