পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১ লাখ ২৭ হাজার ১শ’ ৯৮ কোটাই বহাল থাকবে-সউদী হজ মন্ত্রী
সউদী-বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি’র (১৪৩৯ হিজরী) মূল বৈঠক গতকাল রোববার পবিত্র মক্কায় হজ মন্ত্রণালয়ে সম্পন্ন হয়েছে। হজ চুক্তি সম্পর্কিত বৈঠকে সউদী পক্ষে নেতৃত্ব দেন সউদী হজ মন্ত্রী ড. মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বিনতান এবং বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ধর্ম মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
বৈঠকে ধর্ম মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান গত হজে মিনা ও আরাফায় বাংলাদেশী হাজীগণের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরেন এবং চলতি বছর বাংলাদেশী হাজীর কোটি বৃদ্ধি করে ১ লাখ ৪৮ হাজার নির্ধারণের জন্য জোড়ালোভাবে অনুরোধ জানান। সউদী হজ মন্ত্রী ড. মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বিনতান বলেন, মিনায় জায়গা সংকুলান না হওয়ায় গত হজে বাংলাদেশী হাজীদের পর্যাপ্ত সার্ভিস দেয়া সম্ভব হয়নি। এবার আরো হাজীর কোটা বাড়ানো হলে যথাযথ সার্ভিস দেয়া সম্ভব হবে না। সউদী হজ মন্ত্রী চলতি বছর বাংলাদেশের হাজীর কোটা পূর্বের ন্যায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১শ’ ৯৮ জন বহাল রাখার ঘোষণা দেন। তবে তিনি হাজীর কোটা বৃদ্ধির দাবী সম্বলিত একটি আবেদন পত্র জমা দেয়ার জন্য বাংলাদেশী ধর্মমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। মক্কা থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছেন। বৈঠকে সউদী হজ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রীসহ হজ ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এতে বাংলাদেশের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো: আনিছুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ফারুক, রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মো: হাফিজ উদ্দিন, মক্কাস্থ বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সেলর হজ মাকসুদুর রহমান, হাবের মহাসচিব মো: শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও ধর্ম মন্ত্রী ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু সাঈদ।
বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত সচিব মো: আনিছুর রহমান ২০১৪-২০১৫ সালের হজে অভিযুক্ত প্রায় ৩৬ টি হজ এজেন্সি এবং ২০১৭ সালের হজে মুয়াসসাসা থেকে শো’কজ প্রাপ্ত ৪৬ টি হজ এজেন্সি’র বিষয় দ্রæত নিস্পত্তির জোর দাবী জানান। সউদী হজ মন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বলা হয় যেহেতু এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি’র কোনো মিটিং দীর্ঘ দিন হয়নি সে জন্য তা’ নিস্পত্তি হয়নি। তবে শিগগিরই এসব বিষয় নিস্পত্তি করা হবে বলেও আশ্বাস দেয়া হয়। মক্কা থেকে হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম রাতে ইনকিলাবকে জানান, অত্যান্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সউদী-বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তির মূল বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান অত্যান্ত জোড়ালোভাবে বাংলাদেশী হাজীর কোটা বৃদ্ধির প্রস্তাব তুলে ধরেন। তবে সউদী হজ মন্ত্রী কোটা বৃদ্ধির দাবীতে হ্যা বা না কিছুই বলেননি। তিঁনি (সউদী হজ মন্ত্রী) বিষয়টি বিবেচনার জন্য হজ কোটা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে বলেছেন। এদিকে, হাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কবির খান জামান রাতে ইনকিলাবকে বলেন, গতকাল মক্কায় দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তির মূল বৈঠকে যেহেতু চলতি বছর বাংলাদেশের হাজীর কোটা বৃদ্ধি পায়নি সেক্ষেত্রে অপেক্ষমান প্রায় দু’লাখ নিবন্ধিত হজযাত্রীর জন্য কমপক্ষে ২০ হাজার কোটা অতিরিক্ত পাওয়ার জন্য কূটনৈতিক পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। হাবের ঐ সাবেক নেতা জামান বলেন, সম্প্রতি সউদী সরকার ভারতীয় হজযাত্রীদের কোটা ৩৪ হাজার ৫শ’ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। প্রতি বছরই হাজীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশী অপেক্ষেমান হজযাত্রীদের স্বার্থে হজযাত্রী কোটা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।