ব্যর্থতার ভিতে গড়ে তুলতে হবে সাফল্যের সুউচ্চ মিনার
আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবসের ক্রোড়পত্রে প্রকাশের জন্যে দৈনিক ইনকিলাবের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে
আবদুল আউয়াল ঠাকুর
স্বাধীনতা বলতে মূলত রাজনৈতিক স্বাধীনতা বোঝালেও বর্তমান সময়ে এর সাথে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, প্রকৃত স্বাধীনতাসহ নানা শব্দের সংযোজন ঘটেছে। একসময়ে স্বাধীনতার রাষ্ট্রবিজ্ঞানসম্মত একটি সংজ্ঞাও সকলের কাছে সুবিদিত ছিল। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ওই সংজ্ঞায় যা বোঝায় বা বোঝানো হয়, তাতে বর্তমান সময়ে সবকিছু আওতাভুক্ত হচ্ছে না বা হওয়ার অবস্থা নেই। একে ইতিবাচক না নেতিবাচক পরিবর্তন বলা যাবে, তা নিয়ে হয়ত আলোচনা হতে পারে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরাই নেবেন; তবে বাস্তবতা হচ্ছে পুরনো সংজ্ঞায় সবকিছু টানছে না। এই না টানার আলোচনাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। একটি স্বতন্ত্র পতাকা, জনগণ, সরকার, ভূখ- থাকলেই এখন আর তাকে প্রকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র বলে মনে করা হয়ত সংগত নাও হতে পারে। কার্যত রাজনৈতিক স্বাধীনতার মূল পরিচয় হচ্ছে সার্বভৌমত্ব। এটি মূলত একটি স্বাধীন দেশের সরকার জনগণের হয়ে পরিচালনা করে। আগে যখন রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল তখন রাজা এটি নিজের মতো করে পরিচালনা করতেন। রাজার দূরদৃষ্টি অথবা অদূরদর্শিতার পরিণতি বহন করতে হতো প্রজাদেরও। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রজাদের ক্রীতদাসেও পরিণত হতে হতো। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যুদ্ধবন্দিরা ক্রীতদাস হয়ে যেত। সেসব সময় পেরিয়ে আমরা আধুনিক যুগে প্রবেশ করেছি বলে দাবি করছি। বলা হচ্ছে, এখন স্বাধীনতা মানবাধিকারের। মানুষের সাম্য-মৈত্রীর সুবর্ণ সময় চলছে। প্রকৃত পর্যালোচনায় এটা মেলে না। বরং মনে হতে পারে এ সময়টা কথিত দুঃসময়ের চেয়েও আরো মারাত্মক। সম্ভবত সে কারণেই স্বাধীনতার সাথে নানা উপসর্গের সংযুক্তি ঘটেছে। বোধকরি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রসঙ্গ সে কারণেই গুরুতর আকার ধারণ করেছে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে না পারলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা আদৌ কোনো কাজে আসে কিনা সে বিবেচনাও গুরুতর আকার নিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে রাজ্যজয়ের যুগ হয়ত কিছুটা হলেও শেষ হয়েছে, তবে অর্থনৈতিকভাবে জয়ের প্রবণতা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। প্রভাব বিস্তারের এই নব উন্মাদনাই আজকের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের আলোচনায় প্রণিধানযোগ্য।
স্বাধীন ভারতবর্ষ ব্রিটিশ দখলে যাওয়ার পর আমরা দু-দুবার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। প্রায় দু’শ বছর লড়াই করে ব্রিটিশমুক্ত হওয়ার পর পুনরায় সশস্ত্র সংগ্রাম করে পাকিস্তান থেকে মুক্তি অর্জন করেছি। দুটি লড়াইয়ের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হবে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ছিল প্রধানত রাজনৈতিক লড়াই। পাকিস্তান থেকে মুক্তির লড়াইয়ের প্রধান যুক্তি ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। দীর্ঘ আলোচনায় না গিয়েও এ কথা বলা যায়, সেই ঐতিহাসিক কাল থেকে এ জাতি মুক্তির যে পথ খুঁজছিল তারই বাঁকে বাঁকে সংগঠিত হয়েছে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংগ্রাম। সে কারণেই ভেবে দেখার সময় এসেছে আমাদের প্রাপ্তির। হিসাব মেলানোর ব্যাপারটিও এড়িয়ে যাওয়ার নয়। আর এ কথাও নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না যে দুটি লড়াইতেই সমভাবে স্থান করে নিয়েছিল গণতন্ত্র তথা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। ব্রিটিশ আমলে ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিকতা বহাল থাকলেও বিলেতের অবস্থা এটা ছিল না। সে কারণে একসময়ে ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতার নেতারা ব্রিটেনের মাটিকে তাদের দাবি প্রকাশের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে যে হাইড পার্কের কথা শোনা যায়, এটি মূলত বিলেতি ধারণা থেকেই নেয়া। ভারতের স্বাধীনতা কর্মীরাও হাইড পার্ককে ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ কথা বলার অধিকারে স্বীকৃতির ব্যাপারটিই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সাবেক পাকিস্তান আমলে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানিদের যে কটি বিষয় আন্দোলিত-আলোড়িত করেছে, তার অন্যতম হচ্ছে মত প্রকাশের অধিকার। এখনো সে সময়ের অলোচনায় কীভাবে তখন মত প্রকাশকে অবদমিত রাখা হয়েছে তার বিবরণ মাঝেমধ্যে শোনা যায়। সেইসাথে নানা বিধিনিষেধ সত্ত্বেও কীভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে তার বিবরণও প্রকাশিত হচ্ছে। অনেকে এক্ষেত্রে সাহসের প্রসঙ্গ টানেন। সে কথা বড় নয়। বড় হচ্ছে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, এই স্বাধীনতা কতটা আমরা পেয়েছি বা কাজে লাগাতে পেরেছি? স্বাধীনতা বলতে যা কিছু বোঝায় সেক্ষেত্রে বাক-ব্যক্তি, সংবাদপত্র তথা মৌলিক অধিকারকেই বোঝানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশের আজকের পেক্ষপটে বোধহয় যে কেউ স্বীকার করবেন যে, দেশটি কার্যত মত প্রকাশের স্বাধীনতার বহুদলীয় গণতন্ত্রের বিবেচনায় অবরুদ্ধ হয়ে আছে। অথচ এটা হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের যে সংবিধান রচিত হয়েছিল তাতে গণতন্ত্র-মানবাধিকারের স্বীকৃতি ছিল। মত প্রকাশের অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল। এর পর অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে। সে সময়ে পদ্মা-মেঘনা- যমুনায় যে পানি ছিল, এখন তা শুকিয়ে গেছে। সে কারণেই হয়ত অধিকার পুরোপুরি বিলুপ্ত না হলেও ঠিক জায়গায় নেই। প্রত্যাশার সাথে বড় ধরনের সাংঘর্ষিকতা রয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, গণতন্ত্রের কথা বললেই এখন সন্ত্রাসী হিসেবে স্থান হয় কারাগারে, নয়ত গুম হতে হয় অচেনার দেশে। অথচ একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক আবহ তৈরির জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষেরা প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। সর্বোপরি প্রাণের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাহলে ব্যাপারটি কেন এমন দাঁড়াল, সেটি নিয়ে অবশ্যই আগামী বংশধরদের নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়াই ভাবনার বিষয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, এ অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি দেশেই গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থাপনা রয়েছে, অথচ আমাদের দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে। যে পাকিস্তানের কথা শুনলে অনেকের গায়ে জ্বালা ধরে, যে পাকিস্তানের সামরিক জান্তার সাথে লড়াই করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেই পাকিস্তানেও শত বিপত্তির মুখে যতটুকু গণতন্ত্র চালু রয়েছে আমাদের দেশে তাও নেই। ভারতে প্রকাশ্য গণতন্ত্র চালু থাকলেও সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে সংখ্যালঘু তথা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন-নিবর্তন চলছে, তা সেদেশের মানুষই প্রতিবাদ করছে। প্রকাশ্যেই অরুন্ধতী রায় এর প্রতিবাদ করছেন।
স্বাধীনতার যে কটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছিল তার মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অর্জন ছিল অন্যতম। আজকের বাংলাদেশে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলা যায়, বাংলাদেশে কার্যত গণতন্ত্র বলতে যা বোঝায় তার কোনো অস্তিত্ব নেই। মুখে মুখে গণতন্ত্রের নানা কথা শোনা গেলেও বাস্তবে গণতন্ত্র অর্থাৎ জনগণের অংশগ্রহণ বলতে যা বোঝায় তা অনুপস্থিত। বিদ্যমান বাস্তবতার নানা ব্যাখ্যা হয়ত নানা মহলে থাকতে পারে। প্রত্যেকেই তার নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। সে যাই হোক দৃশ্যমান বিষয় হচ্ছে জাতীয় বা স্থানীয় যে কোনো নির্বাচনই হোক না কেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হওয়ার যেন হিড়িক পড়ে গেছে। আর সরকারি দলের অনেককে এ ঘটনায় বেশ উৎফুল্ল বলে মনে হচ্ছে। তারা বেশ ঘটা করে বলছেন, বিপক্ষে দাঁড়ানোর কেউ না থাকলে করার কী আছে? কথা হয়ত ঠিক। তবে এর সাথে আরো একটু যুক্ত হওয়া আবশ্যক Ñ দাঁড়ানোর কেউ না থাকলে নয়, বরং বলা দরকার দাঁড়ানোর মতো কোনো অবস্থা না থাকলে। এই বাস্তবতা বাংলাদেশে অনেকটাই নতুন। শঙ্কা, ভয় অথবা যেকোনো কারণেই হোক ২০১৪ সালের অগ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনেই এই প্রবণতা সংক্রামিত হয়েছে। ওই ‘নির্বাচনে’ অধিকাংশ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কথিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, ওই নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সরকারের প্রতিনিধিরা এখনো বলছেন, তারা বর্তমান সরকারে সাথে রয়েছেন। তাদের এই থাকার নেপথ্য গল্প হচ্ছে তাদের স্বার্থ। তাদের মূল স্বার্থ হচ্ছে অর্থনৈতিক। বাংলাদেশকে ব্যবহার করে তারা তাদের যাবতীয় বাণিজ্যিক সুবিধা গ্রহণ করছে, সেটাই এখন বড় বিষয় নয়; বরং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ ভারতনির্ভর করে তোলা হয়েছে। পরিবহণের গাড়ি থেকে শুরু করে দেশের এমন কোনো পণ্য নেই যা এখন ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের বাজার সম্পূর্ণভাবে ভারতের নিয়ন্ত্রণে গেলেও বাংলাদেশ কিন্তু পানির ন্যায্য হিস্যাটুকু পাচ্ছে না। বরং পরোক্ষভাবে ভারতীয়রা এটা জাানিয়ে দিয়েছে Ñ পানি দেয়া হবে না। বাংলাদেশের জীবন-মরণ সমস্যা পানি বন্ধ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে পঙ্গু করে দেয়ার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের বড় স্বার্থ হচ্ছে, বাংলদেশ নির্জীব হয়ে পড়লে খুদকুড়ো দিয়ে টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা সহজ হবে। দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক সমর্থনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা।
বস্তুত আধুনিক কালে প্রত্যক্ষ আগ্রাসনের চেয়ে অর্থনৈতিক আগ্রাসনের পক্ষে যে কূট চক্রান্ত রয়েছে, বাংলাদেশ সেই ফাঁদেই আটকে পড়েছে। ফলে গণতন্ত্র এখন সুদূর পরাহত। মুখে যে যাই বলুক না কেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে যে ধরনের ঐকমত্য জরুরি, এখন পর্যন্ত তা অনুপস্থিত। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে অটল থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারি রোষের যে বৈরিতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এই বাস্তবতা সৃষ্টি হয়েছে মূলত সরকারের অসহিষ্ণুতার অভাবে। অগণতান্ত্রিক মানসিকতার বিষফল হিসেবে। স্বাধীনতাকে বোঝার যতগুলো নিদর্শন রয়েছে তার প্রধান হচ্ছে গণতন্ত্র। একটি দেশের মানুষ সঠিক ও সুষ্ঠু পরিবেশে তার মতামতের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারছে কিনা সেটাই স্বাধীনতার মূল কথা। খাবার তো সকলেই খায়। পিচঢালা রাস্তার উন্নয়ন কোন আমলে কখন হয়নি Ñ সব সময়ই হয়েছে। এসব মানুষ বা নাগরিকদের স্বাধীনতার স্মারক নয়। একটি অবরুদ্ধ বাংলদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কার্যকর ও আন্তরিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই সূত্র ধরে এখনো বাংলাদেশে এক-আধটু গণতন্ত্রের রেখা দেখা যাচ্ছে।
গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হচ্ছে, এখানে গণতন্ত্রবিরোধীরাও নিরাপদ। সেজন্যই গণতন্ত্র টিকে থাকে। প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবাংলাসহ পৃথিবীর অনেক দেশে গণতন্ত্রবিরোধীরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতা এসেছেন। আবার গণতান্ত্রিক পন্থায় জনগণের তোপের মুখে নেমে গেছেন। তবে তারা ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যাবস্থা ভেঙে দেননি। তারা হয়ত এতটা সাহস পাননি, চিন্তাও করেন নি। কার্যতই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা নির্বাচিত সরকারের কাছে পবিত্র আমানত। বাংলাদেশে সে অমানত লুট হয়ে গেছে। তাই স্বাধীনতার নতুন অর্থ খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, গণতন্ত্র যাই হোক উন্নয়নই প্রধান কথা। তাহলে আমরা দু-দুবার স্বাধীন হলাম কেন? বোধকরি স্বাধীনতার এই দীর্ঘপথ পরিক্রমায় অবশ্যই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। সে কারণেই স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির দেশরক্ষার আন্দোলনে নতুন শপথ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।