মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি জঙ্গি গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কথিত ব্যর্থতার অভিযোগে পাকিস্তানকে অপদস্থ ও শাস্তি দেয়ার যে চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন, তাতে খুব একটা কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড ওলসন। তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেন, যতটা মনে করা হয়, বাস্তবে ওয়াশিংটন পাকিস্তানের উপর তার চেয়েও বেশি নির্ভরশীল। ওলসন বলেন, নির্মম সত্য হলো ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির উপর আমেরিকার প্রভাব দিন দিন কমে যাচ্ছে। ৬২ বিলিয়ন ডলারের চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের (সিপিইসি) উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমে গেলেও চীনের দিক থেকে সহায়তা বেড়েছে। তাই পাকিস্তানকে অপদস্থ করা বা তার উপর দন্ড আরোপের জন্য ট্রাম্প প্রশাসন যে চেষ্টা করছে, তাতে খুব একটা কাজ হবে না। নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত মুক্ত কলামে ওলসন লিখেছেন, পাকিস্তানের উপর চাপ দেয়ায় আর দশটা দেশের মতোই কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পাকিস্তান। তারা হয়তো এবার দেখাবে, কিভাবে তারা আফগানিস্তানে আমাদের অবস্থানকে আরও নিচে নামিয়ে আনতে পারে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি হিসেবেও এক সময় দায়িত্ব পালন করেন ওলসন। হাউ নট টু এনগেজ উইথ পাকিস্তান শিরোনামের ওই নিবন্ধে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানের উপর থেকে মার্কিন সহায়তা প্রত্যাহারের সম্ভাব্য বিভিন্ন প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানে আমাদের সেনাবাহিনীকে রসদ সরবরাহের জন্য আমরা পাকিস্তানের ভূমিকে ব্যবহার করে আসছি। এ ব্যাপারে ইরানের ভূমি ব্যবহারের প্রশ্নই ওঠে না, আর অন্যান্য উপায়গুলোও সুবিধার হবে না। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সহযোগিতা ছাড়া, আফগানিস্তানে আমাদের সেনাবাহিনীর অবস্থা হবে ডাঙ্গায় তোলা তিমির মতো। পাকিস্তানের নীতিগত সিদ্ধান্তের ঐতিহাসিক বাস্তবতা তুলে ধরে ওলসন বলেন যে, ভারতকে বিদ্যমান হুমকি বিবেচনা করে পাকিস্তান তাদের নিরাপত্তা নীতি গ্রহণ করে। এ কারণেই তারা ভারতের মোকাবেলায় তথাকথিত বিকল্প পন্থাগুলো বেছে নিয়েছে। আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেও আফগানিস্তানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরনের বিকল্প শক্তিগুলোকে ব্যবহার করেছিল- সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে এই কূটনীতিক বলেন, আফগান গ্রæপগুলো থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া পাকিস্তানের জন্য অতটা সহজ নয়। ওলসন বলেন, রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে তিনি পাকিস্তানকে অব্যাহতভাবে বুঝিয়েছেন যে তাদেরকে একটি পথ বেছে নিতে হবে- যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক অথবা তালেবানদের। কিন্তু তার চেষ্টায় কোন কাজ হয়নি। জেনারেলরা খুব ভাল করেই জানেন, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের উপর যতটা নির্ভরশীল, আফগানিস্তানে যতদিন মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখবে, ততদিন যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের উপর তার চেয়েও অনেক বেশি নির্ভরশীল থাকতে হবে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।