গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : জাসদে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে মতভেদের পর এবার ওই দলের একাংশের নেতারা দলীয় প্রতীক মশাল এবং দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ব্যবহার করা জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ এলাকার এমপি হোস্টেলে আম্বিয়া-বাদল নেতৃত্বাধীন অংশটি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাসদে ভাঙনের কারণ নিয়ে নাজমুল হক প্রধান বলেন, জাসদের নির্বাচনী কাউন্সিলে জনাব ইনুর অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ কোন আকস্মিক ঘটনা নয়, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। নিজেদের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অংশীদার দাবি করে তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক কারণেই ১৪ দলের অংশীদার। ১৪ দলের ভেতরে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে ভুল সংশোধন করে মহাজোট সরকারের সাফল্য নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আজ যারা জঙ্গিবাদ খতমের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে জোট সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সৌভাগ্যবান হচ্ছেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত তাদের অবস্থান পরিষ্কার ছিল না। এক প্রশ্নের জবাবে মঈন উদ্দীন খান বাদল বলেন, জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় চারজনের নামে। এরা হলেন- শ্রমিক নেতা আব্দুল কাদের, শরীফ নুরুল আম্বিয়া, কাজী আরেফ আহমেদ এবং হাসানুল হক ইনু। এর মধ্যে কাজী আরেফ মারা গেছেন। আব্দুল কাদের অসুস্থ, তিনি আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জন্য আমরা আদালতে যাব। বিবাদ মিটিয়ে দেয়ার আবেদন জানাব।
দলীয় প্রতীকের প্রসঙ্গে বাদল বলেন, যারা মেজরিটি নিবন্ধন তাদের, প্রতীকও তাদের। দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির ১৪ জনের একজন মারা গেছেন। একজন অসুস্থ আর একজন তার অবস্থান পরিষ্কার করেননি। বাকি ১১ জনের মধ্যে মধ্যে সাতজন আমাদের সঙ্গে আছেন। তাদের মধ্যে- শরীফ নুরুল আম্বিয়া, নাজমুল হক প্রধান, আমি, ইন্দু নন্দন দত্ত, মনসুর আহমেদ আগা, ড. মুশতাক হোসেন, মোহাম্মদ খালেদ এখানে উপস্থিত আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।