নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়াতেন তিনি। কতবারই না পরাস্ত করেছেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে। সেই তিনি পরাস্ত করতে পারলেন না মরণব্যাধি ক্যান্সারকে। অথচ ক্যান্সারকে হারাবেন বলে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলারের একজন বলে বিবেচিত ইয়োহান ক্রুইফ। গতকাল মারা গেছেন আয়াক্স ও বার্সেলোনার হয়ে মাঠ কাপানো এই ডাচ কিংবদন্তি ফুটবলার। ক্রুইফের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ৬৮ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়েছেন নেদারল্যান্ডসের এই সাবেক তারকা ফরোয়ার্ড। সেখানে লেখা ছিলÑ ‘ক্যান্সারের সঙ্গে কঠিন লড়াই শেষে ২৪ মার্চ বার্সেলোনায় আত্মীয়-স্বজন পরিবেষ্টিত অবস্থায় শান্তিতে মারা যান ইয়োহান ক্রুইফ।’
তিন বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার গত অক্টোবরে প্রথম জানিয়েছিলেন নিজের অসুস্থতার কথা । এরপর ফেব্রুয়ারিতে ক্রুইফ জানান, তার মনে হচ্ছে, ফুসফুসের ক্যান্সারের বিপক্ষে ‘ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে’ আছেন তিনি এবং তিনি নিশ্চিত, ম্যাচ শেষে তিনিই জিতবেন। ধূমপায়ী ক্রুইফ ১৯৯১ সালে হৃদপিন্ডে জোড়া বাইপাস অস্ত্রোপচারের পর সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেন। কাতালান স্বাস্থ্য বিভাগের এক বিজ্ঞাপনে ক্রুইফ বলেছিলেন,Ñ ‘ফুটবল জীবনে আমাকে সব কিছু দিয়েছে, কিন্তু তামাক তার সবই প্রায় কেড়ে নিচ্ছিল।’ আয়াক্সের হয়ে খেলোয়াড় হিসেবে টানা তিন বার ইউরোপিয়ান কাপ জেতেন ক্রুইফ। ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে ফাইনালে তোলেন তিনি। তবে পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা হয়নি তার। ওই বিশ্বকাপেই সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমবারের মতো ‘ক্রুইফ টার্ন’ দেখিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। কোচ হিসেবে স্পেনের বার্সেলোনাকে ১৯৯২ সালে তাদের প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ এনে দেন ক্রুইফ। তার অধীনে স্পেনের এই শীর্ষস্থানীয় ক্লাবটি ১৯৯০-৯১ থেকে টানা চারবার লা লিগার শিরোপা জেতে। ১৯৯৫ সালে বার্সেলোনার কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্লাবটিতে প্রভাব রেখেছেন তিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।