পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর আফগানিস্তানের বাদাখশানে সন্ত্রাসবিরোধী ঘাঁটি স্থাপনে অর্থায়ন করবে চীন। জাতিগত উইঘুরদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের জন্য এ ঘাঁটি স্থাপন করা হবে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেনারেল দৌলত ওয়াজিরিকে উদ্ধৃত করে ফারগানা নিউজ এজেন্সি (এফএনএ) জানিয়েছে, ঘাঁটি নির্মাণের জন্য অর্থ সহায়তা দেবে চীন। তবে ঘাঁটির স্থান এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। জেনারেল ওয়াজিরি বলেন, সমস্ত জিনিসপত্র (অস্ত্র, সেনাদের পোশাক, সামরিক সরঞ্জাম) ও প্রযুক্তির খরচ চীন বহন করবে। গত মাসে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তারিক শাহ বাহরামীর চীন সফরকালে এই ঘাঁটি স্থাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। তিনি চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চ্যাং ওয়াংকুয়ান এবং চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান জেনারেল শু কিলিয়াংয়ের সাথে সাক্ষাত করেন। পিপলস লিবারেশান আর্মির (পিএলএ) মুখপাত্র ওয়েবসাইট চায়না মিলিটারিতে বলা হয়েছে, বাহরামীর সঙ্গে বৈঠকে জেনারেল শু বলেছেন যে, সামরিক বিনিময় এবং সন্ত্রাস-বিরোধী তৎপরতা, দুই দেশ ও তাদের বিভিন্ন অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চীন-আফগানিস্তান সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদারিত্বের উন্নয়নে চীন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরো গতিশীল করতে চায়। এফএনএ জানিয়েছে যে, বাহরামি ও চ্যাং একমত হয়েছেন যে, তাদের সন্ত্রাস-বিরোধী মনোযোগ বাদাখশানে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত হবে না, বরং পুরো উত্তর আফগানিস্তানে সেটা ছড়িয়ে দিতে হবে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এতে বলা হয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা চীনা উইঘুর যারা এখন সন্ত্রাসীদের মাঝে অবস্থান করছে, তারা সীমান্ত পার হয়ে চীনে প্রবেশ করে চীনের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। আফগান জেনারেল আতিকুল্লা আমারহেলকে উদ্ধৃত করে এফএনএ জানিয়েছে, চীন-আফগান সীমান্তের চীনা অংশের বিশাল একটি খাদ এলাকার উপর কড়া নজর রাখছে চীন যেখানে একটা বড় সংখ্যাক চীনা মুসলিমরা বসবাস করে। তিনি বলেন, উইঘুরদের বড় একটি গ্রুপ আল কায়েদার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ২০০১ সালের আগে তালেবান আমলে যেটা চালু ছিল। তাদের অনেকে এখন বিভিন্ন ভাড়াটে গ্রæপের সাথে মিশে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা চীনের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, জাতিগত উইঘুররা এখন আইএস’র অংশ যারা আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের সক্রিয় রয়েছে। আফগান বিশ্লেষকরা বলেন, উইঘুর জঙ্গিদের বিশাল একটি গ্রæপ এরই মধ্যে আফগানিস্তানের বাদাখশান রাজ্যে বসবাস শুরু করেছে, যেখান থেকে তারা দ্রæত চীনে ঢুকে পড়তে পারবে। গত মাসে প্রথমবারের মতো চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ত্রিদেশীয় বৈঠকের পরপরই আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীন সফর করেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, চীন আফগানিস্তানের কাছে নিজেদেরকে একটা গ্রহণযোগ্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সফলভাবে তুলে ধরতে পেরেছে। এফএনএ বলেছে যে, ঘাঁটির অবস্থান নির্ধারণ, নির্মাণ খরচ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য একটা বিশেষ কমিশন গঠন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, একটা চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ দল শিগগিরই আফগানিস্তান সফরে যাবেন। এসএএম, এফএনএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।