মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন গত বুধবার বলেছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। এর ঠিক আগের দিন পিয়ংইয়ং জানায়, তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে তাদের ক্রীড়াবিদদের পাঠাবে। তবে মুন এ বিষয়ে অগ্রগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দেন। অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম খবর দিয়েছে। ট্রাম্প গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে এক টেলিফোন সংলাপের সময় এই প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেন বলে এসব গণমাধ্যম জানিয়েছে। পিয়ংইয়ংকে সতর্ক করে দিয়ে মুন বলেন, যদি তারা উসকানি চালিয়ে যায়, তাহলে আরো বেশি কঠোর অবরোধের সম্মুখীন হবে। এক সংবাদ সম্মেলনে মুন বলেন, এটি কেবল শুরু, গতকাল ছিল প্রথম ধাপ এবং আমি মনে করি আমাদের একটি শুভসূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যেকোনো সময়’ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তিনি আলোচনায় রাজি, তবে সেটি ‘সঠিক অবস্থায়’ হতে হবে। খবরে বলা হয়, ট্রাম্প দুই কোরিয়ার মধ্যকার সা¤প্রতিক আলোচনা এবং আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য অংশগ্রহণ নিয়ে বুধবার জায়ে-ইনের সঙ্গে প্রায় আধাঘণ্টা কথা বলেন। টেলিফোনালাপের এক পর্যায়ে কিম জং-উনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজনে তিনি কিম জং-উনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি আছেন। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া গত দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে মঙ্গলবার দু’দেশের সীমান্তবর্তী পানমুনজমে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শত্রুভাবাপন্ন দু’টি দেশের মধ্যে সর্বশেষ আলোচনা হয়েছিল। ট্রাম্প ও কিমের বাগযুদ্ধ, পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, আর এর ফলে দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবরোধ গোটা বিশ্বকে শঙ্কার মধ্যে ফেললেও দুই কোরিয়ার শান্তি আলোচনার অগ্রগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুন। ইংরেজি নববর্ষের সংবাদ সম্মেলনে বুধবার মুন বলেন, আমি মনে করি দুই কোরিয়ার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বড় ধরনের কৃতিত্বের দাবিদার। আমি তাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। এএফপি, রয়টার্স, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।