পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সহায়তা বন্ধ সাময়িক : যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সবধরনের সামরিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। মঙ্গলবারের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা জানায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররাম দস্তগীর।
সংবাদমাধ্যম বলছে, তার এই অবস্থান পাকিস্তান সরকারের অবস্থান কি না তা নিশ্চিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র খুররামের দাবি অস্বীকার করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ইসলামাবাদে ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররাম দস্তগীর খান পাকিস্তানের এ অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার এখনই উপযুক্ত সময়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অনেক বড় পরিসরে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সেটা স্থগিত করেছি। মার্কিন সহায়তা বন্ধ করার বিষয়টি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে যে, পাকিস্তানে নিয্ক্তু মার্কিন দূতাবাস থেকে এমন দাবির কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আর তাদের মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, পাকিস্তান আফগান তালেবান ও তাদের মিত্র হাক্কানি নেটওয়ার্ককে নিরাপদ স্বর্গ গড়ে তুলতে দিয়েছে। আর সন্ত্রাসীরা তা ব্যবহার করে সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। পাকিস্তান বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা কঠোর করেছেন।
স¤প্রতি এক টুইটার বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ তোলার পর ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে সাহায্য বন্ধের ঘোষণা আসে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস জানান অর্থ সহায়তা বন্ধ হলেও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলবে যুক্তরাষ্ট্র।
এবার পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসলো যে, তারা সহায়তা বন্ধ করছে। তবে এটাই আনুষ্ঠানিক অবস্থান কি না সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আফগান শান্তি প্রক্রিয়া পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে আঙুল তোলার আগে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নিয়ন্ত্রণহীন আফগানিস্তানের দিকে তাকানো।
ইসলামাবাদের নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র রিচার্ড নেলসার বলেন, ‘আমরা এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য বা সিদ্ধান্তের কথা শুনিনি।
এর আগে একজন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সিনিয়র এক কমকর্তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। স্টিভেন গোল্ডস্টেইন নামে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চাই পাকিস্তান আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। কীভাবে সন্ত্রাস দমন করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করবো আমরা।’
এরপর পাকিস্তানে সামরিক সহায়তা বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা শুধুমাত্র স্থগিত করা। চিরকালের জন্য বন্ধ করা নয়।’ সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।