Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তরে শৈত্যপ্রবাহ : প্রয়োজন উপযুক্ত পদক্ষেপ

হোসেন মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশ্বের দু’শতাধিক দেশে বর্তমানে প্রায় আটশ’ কোটি মানুষের বাস। এর মধ্যে দু’চারটি দেশে হয়ত স্থায়ী শান্তি বিরাজ করে। কিন্তু বহু দেশই প্রাকৃতিক বা মানব সৃষ্ট বিপর্যয়ে কম-বেশি দুর্ভোগ-দুর্দশার শিকার হয়। এমনকি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষের শীর্ষে থাকা দেশের পক্ষেও তা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। বিশ্বের সর্বোন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্র ঘূর্ণিঝড়, বরফপাত বা দাবানল, জাপান ঘূর্ণিঝড় বা ভূমিকম্প, চীন বন্যা, ভূমিকম্প, বরফপাতের ক্ষয়ক্ষতি থেকে নিজেদের জনগণকে সম্পূর্ণ রূপে রক্ষা করতে পারে না। বাংলাদেশ বিশে^র সেসব দেশের একটি যে দেশে কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায় প্রতি বছরই হানা দেয়। তাতে প্রাণহানি যেমন ঘটে, তেমনি বিপুল ক্ষয়ক্ষতি, অশেষ দুর্ভোগ-ভোগান্তির শিকার হয় মানুষ। বাংলাদেশে যেসব প্রাকৃতিক বিপর্যয় সংহার রূপ ধারণ করে হানা দেয় তা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও শৈত্যপ্রবাহ।
২০১৭-র এপ্রিলে বৃহত্তর সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে পাহাড়ি ঢলের পানিতে হাওড়গুলোতে সর্বনাশ ডেকে আনে। তারপর জুলাই-আগস্টে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে দেখা দেয় বন্যা। এই দুই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাথে শেষ আগস্টে বাংলাদেশ শিকার হয় মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের। বাস্তুহারা, সম্ভ্রমহারা, প্রাণভয়ে ভীত লাখ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর ঢল নামে বাংলাদেশে। এরপর নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই শৈত্যপ্রবাহ হানা দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে তা খবরের গুরুত্ব পাবার পর্যায়ে পৌঁছে গত ৭ জানুয়ারি রবিবার। তার পরিণতিতে সোমবার ও মঙ্গলবার পত্রিকাগুলোর পাতায়, টিভি চ্যানেলগুলোতে সে খবর এসেছে এ রকম শিরোনামে- ‘শৈত্যপবাহে বিপর্যস্ত উত্তরের জনপদ,’ ‘দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা’, ‘শীতে কাবু দেশ’ ইত্যাদি। সবচেয়ে শংকার কথা, গত ৫০ বছরের হিসাবে এবারই বাংলাদেশে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। সোমবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। শৈত্য প্রবাহ দরিদ্র, নিঃস্ব মানুষের জন্য শুধু দুর্ভোগই বয়ে আনেনি, কেড়ে নিয়েছে প্রাণও। সোমবার পর্যন্ত তীব্র শীতে উত্তরাঞ্চলে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে (দৈনিক মানব জমিন, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮)।
আবহমান কাল থেকে বাংলাদেশে শীত তার সকল প্রচন্ডতা নিয়ে জেঁকে বসে মধ্য পৌষের পর। এবারেও তাই হয়েছে। তবে বলতেই হয় যে, শীতের তীব্রতা নিয়ে এবার শংকার পূর্বাভাস ছিল না। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায়। এই ৩ জানুয়ারিতেও (১৯ শে পৌষ) সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, নাগরিক সমাজে বলাবলি হচ্ছে যে- রাজধানীতে তেমন শীত পড়ছে না, শীত কি আসার আগেই চলে গেল? লেপ তো লাগছে না, কাঁথাতেই চলছে ইত্যাদি। তবে ৫ জানুয়ারি থেকে কেউ আর সে কথা বলছেন না। এটা ঠিক যে ঢাকায় দেরি করলেও ‘জেনারেল উইন্টার’ বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় আগেভাগেই জেঁকে বসে। আর এ ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম নামে দেশের সর্বউত্তর অঞ্চলে। আমরাও জানি, সাধারণত উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়েই শীত ছড়ায় দক্ষিণের শেষ এলাকা পর্যন্ত। যাহোক, দেশের আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ২১ ডিসেম্বর তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। আমাদের দেশে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলেই তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। কোনো কোনো বছর দু’একটি স্থানে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেও নেমেছে। সোমবার পঞ্চগড়ে তাই হয়েছে। গত রবিবার আবহাওয়া অধিদফতর জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-প‚র্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি (তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু দেশের একটি স্থানে তাপমাত্রা যে সোমবারে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে এটা আবহাওয়া অধিদফতর আভাস দিতে পারেনি। আবহাওয়াবিদ ড. আবদুল মান্নান একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এবার তীব্র শীত অনুভ‚ত হবে সেটা আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাপমাত্রা এত নিচে নেমে রেকর্ড ভাঙবে সেই ধারণা ছিল না।
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে শীতকালে তাপমাত্রা এত নিচে নামেনি। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, এর আগে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে। এবার গত সোমবার তেঁতুলিয়ায় ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়া সৈয়দপুরে ২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। অন্যদিকে রংপুরের ডিমলা পয়েন্টে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রংপুরে ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের জনপদে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পাশাপশি সারা দেশেই চলছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। তবে রাজধানী ঢাকায় সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিসাব অনুযায়ী যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বলা হয়েছে, দিন দুয়েক চলার পর ১০ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা বাড়বে, অর্থাৎ শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে। তবে শীত থাকবে। কথা হচ্ছে, শীতকালে শীত তো থাকবেই। সেটাই স্বাভাবিক। তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ না থাকাই ভালো। বলা দরকার, শীতের দাপট দেশের উত্তর, উত্তরপূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে যতটা, ততটা দেশের দক্ষিণে নয়। চট্টগ্রাম অঞ্চল একেবারেই শৈত্যপ্রবাহ মুক্ত রয়েছে। এদিকে মাঘ মাস আসন্ন। গ্রামাঞ্চলে প্রবাদ আছে যে, মাঘের অর্ধেকেই ফাল্গুনের টান চলে আসে অর্থাৎ শীতের বিদায় ও ঋতুশ্রেষ্ঠ বসন্তের আগমনী বার্তা ঘোষিত হয়। যাবার আগে জোরেশোরে একটা থাবা বসাতেই পারে শীতের বাঘ শৈত্যপ্রবাহ।
শৈত্যপ্রবাহ কবলিত অঞ্চলের যারা অধিবাসী তারা কেমন আছেন এ সময়? যারা পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেলগুলোর খবরাখবর দেখেন তারা এই শৈত্যপ্রবাহে দেশের উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে সৃষ্ট দুরাবস্থার কিঞ্চিৎ দৃশ্যও দেখতে পেয়েছেন তারা আসল অবস্থা অনুমান করতে পারেন। কোথাও ন্যূনতম বা সামান্য শীতবস্ত্র পরিহিতরা রাস্তার পাশে কাঠের টুকরো-কাগজ-খড়কুটো জড়ো করে আগুন জ¦ালিয়ে শরীরে একটু উত্তাপ সঞ্চারের চেষ্টা করছে। তবে ছবি দেখা আর অভিজ্ঞতা এক নয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে দেখা যায়, শৈত্যপ্রবাহ প্রবণ অঞ্চলগুলোতে মানুষ দুঃসহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। মূলত, জানুয়ারি শুরুর আগেই শীত হানা দিয়েছিল এসব এলাকায়। আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের প্রবল জোয়ারে ভাসছে। আমাদের অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, দেশে কোনো দরিদ্র মানুষ নেই। দেশ যারা শাসন করেন তারা ২০২১ সালে মধ্যেই দেশকে মধ্যম আয়ের দেশের তকমা লাগাতে বদ্ধপরিকর। দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় ১৬শ’ ডলারেরও বেশি। ক’দিন পরপরই হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয় একনেক বৈঠকে। দুর্মুখেরা বলেন, একনেক বৈঠকে গত দশ বছরে যত উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে তাতে উন্নয়নের পাহাড় তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে উন্নয়নের চ‚ড়া ফ্লাইওভারের উচ্চতা পেরোতে পারেনি, যে ফ্লাইওভারের কোনো কোনোটির ব্যাপারে গুরুতর সব প্রশ্নের কালো মেঘ ছুটোছটি করে বেড়াচ্ছে। এদিকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে অমোঘ বৈশি^ক শ্লোগান- বাংলাদেশ এখন বিশে্ব উন্নয়নের রোল মডেল। তো, উন্নয়নের রোল মডেল দেশের এক শীর্ষ দৈনিকে যখন শীতার্ত মানুষের করুণ আকুতি ছাপা হয়- ‘হামরা ঠান্ডায় মরি যাওছি’ এবং ‘শীত বস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে মানুষ, ৩ জনের মৃত্যু’ (দৈনিক ইত্তেফাক, ৭ জানুয়ারি, ২০১৮), তখন হয় খবরের সত্যতা নয় দেশের উন্নয়নের রূপকারদের কথা ফুলঝুরি, এ দুয়ের যে কোনো একটির সারবত্তা নেই। অন্য একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার রামচন্দপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়স্কা বিধবা শীত বস্ত্রহীন রেনু বালার শীতকম্পিত কণ্ঠের আর্তি- ‘মোর ঘর দুয়ারও নাই, শীতে কাপুড়ও নাই।... এত জম্মের কাল (শীত) মুই আর সইতে পারি না।’ এসব খবর দেশের উচ্চ পর্যায়ের নজরে পড়ে কিনা বা তাদের বিবেকে কোনো প্রশ্নের উদ্রেক করে কিনা তা জানা নেই। তবে দেশের একেকটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখিয়ে দেয় এ দেশের মানুষের এক বিরাট অংশ প্রকৃতই রাষ্ট্রনেতাদের নেকনজর বঞ্চিত হয়ে বাস্তবে কোন অবস্থায় আছে। যারা ছিন্নমূল, হতদরিদ্র, দিনমজুর- যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা- দেশের উন্নয়নের জোয়ার তাদের স্পর্শ করে না কেন সে প্রশ্নের জবাব মেলে না।
অন্যবারের মতো এবারও নিশ্চয়ই শীতার্ত দুঃস্থজনদের জন্য সরকারি সাহায্য হিসেবে গরম কাপড় কম্বল সোয়েটার বিতরণ করা হবে। কর্তৃপক্ষ তৎপর না হলে সে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে করতে শৈত্যপ্রবাহ শেষ হয়ে যাবে। তখন যারা এগুলো পাবে শীত নেই বা কম বিধায় অল্প টাকায় তা হয়ত বিক্রি করে আরো জরুরি প্রয়োজন মিটাবে। গরীবের তো আবার শুধু নাই আর নাই। আবার তাৎক্ষণিকভাবে বা পরে ত্রাণ সামগ্রী যা দেয়া হবে তা বরাবরের মতই হবে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ দেশে কত উৎসব আয়োজনে, সরকার প্রধানের সাথে বিদেশ ভ্রমণকারীদের বাবদ, ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণ বাবদ কত হাজার কোটি টাকা চলে যায়- কিন্তু দুঃস্থজনের সবার ভাগ্যে প্রয়োজনীয় ত্রাণ কখনোই জোটে না- তা সবসময়ই প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল রয়ে যায়। এসব ত্রাণ সাহায্য কেউ পায় কেউ পায় না- এটাই হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত সত্য।
বিশ^ব্যাপী আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে। তার প্রভাবেই হয়ত বাংলাদেশে এখন চৈত্রমাসেও বর্ষাকাল দেখা দিচ্ছে। বিশে^র বেশ কিছু নিচু এলাকা সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্র তীরবর্তী নিচু এলাকাও থাকতে পারে। হিমালয় পর্বতের বরফ গলার ব্যাপারেও ছন্দপতনের আভাস পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে হিমালয়ের অনেকটা কাছাকাছি শৈত্যপ্রবাহ প্রবণ উত্তরাঞ্চলে কোনো একদিন শৈত্যপ্রবাহ হানা নাও দিতে পারে- এ রকম আশাব্যঞ্জক কথা শোনা যায়নি। তবে স্বাভাবিক শৈত্যপ্রবাহের ব্যত্যয় ও তাপমাত্রার অস্বাভাবিক নিম্নমুখিতা উদ্বেগকে বাড়িয়ে দেয় আগামী বছর যে তাপমাত্রা আরো কমবে না তার নিশ্চয়তা নেই।
এ অবস্থায় কার্যকর কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকারকে সে জন্য উদ্যোগী হতে হবে। এটা সরকারেরই কাজ। বলা হয়, বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার কারণে রংপুরের শতাব্দী পুরনো ‘মঙ্গা’র বিলুপ্তি ঘটেছে। একইভাবে সরকার শৈত্যপ্রবাহের কবল থেকে উত্তরাঞ্চলের অসহায় মানুষদের রক্ষা করার ব্যবস্থা নিতে পারে। দু’ভাবে এখানে কাজ করা যেতে পারে। এক, শীতের সময় কয়েক লাখ দীন-দরিদ্র মানুষের জন্য পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র সরবরাহ শতভাগ নিশ্চিত করে। দুই, নি¤œ আয়ের মানুষ, দিনমজুর, হত-দরিদ্রদের আর্থিক অবস্থা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে। যাতে তারা নিজেদের প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা নিজেরাই করতে পারে।
এক সময় মানবিক আদর্শের সাইনবোর্ড ঝুলত- মানুষ মানুষের জন্য। কিন্তু সময় পাল্টেছে। এখন মানুষ মানুষের জন্য নয়- নিজের জন্য। প্রায় সবাই। কিন্তু ব্যক্তি যা করে, সরকার তা করতে পারে না। মানুষ একা নিজের হতে পারে, সরকার পারে না। জনগণের জন্য কাজ করাই সরকারের কাজ। তাই উত্তরাঞ্চলের ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ থেকে অসহায় লোকদের রক্ষায় সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থাগুলাকে কাজে লাগাতে বা তাদের সহায়তাও নিতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শৈত্যপ্রবাহ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ