Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শৈত্যপ্রবাহ আসছে সপ্তাহেই শীতনামানো হালকা বৃষ্টিপাত

টাঙ্গাইলে ৯ মি.মি. বর্ষণ : মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার আভাস : মধ্য-জানুয়ারিতে তীব্র শীতের কাঁপন

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

পায়ে পায়ে শৈত্যপ্রবাহ আসছে এগিয়ে। দিন দিন কমছে তাপমাত্রার পারদ। আসছে সপ্তাহে অর্থাৎ বিদায়ী ইংরেজি বছর-২০২২ সালের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে হিমালয়, চীনের তিব্বত ও সাইবেরিয়া থেকে উত্তুরের কনকনে হিমেল হাওয়ায় ভর করে শীতের জোর ক্রমেই বৃদ্ধির আভাস রয়েছে। বাড়তে পারে মধ্য-পৌষে শীতের কাঁপন। আজ বুধবার সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। পঞ্জিকার পাতায় পৌষ-মাঘ মাস শীতকাল। মধ্য-পৌষে এসেও গতকাল পর্যন্ত দেশে তেমন শীতের দেখা মেলেনি। যেমনটি হওয়াটা ‘স্বাভাবিক আবহাওয়া’ হিসেবে বিবেচিত। জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় এমনটি হচ্ছে।
তবে আসছে সপ্তাহ থেকে বাড়তে পারে শীতের দাপট। সেই সাথে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে গতকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ ছিল না। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সর্ব-উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৮ ও সর্বোচ্চ ২৪.৭ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৯.৪ ডিগ্রি সে.।
গতকাল আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে আরও জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহের সময়ে তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা নামতে পারে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাছাড়া আগামী জানুয়ারি মাসে বিশেষত মাসের মধ্যভাগে দেশের উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে ২টি তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তখন তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রিতে।
এদিকে গত ৪৮ ঘণ্টায় বৃহত্তর ঢাকা ও মধ্যাঞ্চলসহ দেশের অনেক জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। মেঘ-বৃষ্টি কেটে গেলে বাড়বে শীতের প্রকোপ। পৌষের এ সময়ের বৃষ্টিকে চিরাচরিতভাবে ‘শীতনামানো বৃষ্টিপাত’ বলা হয়ে থাকে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় টাঙ্গাইলে ৯ মিলিমিটার। এ সময়ে ঢাকায় ৪, কুমিল্লা ও ফরিদপুরে ২, নিকলিতে ৫ মি.মি.সহ রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরেছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হামিদ মিয়া জানান, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আজ সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সে. হ্রাস এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ আরও জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শৈত্যপ্রবাহ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ