পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ করে আপিল বিভাগ বলেছেন, সংবিধানে বলা আছে, আপনি দেশের সব মানুষের অ্যাটর্নি জেনারেল,অ্যাটর্নি জেনারেল ফর বাংলাদেশ। আপনি শুধু সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল নয়। তাই যখন শুনানি করবেন তখন নাগরিক অধিকারের কথা মাথায় রাখবেন। আমরা আপনার কাছে এই প্রত্যাশা করি। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত মামলায় আপিল শুনানির শুনানির সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম দেশের বাইরে থাকায় সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির দিন পেছানো হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। শুনানির দিন নির্ধারণের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষে বেশ কিছু যুক্তি ও উদাহরণ আদালতকে অবহিত করেন।এক পর্যায়ে আদালত বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত কোনো কোর্ট না। এটা নির্বাহী বিভাগ দ্বারা পরিচালিত। এখানে সাজা দেয়া যায় না। তারা অভিযোগ নেয়ার পর অভিযুক্তকে সাজা দিয়ে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠান না কেন? এ সময় আদালত আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত কোর্ট নয় এই কারণে যে, কোর্টের একটি পরিবেশ থাকে। সেই পরিবেশ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় থাকে না। সেখানেসেই পরিস্থিতি থাকে না। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের সঙ্গে সম্মতি পোষণ করে বলেন, হ্যাঁ, কোর্টের মামলায় সাক্ষী আসবে, তাদের সাক্ষ্য নেয়া হবে ইত্যাদি। আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত বিশেষ আইনের অধীনে আছে। কিন্তু আজ আপনারা সরকারে আছেন, আমরা আছি। কাল তো নাও থাকতে পারি। তখন এর প্রভাব পড়বে। দেশের বাইরে কোথাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের দ্বারা সাজার বিধান নেই।
এ সময় আদালত বলেন, আমরা আগামী শুনানিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রেক্ষাপট-পরিস্থিতিগুলো দেখবো। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে বলে আদেশে বলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।