পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাখাওয়াত হোসেন : বহুল আলোচিত অধ্যাপক আফতাব আহমাদ হত্যা মামলা দীর্ঘ ১১বছল ধরে ফ্ইালবন্দী হয়ে পড়ে রয়েছে। এ মামলার তদন্ত এখন অনেকটাই হিমাগারে। দীর্ঘ সময়ের মধ্যে মামলার বাদী নূরজাহান আফতাব এরই মধ্যে মারা গেছেন। তার স্বজন, সহকর্মী বা বিভাগের (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) শিক্ষার্থীরা কেউ এ মামলা নিয়ে কেউ সোচ্চার নন। ইতিমধ্যে এ মামলার ১২ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলি হয়েছেন। কিন্তু কেউ এর কূল কিনারা করতে পারেননি। মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর সুব্রত দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীরুল ইসলাম জয় ভারতে পলাতক রয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হলে পুরো ঘটনা জানা যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার এবং ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। সেই একমাত্র আসামী। তাকে ছাড়া হত্যার ক্লু উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে ফুলার রোডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টারের চতুর্থ তলায় নিজ বাসায় অধ্যাপক আফতাবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেদিন কলিংবেলের শব্দে গৃহকর্মী দরজা খুলে দিলে জিন্স প্যান্ট ও মাথায় ক্যাপ পরা কয়েকজন দ্রæত ভেতরে ঢুকে তাকে তিনটি গুলি করে পালিয়ে যান। এ সময় তার ২জন সহযোগী ছিলেন সিঁড়ির নিচে। তিন দিন পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধ্যাপক আফতাব মারা যান। পরে তার স্ত্রী নুরজাহান আফতাব শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার বাদী নূরজাহান আফতাব এরই মধ্যে মারা গেছেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডির ইন্সপেক্টর সুব্রত। সিআইডি সূত্র বলছে, ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল হাসান ইমনের জবানবন্দির ভিত্তিতে সিআইডির কর্মকর্তাদের সন্দেহ, শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীরুল ইসলাম জয় হত্যার সাথে জড়িত। কিন্তু হত্যাকান্ডের সাথে আরো দু’জন জড়িত থাকার কথা প্রকাশ হলেও অজ্ঞাত ওই দু’জনকে গ্রেফতারের কোন উদ্যোগ নেই তদন্ত সংশ্লিষ্ট্র কর্মকর্তাদের। সিআইডির একজন কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেও রহস্য উদ্ঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি। অবশ্য ভারত থেকে ফেরত আনা শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ২০০৮ সালে এ হত্যার ঘটনায় নিজেকে না জড়িয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে ইমন বলেছেন, তিনি ভারতে অবস্থানকালে তানভীরুল ইসলাম জয়ের সহযোগী কাঁকন ও ল্যাংড়া তাজগীর তাকে বলেছিলেন, জয় ও তার লোক আবলান, রফিক, এতিম বেলাল, খোকন ও মাহবুব এই হত্যায় জড়িত। আবলান, রফিক ও এতিম বেলাল বাসায় গিয়ে আফতাবকে গুলি করেন। তদন্ত নিয়ে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইমনের জবানবন্দিতে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের মধ্যে তানভীরুল এখনো ভারতে পলাতক। খোকন ২০০৬ সালে রমনায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন, আবলান ২০০৮ সালের নভেম্বরে মোহাম্মদপুরে খুন হন। রফিক, এতিম বেলাল ও মাহাবুবের পুরো ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ২০০৮ সালের আগেই সোয়েব সাইফ এবং আরও দুই সন্দেহভাজন হুমায়ুন কবীর মুন্না ও সালেহ আহম্মদ সুজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তারা এ বিষয়ে তেমন কিছু বলেননি। তারা বর্তমানে জামিনে। মামলার নথিতে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে বিভিন্ন সময় বাদী নূরজাহান আফতাবের দেয়া বক্তব্যও রয়েছে। বাদি বলেছেন, তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে সন্দেহ করেন না। তবে ড. আফতাব বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক শোতে অংশ নিতেন এবং দেশের বিভিন্ন বিষয়ের প্রত্যক্ষ সমালোচনা করতেন। বাদী নূরজাহান আফতাব দুই বছর আগে মারা গেছেন। এরপর থেকে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ সিআইডির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেননি বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।