Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সউদী আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নরসিংদীর ২ জন নিহত

করিমপুর বাউশিয়া গ্রামে শোকের ছায়া

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে : গত শনিবার সউদী আরবের জিজান প্রদেশে ইয়েমেন সীমান্তের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ বাংলাদেশী নাগরিকের মধ্যে ২ জন নরসিংদীর বাসিন্দা। এদের মধ্যে একজনের নাম আমীর হোসেন ও আরেক জনের নাম হৃদয়। আমীর হোসেনের বাড়ী নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের বাউশিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম মরহুম আবু মিয়া। নিহত হৃদয়ের বাড়ী একই উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নে বলে জানা গেছে। তার গ্রাম ও পিতার নাম জানা যায়নি।
আমীর হোসেন জীবন জীবিকার সন্ধানে দীর্ঘ ১২ বছর পূর্বে সউদী আরবের পাড়ি জমিয়েছিলেন। বাড়ীতে তার পোষ্যদের মধ্যে তার মা, স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক ছেলে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমীর হোসেন আয়ের উপর নির্ভর করেই তার পরিবারের সংসার চলছিল। চলতি মাসের ৫ তারিখে তার দেশে ফিরার কথা ছিল। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় আসতে পারেনি।
আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের ৫ তারিখে দেশে ফেরার তারিখ দিয়েছিল আমীর হোসেন। এর মধ্যে শনিবার সকালে কোম্পানীর একটি পিকআপে চড়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে পিছন দিক থেকে একটি গাড়ি পিকআপটিকে ধাক্কা দিলে পিকআপটি রাস্তার উপর উল্টে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আমীর হোসেনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রাম বাউশিয়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শত শত মানুষ মৃত্যুর খবর জানার জন্য আমীর হোসেনের বাড়ীতে ভীড় জমায়। এ সময় তার মা ও স্ত্রী পুত্র কন্যা পরিজনদের বুক চাপড়ানো কান্নায় সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
পুত্র কন্যাদের কান্না দেখে উপস্থিত লোকজনেরও চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠে। আমীর হোসেনের বিধবা স্ত্রী সাহেনা আক্তার কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদেরকে জানায়, সংসার তথা স্ত্রী, পুত্র কন্যা পরিজনদের জন্য এক কপর্দকও রেখে যাননি আমীর হোসেন। বলেছিলেন, দেশে ফেরার সময় টাকা-পয়সা নিয়ে আসবেন, তা আর হলো না। দুবেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকাই তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাড়াবে। সাহেনা আক্তার তার স্বামী লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা, দাফন কাফনসহ তার ছেলে-মেয়েদের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। উল্লেখ্য যে, নিহত আমীর হোসেন আল ফাহাদ নামে সউদী আরবের একটি প্রতিষ্ঠানে ক্লিনার হিসেবে কাজ করতো।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী আরবে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ