Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইয়েমেনে বিবদমান পক্ষগুলো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত

১৮ এপ্রিল শান্তি আলোচনা শুরু হবে কুয়েতে : জাতিসংঘ দূত

প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইয়েমেনে বিবাদমান পক্ষগুলো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে অস্ত্রবিরতি। গত বুধবার জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইসমাইল ওউলদ শাইখ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। জাতিসংঘের এই দূত জানান, ১০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে বিবাদ পক্ষগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হবে। কুয়েতে এই শান্তি আলোচনায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরে ইরান সমর্থিত হুদি বিদ্রোহীর ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদীকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে। পরে হাদী সউদি আরব পালিয়ে যান। হাদীকে সমর্থন জানিয়ে হুদিদের উচ্ছেদে ওই বছরের মার্চ থেকে ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে সউদি নেতৃত্বাধীন আরব জোট। জোটের হামলায় গত প্রায় এক বছরে দেশটিতে ৬৩০০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এর আগেও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিবাদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের এই লড়াইয়ে সউদি আরব ও ইরানের কারণে বরাবর এই শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। গত বুধবার নিউইয়ের্কে শাইখ আহমেদ বলেন, এটা আমাদের জন্য সত্যিকারার্থে সর্বশেষ সুযোগ। আমাদের অবশ্যই ইয়েমেনের যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে হবে। এদিকে, গত মঙ্গলবার ইয়েমেনের পার্বত্যাঞ্চলে আল কায়েদার একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গোষ্ঠীটির বহু যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলেন, ইয়েমেনের ঘাঁটি ব্যবহার করে একিউএপি যেসব হামলা পরিচালনা করে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে, এ হামলা একিউএপি সেই সামর্থ্যকে খর্ব করে দেবে। এ হামলা আল কায়েদাকে পরাজিত করার আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এবং ওদেরকে নিরাপদে কার্যক্রম চালাতে না দেয়ার নজির। অপরদিকে, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইয়েমেন যুদ্ধের জন্য সউদি আরবকে অস্ত্র সরবরাহ না করতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের প্রতি আহবান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াকে আমলে না নিয়ে সউদি আরব যখন ইয়েমেনের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে একতরফা আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে তখন এ আহ্বান জানান অ্যামনেস্টি। বিবৃতিতে ওয়াশিংটন এবং লন্ডনকে রিয়াদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইয়েমেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য নির্বিচারে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে, ইঙ্গ-মার্কিন অস্ত্র ইয়েমেনে বেসামরিক মানুষ মারার প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। রয়টার্স, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইয়েমেনে বিবদমান পক্ষগুলো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ