পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইন্ডিয়া টুডে : দলিত নেতা ও গুজরাটের এমএলএ জিগ্নেশ মেবানি আস্থার সাথে বলেছেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ১শ’রও কম আসন পাবে। পুনেতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈরিতা বৃদ্ধির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করার পরও তিনি অনমনীয় রয়েছেন।
ইন্ডিয়া টুডে’র সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে গুরাটের আত্মপ্রত্যয়ী তরুণ তুর্ক বলেন যে যদি হার্দিক প্যাটেল, অল্পেশ ঠাকুর ও জিগ্নেশ মেবানি একজোট হয় তাহলে তবে সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি দুই-এর ঘরে আটকে যাবে। তিনি বলেন, সমগ্র প্রগতিশীলরা, গুজরাট মডেলের উন্নয়নের শিকাররা, প্রান্কিীকৃত তরুণ ও দরিদ্রদের বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে।
বিশেষ করে বিরোধীরা যখন ঐক্যবদ্ধ নয় তখন বিজেপিকে লোকসভা নির্বাচনে ১শ’র নীচে আসনে সীমিত রাখার রোডম্যাপ কী জিজ্ঞেস করা হলে মেবানি বলেন, নোট বাতিল এবং পণ্য ও পরিষেবা (জিএসটি) ইতোমধ্যেই যুবসমাজকে দূরে দিয়েছে। নোট বাতিল ও জিএসটি বেকার ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে যাতে তরুণ সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি অধিক বিনিয়োগ, পুঁজি ও কর্পোরেট জায়ান্টদের আকৃষ্ট করার অঙ্গীকার করে ম্যান্ডেট লাভ করেছিলেন। কিন্তু তিনি তার অঙ্গীকার রক্ষা করেননি।
মেবানি আরো অভিযোগ করেন, মোদি ভারতের প্রথম আইনবিধি রচয়িতা মনু লিখিত মনুস্মৃতিতে বিশ^াস করেন, সংবিধানে নয়। তিনি বলেন, ৯ জানুয়ারি তিনি মনুস্মৃতি ও সংবিধান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর অভিমুখে দিকে এক যুব সমাবেশে নেতৃত্ব দেবেন। আমি মোদির কাছে জানতে চাইব কোনটি তার পছন্দ। তার কর্মযোগী নরেন্দ্র মোদি বইতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন যে সুইপাররা তাদের কাজ উপভোগ করে। কারা নর্দমা পরিষ্কার উপভোগ করে? এটা মনুস্মৃতি চিন্তা। মেবানি বলেন, মোদির উচিত সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) ও বিজেপি ভারতের সংবিধানের জনক বিআর আম্বেদকরের সমালোচনা করে মেবানির বক্তৃতার একটি ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর দলিত নেতাকে এ অভিযোগে আক্রমণ করেছে যে তিনি আম্বেদকরকে বিশ^াস করেন না। এতে ক্রুদ্ধ হয়ে মেবানি বলেন যে আরএসএস ও বিজেপির আম্বেদকরকে নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার নেই।
রাজ্যে দলিতদের বিক্ষোভের আগুনে ইন্ধন যোগানোর হোতা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র সরকারের এফআইআর করা বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে মেবানি বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি সে দিন এমন একটা শব্দও বলিনি, যা উত্তেজনা ছড়াতে পারে। আমি একজন প্রশিক্ষিত আইনজীবী, আমি আইনকে সম্মান করি, এখন আমি একজন আইন প্রণেতাও। আমি মিডিয়াকে কোনো বিশিষ্ট আইনজীবী, উচ্চ আদালত বা সংবিধান বিশেষজ্ঞকে আমার বক্তৃতাগুলো দেখাতে বলেছি। এতে একটিও প্ররোচনামূলক কথা নেই। আমি শান্তির জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম, কিন্তু তারা এফআইআর দায়ের করেছেন। আমি ক্ষুব্ধ।
মেবানি ও জওয়াহরলাল বিশ^বিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র উমর খালিদ ৩১ ডিসেম্বর পুনেতে তাদের বক্তৃতায় স্প্রাদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তার পরদিন কোরেগাঁও যুদ্ধের দ্বিশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দলিত ও উগ্রপন্থী মারাঠাদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
তরুণ এমএলএ মেবানি গুজরাটে নির্বাচন ফলাফলে তার বক্তব্যে অটল থেকে বলেন, মোদির অবসর নেয়া উচিত। তিনি অপ্রাসঙ্গিক। তার অবসর নেয়া ও বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, মোদি গণতন্ত্র বিরোধী ও কারো কথা শোনেন না।
একুশ শতকের ভারতে বর্ণ ভিত্তিক রাজনীতি, বিশেষ করে দলিত স্বার্থ সমর্থন করছেন অবিযোগের প্রেক্ষিতে মেবানি বলেন, যখন দলিতরা নিপীড়িত, আমরা তাদের সমর্থন করি। আমরা যখন ২ কোটি চাকুরির দাবি জানাই , তা সবার জন্য, শুধু দলিত বা প্যাটেলদের জন্য নয়।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, সে সব আসলে তাঁকে জব্দ করার ‘শিশুসুলভ চেষ্টা। তিনি বলেন, আমার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা দেখে বিজেপি এবং আরএসএস ভয় পেয়েছে। ‘বিজেপি গুজরাতে ১৫০টা আসন পাবে বলে ভেবেছিল, কিন্তু পেয়েছে ৯৯টা। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে কী হবে, এখন বিজেপি তা ভেবেই ভয় পাচ্ছে, সেই কারণেই ওরা আমাকে আক্রমণ করছে।
তিনি মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘যদি দলিতদের উপর অত্যাচার চলতে থাকে এবং আমার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০১৯ সালে আপনাকে আমরা উচিত শিক্ষা দিয়ে দেব প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।