পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720320469](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কথায় সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না থাকায় অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছাড়া তারা রাজপথ ছাড়বেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা। একই দাবিতে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন তারা। গতকাল অনশন কর্মসূচির তৃতীয় দিনে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত হন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে সম্মত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এখন নীতিমালা অনুযায়ী এমপিওভুক্তি করা হবে। রাস্তায় বসে কষ্ট না করে শিক্ষকদের ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় শিক্ষকরা চারিদিক থেকে চিৎকার করে জানতে চান, এমপিওভুক্ত কবে করা হবে? আমাদের সুনির্দিষ্ট তারিখ জানান। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ জানাননি। এতে হইচই-হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। শিক্ষকরা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা, মানি না-মানব না’, ‘আন্দোলন চলবে’। এরমধ্যেই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এরপর নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায় সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের অনশন চলবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছাড়া আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী যখন শিক্ষকদের আন্দোলন স্থলে আসেন তখন অনেক শিক্ষক ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিতে থাবেন। শিক্ষামন্ত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এসএম ওয়াহিদুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে অনশন স্থলের মাঝামাঝি জায়গায় গিয়ে দাঁড়ান। এ সময় সচিব সোহরাব হোসেন বলেন, আপনাদের দাবিপূরণে আমরা কাজ করছি। একটু পর মন্ত্রী এ বিষয়ে আরও বলবেন। আমি আশা করি মন্ত্রী মহোদয় যা বলবেন আমরা সবাই তা মেনে নেব।
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য মনোপুত না হওয়ায় শিক্ষকরা প্রায় সবাই দাঁড়িয়ে যান এবং শ্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষকদের মুহুর্মুহু স্লোগানের মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীকে স্থান ত্যাগ করতে হয়। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। সারাদেশে ৭ হাজারের বেশি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।
বছরের পর বছর কোনো ধরণের বেতন-ভাতা ছাড়াই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী। জীবন ধারণে কাউকে কাউকে সবজি বিক্রি, দোকানদারি, অটোরিকশা চালাতে হচ্ছে। কেউ কেউ শ্রমিকের কাজও করছেন বলে অনশনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
এদিকে অনশনের তৃতীয় দিনে গতকাল আন্দোলনরত সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলারসহ ৩৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তারা বলেন, গতকাল বেলা ১২টার সময় গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ৭০২নং ওয়ার্ডের ৫০নং বেডে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া খুলনার সুপার বাহরুল ইসলাম, নওগাঁর চকরঘুনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ বাবুল হোসেন মন্ডল, বগুড়ার ধুপকাঠীর শিক্ষক সেকেন্দার আলী, মাগুরা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের ইকরামুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার সিরাজউদ্দৌলা কলেজের আশরাফুল আলম লাভলু প্রমুখ।
এদিন শিক্ষকদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য কাজী ফারুক আহমেদ, বি.টি.এ’র সভাপতি সৈয়দ মোফাজ্জেল, ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজের প্রফেসর আবু সাঈদ (কমিউনিটি মেডিসিন), বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম বড়–য়া, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড আজিজুর রহমান ও প্রফেসর আঃ সাত্তার, মেজর (অবঃ) মোঃ মামুনুর রশীদ, জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ মহসিন রেজা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর হাফেজ মোঃ হেমায়েত উদ্দীন, ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজের ডাঃ তুনাজ্জিনা শাহরিন, বিএসএমইউ’র ডাঃ মোঃ আঃ খালেক, বাংলাদেশ ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।