পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাকিস্তান-বিরোধী বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। ট্রাম্পের বক্তব্যের পর পাক সরকার ওয়াশিংটনের বিষয়ে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তানের আত্মত্যাগের কথা গুরুত্ব দিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। যদি যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সহায়তা বন্ধ করে দেয় কিংবা কোনো রকমের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে পুনর্বিবেচনা করতে পারে ইসলামাবাদ। সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন চাপের মুখে পাকিস্তান কোনো দাবি মেনে নেবে না এবং এবং আরো বেশি কিছু করবে না; এমনকি সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করে দিতে পারে। সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘আরো বেশি কিছু করার’ দাবির মুখে পাকিস্তানের জবাব হবে ‘কিছুই করা হবে না’। পাশাপাশি পাকিস্তানের ভবিষ্যত নীতি হতে যাচ্ছে- ‘সহযোগিতার বিনিময়ে সহযোগিতা’ এবং সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা। সূত্র জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে এই নীতি গ্রহণ করা হবে। অপর দিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা মুহাম্মাদ আসিফ বলেছেন, তার সরকার বিশ্ববাসীকে সত্য কথা জানানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, আমরা শিগগিরি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার বার্তার জবাব দেব ইনশাল্লাহ। আমরা বিশ্বকে সত্য কথা জানার সুযোগ করে দেব। বিশ্ব বাস্তবতা ও কল্পিত কথার পার্থক্য জানতে পারবে। এদিকে, ট্রাম্পের বক্তব্যের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহীদ খাকান আব্বাসি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। এছাড়া, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামীকাল জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তান স¤প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জতীয় নিরাপত্তার আলোকে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পাশাপাশি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিসের ইসলামাবাদ সফরের সময় পাক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের কোনো নির্দেশনা মেনে নেবে না পাকিস্তান। ট্রাম্প প্রশাসন যেসব চাপ সৃষ্টি করেছে তার একটিও মানবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলাবামাদ। সূত্র মতে, পাকিস্তান এ সিদ্ধান্তও নিয়েছে যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প উৎসের সন্ধান করবে। পাশাপাশি চীন ও রাশিয়াসহ অন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যসহ অন্যান্য সম্পর্ক বাড়ানোর কৌশল নেবে। সূত্র বলছে, বায়তুল মুকাদ্দাস ইস্যুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ভোট দেয়ায় ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে ডোনাল্ড প্রশাসন। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।