পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাখাওয়াত হোসেন : বিদায়ী বছরের বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ড মানুষের মনে নাড়া দিয়ে ছিল। এসব চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনার মধ্যে অনেকগুলোর তদন্তে অগ্রগতি থাকলেও আবার অনেক ঘটনার তদন্ত এখনও অন্ধকারে। রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে হাত-পা ও মাথা বিহীন লাশ উদ্ধারের পর পুরান ঢাকা থেকে হাত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এখনও নিহতের পরিচয় বা মাথা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সব অপরাধের ঘটনা শনাক্ত বা জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার বা উদঘাটন করা সম্ভব হয় না। অনেক ঘটনাই দীর্ঘ সময় নিয়ে তদন্ত করতে হয়। তদন্তের সময় লাগলেও জড়িত অপরাধীরা ছাড় পেয়েছে সম্প্রতি বছরগুলোতে এমন কোন ঘটনা নেই বলে পুলিশ কর্মকর্তারা মন্তব্য করেন। সূত্র জানায়, বছরের শুরুতেই একদল কিশোরের গ্যাংওয়ারে প্রাণ হারায় উত্তরা ট্রাস্ট কলেজের ছাত্র আদনান কবির। একই রকম ঘটনায় বছরটিতে আরো কয়েকজন কিশোর নিহত হয়। এছাড়া সম্পদ ও স্বার্থের দ্বন্ধে কাকরাইলে মা- ছেলে এবং স্ত্রীর পরকীয়ায় বাড্ডায় বাবা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় চমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। এছাড়া বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল ব্যাংক কর্মকর্তা আরিফুন্নেসা আরিফা, এএসপি মিজানুর রহমান, হোটেল আল আরাফাতের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন, উদীচী নেত্রী লিজা, মাদ্রাসা ছাত্র জিদান, ব্যবসায়ী সিদ্দিক ও মনজিল হত্যাকান্ড।
ভয়ানক গ্যাং কালচারের বলি আদনান
গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় একদল কিশোর উত্তরার ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আদনান কবিরকে উত্তরার ১৩নং সেক্টরের ১৭ নম্বর রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। এসব কিশোর এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, আদনানকে হত্যার জন্য বের হওয়ার আগে তারা ফেসবুকে গ্রুপ ছবি পোস্ট করে জানান দেয়। ওই ঘটনায় আদনানের বাবা কবির হোসেন বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় ওইদিনই ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলোচিত ওই হত্যাকান্ডের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য সাদাফ জাকির, নাসির মো. আলম, রাজিন মোহাম্মদ হৃদয়, শাকিল সরকার, ফখরুল ইসলাম শ্রাবণ, নুর আলম এবং করিমকে গ্রেফতার করে। একই ঘটনায় র্যাবের হাতে ধরা পড়ে মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি ও ডিসকো বয়েজ গ্যাং গ্রুপের দলনেতা শাহরিয়ার বিন সাত্তার ওরফে সেতু ওরফে রায়হান আহমেদ সেতু ওরফে ডিসকো সেতুসহ বেশ কয়েকজন। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি(তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আসামীদের মধ্যে একজন এখনও পলাতক রয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে চার্জশীট দিতে পারবো বলে তিনি জানান।
৩ মিনিটে ব্যাংকার স্ত্রীকে খুন
বিদায়ী বছরের গত ১৬ মার্চ সকালে ধানমন্ডির সেন্ট্রাল রোডের ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ট্রিটের ১৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের সাহানা ভবনের নিচতলার দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাটের দরজার সামনে ইডেন কলেজের সাবেক ছাত্রী ও বেসরকারি যমুনা ব্যাংক কর্মকর্তা আরিফুন নেছা আরিফাকে কুপিয়ে হত্যা করে তার সাবেক স্বামী ফখরুল ইসলাম রবিন। ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই আবদুল্লাহ আল আমিন বুলবুল। পুলিশের পাশাপাশি মামলার ছায়া তদন্ত করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাব। হত্যাকান্ডের আগে-পরের দৃশ্য ধারণ করা ক্লে¬াজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আরিফাকে খুন করতে মাত্র তিন মিনিট সময় নিয়েছিলেন রবিন। হত্যাকান্ডের আট দিন পর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে রবিনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আরিফাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন রবিন, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। জবানবন্দিতে রবিন বলেন, আরিফার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে আরিফা তাকে বাধা দেন। এরপর জোর করে প্রবেশ করতে চাইলে আরিফা ঘরের ভেতর থেকে একটি চাকু নিয়ে এসে রবিনকে ভয় দেখান। এ সময় আরিফার হাত থেকে তা ছিনিয়ে নিয়ে রবিন তাকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে আরিফা লুটিয়ে পড়ে চিৎকার শুরু করলে রবিন দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতালে নিলে আরিফার মৃত্যু হয়।
নির্মম হত্যার শিকার এএসপি মিজান
হাইওয়ে পুলিশের সহকারী কমিশনার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদারকে খুনের ঘটনাটিও বিদায়ী বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল। ২১ জুন রাজধানীর মিরপুর বেড়িবাঁধের বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে প্রায় ৫০০ গজ উত্তরে ঢাকা বোর্ড ক্লাবের সামনে থেকে এই পুলিশ কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়।ওইদিন রাতেই নিহতের ভাই মো. মাসুম তালুকদার বাদী হয়ে রূপনগর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে ন্যস্ত করা হয়। ওই ঘটনায় গাজীপুরের টঙ্গী থেকে মো. শাহ আলম ওরফে আলম ওরফে বুড্ডা (৬২) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন এএসপি মিজান তার কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশে রওনা হন। পথে তাকে সাধারণ মানুষ ভেবে ছিনতাইয়ের জন্য একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। যখন তারা জানতে পারেন, মিজান পুলিশের লোক তখন সাক্ষী-প্রমাণ না রাখতে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ছিনতাইকারীদের একজন মিন্টু এএসপি মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। পরে তারা প্রাইভেট কারে রাখা ঝুট কাপড় গলায় পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যান। মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্পদের দ্বন্ধে মা-ছেলেকে গলাকেটে হত্যা
বিদায়ী বছরের অন্যতম আলোচিত হত্যাকান্ডগুলোর মধ্যে একটি ছিল কাকরাইলে নিজবাসায় মা শামসুন্নাহার করিম ও ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওনকে গলাকেটে হত্যা। ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাসায় এ হত্যাকান্ড ঘটে। ওই ঘটনায় শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় আবদুল করিম (৫৬), তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা (২৫) এবং মুক্তার ভাই আল আমিন জনিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে। ওই মামলায় করিম ও মুক্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে মূল হত্যাকারী সন্দেহে জনিকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩। তদন্তের সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একাধিক বিয়ের কারণে নিহত শামসুন্নাহারের সাথে তার স্বামী আবদুল করিমের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। শামসুন্নাহারকে মারধরও করতেন তিনি। কাকরাইলে করিমের দুটি বাড়ির একটি ছিল শামসুন্নাহারের নামে। কিন্তু, ওই বাড়িটি ছোট স্ত্রী মুক্তা নিজের নামে রেজিস্ট্রি করতে দীর্ঘদিন ধরেই করিমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। করিমের অধিকাংশ সম্পত্তির মালিক প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার হওয়ায় এ নিয়ে অভিনেত্রী মুক্তার মধ্যে অসন্তোষ ছিল। তাই বোনের স্বার্থ বিবেচনায় শামসুন্নাহারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মুক্তার ভাই জনি।
বাড্ডায় পরকীয়ার বলি বাবা-মেয়ে
কাকরাইলে মা-ছেলে খুন হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ৩ নভেম্বর রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় খুন হন বাবা ও মেয়ে। নিহতরা হলেন- জামিল শেখ ও তার নয় বছরের মেয়ে নুসরাত আক্তার জিদনী। ওই ঘটনায় নিহত জামিলের স্ত্রী আরজিনা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক শাহীন মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। জবানবন্দি থেকে জানা যায়, আরজিনা-জামিল দম্পতি তাদের ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাড্ডায় একটি বাড়িতে থাকতেন। সেই বাড়িতেই শাহীনও তার স্ত্রীকে নিয়ে সাব-লেট থাকতেন। সেখানে আরজিনার সঙ্গে পরকীয়া গড়ে উঠে শাহীনের। কিছুদিন পর জামিল ওই বাসা ছেড়ে নতুন বাসা ভাড়া নেন। তখন আরজিনা তাকে পরামর্শ দেয় খরচ কমাতে শাহীনের পরিবারকে সাব-লেট দেয়ার। স্ত্রীর কথায় শাহীনকে সাব-লেট দেন জামিল। সেখানেই নিজেদের প্রেমের কারণে জামিলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আরজিনা ও শাহীন। ঘটনার দিন কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে ঘুমন্ত জামিলকে হত্যা করে তারা। পরে মেয়ে নুসরাত জেগে গেলে তাকে মুখে বালিশ চেপে ধরে হত্যা করা হয়। বাড্ডা থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মামলা তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে দ্রæত আদালতে চার্জশীট দেয়া হবে।
বনানীতে ব্যবসায়ী সিদ্দিক হত্যা
এমএস মুন্সি ওভারসিজ নামে রিক্রুটিং এজেন্সির কর্ণধার সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে গত ১৪ নভেম্বর রাতে বনানীতে তার নিজ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন সিদ্দিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলাটি ২৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। গুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ ডিসেম্বর রাতে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সিদ্দিক হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী হেলালকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল জানান, তিনি মূলত ভাড়াটে খুনি। সিদ্দিক কিলিং মিশনের অপারেশনাল কমান্ডার ছিলেন হেলাল। ওই হত্যাকান্ডে ৬ জন জড়িত ছিল, যার মধ্যে হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছিল পিচ্চি আল-আলামিন, সাদ্দামসহ চারজন। হেলালের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্দিক হত্যা মামলার অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতার করতে ৮ ডিসেম্বর বাড্ডার আফতাবনগর এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে খুনি পিচ্চি আল-আলামিন ও সাদ্দাম নিহত হন।
স্বামীর সন্দেহের বলি উদীচী নেত্রী
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংগীত বিভাগের সদস্য ও ঢাকা মহানগর সংসদের সাবেক সম্পাদক লুদমিনা আহমেদ লিজাকে ৩ ডিসেম্বর হত্যা করা হয়। ওইদিনই লিজার বাবা ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জড়িত সন্দেহে লিজার স্বামী এসএম সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন স্ত্রী লিজাকে সন্দেহ করতেন বলেই রাগের মাথায় তাকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সাজ্জাদ।
ব্যাগ ভর্তি লাশ
গত ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে কল্যাণপুর এলাকায় মাথা, হাত-পাবিহীন এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। দারুস সালাম থানার ওসি মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, কল্যাণপুর থেকে গাবতলী মুখী সড়কের পাশে সোহরাব পেট্রোল পাম্পের কাছে ব্যাপটিস্ট চার্চের সামনে মূল সড়কের পাশে একটি কালো স্যুটকেসে পড়ে ছিল। ল্যাগেজটি দীর্ঘক্ষণ মালিকবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকায় স্থানীয় টোকাই স্যুটকেসটি খুলে একটি পুরুষ মানুষের শুধু দেহটুকু দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সকাল ৯টার দিকে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং স্যুটকেসটি খোলা অবস্থায় পায়। স্যুটকেসের ভেতর মানুষের দেহটি ছাড়া আর কিছু ছিল না জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৩০ বছর হতে পারে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে লাগেজ ও প্লাস্টিকের বস্তা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দ্বি-খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যা আগের দিন কল্যাণপুরে উদ্ধার হাত-পা ও মাথাবিহীন লাশের অংশ বলে ধারণা পুলিশের। পুলিশ এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার বা নিহতের কোন পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি।
ছিনতাইকারীর হেচকা টানে ৫ মাসের শিশুর মৃত্যু
গত ১৭ ডিসেম্বর ভোরের রাজধানীর দয়াগঞ্জ এলাকায় ছিনতাইকারীরা রিকশারোহী মা’য়ের ব্যাগ হেঁচকা টান দিলে মায়ের হাতে থাকা ৫ মাসের শিশু সন্তান আরাফাত পড়ে গিয়ে মারা যায়। বছর জুড়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা অন্য তম এটি। এ ছাড়া গত ৮ অক্টোবর টিকাটুলীতে এক নারীকে ছিনতাইকারীদের কবল থেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আবু তালহা খন্দকার। দু’টি হত্যকান্ডের ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। শিশু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’টি ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।