পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া : ব্যভিচারের দায়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ারকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত ও তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ঐ ব্রিগেডিয়ারের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
খবরে বলা হয়, একজন কর্নেলের স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর একটি জেনারেল কোর্ট মার্শাল (জিসিএম) উক্ত ব্রিগেডিয়ারকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত এবং তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে। এর আগের বিচারে তাকে হালকা শাস্তি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নয়া দিল্লীর সেনা সদর দফতরের হস্তক্ষেপে আগের শাস্তি সংশোধন করে এ নতুন শাস্তি দেয়া হয়।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য ঐ ব্রিগেডিয়ার (নাম প্রকাশ করা হয়নি) দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জিসিএম অক্টোবরে তার ১০ বছরের সিনিয়রিটি কর্তন এবং তীব্র ভর্ৎসনার আদেশ প্রদান করেছিল বলে সে সময় টিওআই খবর দিয়েছিল। তিনি তখন পশ্চিমবঙ্গের সুকনায় চীনের মোকাবেলায় নিয়োজিত ৩৩ কোরের অধীেেন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাউন্টেন ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেেেডর কমান্ডিং অফিসার ছিলেন।
তবে সূত্রসমূহ জানান, সেনা সদর দফতর এ ঘটনায় কঠোর মনোভাব গ্রহণ করে এবং কলকাতা ভিত্তিক পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের অধীনে বিন্নাগুড়িতে অনুষ্ঠিত জিসিএমকে শাস্তির মাত্রা পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেয়। একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বাধীন জিসিএম এ সপ্তাহে ব্রিগেডিয়ারকে নতুন কঠোর শাস্তি প্রদান করে। চাকুরি থেকে বরখাস্ত হওয়া কোনো অফিসার তার পদ, পদক ও অবসর গ্রহণের সকল সুবিধা হারান।
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যৌন সম্পর্কÑ যাকে ভদ্র ভাষায় ‘এক অফিসার ভাইয়ের স্ত্রীর ভালোবাসা চুরি’ বলা হয়, তাকে সশস্ত্র বাহিনীতে মারাত্মক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। কারণ, তা সামরিক বাহিনীতে লালিত ভ্রাতৃত্ব ও আনুগত্যের বিশেষ ভিত্তিকে আঘাত করে যেখানে স্বামীদেরকে প্রায়ই তাদের স্ত্রীদেরকে সেনানিবাসের পৃথক পারিবারিক আবাসে রেখে সীমান্তে বা মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত থাকতে হয়। এ ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত অফিসারদের সাধারণত তাৎক্ষণিক ভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের পেনশন ও অনান্য সুবিধা বাতিল করা হয়।
ব্রিগেডিয়ারের স্ত্রী নয়া দিল্লীর একটি নাম করা স্কুলের প্রিন্সিপাল। তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে তার সিনিয়রদের কাছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ করলের সেনাবাহিনী একটি কোর্ট অব ইনকোয়ারি (সিওআই) গঠন করে। এর পরিণতিতে একজন মেজর জেনারেল ও ৬ ব্রিগেডিয়ারের সমন্বয়ে গঠিত কোর্ট মার্শালে ঐ ব্রিগেডিয়ার ব্যভিচার, সরকারী নথিতে মিথ্যা তথ্য দেয়া, ভালো আদেশ ও সামরিক শৃঙ্খলা লংঘনসহ ১৩টি অভিযোগের সম্মুখীন হন। পরে তার স্ত্রী ব্রিগেডিয়ার স্বামী ও কর্নেলের স্ত্রীর মধ্যে বিনিময়কৃত হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা আদালতে দাখিল করেন।
সম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে এ ধরনের এক গুচ্ছ কেলেংকারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) এক জঙ্গি পাইলট যোধপুরে এক সিনিয়র অফিসারের স্ত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সিওআই তাকে দোষী সাব্যস্ত করলে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। নৌ বাহিনী মুম্বাইয়ে কমান্ডার র্যাংকের দু’জন অফিসারকে চাকরিচ্যুত করেছে। তাদের একজন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অন্যজন কয়েকজন মহিলার কাছে অশ্লীল বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।