নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, ব্যাঙ্গালুরু (ভারত) থেকে : ক্যাচ হাত থেকে পড়বে, আবার বিশ্বমানের ক্যাচও নিবেÑএটাই বাংলাদেশের ফিল্ডিং বৈশিস্ট্য হয়ে গেছে। সে কারনেই ক্যাচ হাত থেকে ফসকে যাওয়ার পরও আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে না বাংলাদেশ ফিল্ডারদের। কাঁটায় কাঁটায় এক সপ্তাহ আগে ইডেন গার্ডেনসে ডিপ মিড উইকেটে নেয়া মোহাম্মদ হাফিজের অবধারিত ছক্কার শটকে কি দক্ষতায়ই না ক্যাচে পরিনত করেছিলেন সৌম্য ! ওই ক্যাচটি নিয়ে এখনো চলছে গবেষনা। জন্টি রোডসের ক্লোন হয়ে বাংলাদেশ দলে বিস্ময় ফিল্ডারের নাম এখন সৌম্যÑগতকালও বিস্ময় ক্যাচে বিস্মিত করেছেন। আল আমিনের বলে পান্ডের পুল শটটি বাউন্ডারি বলে ধরে নিয়েছিলেন যারা, দেখেছেন তারা ডিপ স্কোয়ার লেগে অবিশ্বাস্য ডাইভে নেয়া সৌম্য’র ক্যাচটি ! বলটি ধরে সৌম্য নিজে উদযাপন করেননি আনন্দ, মাঠের সব প্রান্ত থেকে সবাই দৌঁড়ে সৌম্যকে করেছেন অভিনন্দিত! সৌম্য’র এই ক্য্যাচটি বিস্ময় একটু বেশিই ছড়িয়েছে। তবে আগের বলটিতে রায়নাকে যেভাবে মিড উইকেটে রানিং ক্যাচে পরিনত করেছেন রুম্মানÑসেই ক্যাচটিও যে দূর্দান্ত।
অথচ, গতকালও কিন্তু এই দূর্দান্ত ক্যাচের বিপরীতে সহজ ক্যাচ পড়েছে ২টি। রোহিতের রিটার্ন ক্যাচ নিতে পারেননি সাকিব নিজের প্রথম ওভারে, কোহলীর দেয়া ক্যাচটিও ফলো থ্রুতে নিতে পারেননি আল আমিন। ১০ রানে বেঁচে যাওয়া রোহিত ইনিংস টেনে নিয়েছেন ১৮ তে, ১১ রানে লাইফ পেয়ে থেমেছেন কোহলী ২৪ এ। আক্ষেপটা এখানেই। তারপরও যে মাঠে বৃস্টির রান হয় সেই বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গতকাল ভারতকে বেধে ফেলেছে বাংলাদেশ ১৪৬/৭ এ ! ইনিংসের মাঝপথে একবার ৩০ বল, এবং আর একবার ১৯ বল চার ছয়হীন কেটেছে ভারতের।
ভারতকে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিতে ফিল্ড রেস্টিকশনের প্রথম ৬ ওভারকে বিশেষভাবে টার্গেট করার কথা ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন সকিব, রাখতে পেরেছেন সে কথা। প্রথম ৬ ওভারে ৪২’র বেশি নিতে দেয়নি ভারতকে। ইনিংসের ১০ম ওভার পর্যন্ত রানটা ভালই আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। ওভারপ্রতি ৫.৯০ এ সন্তুস্ট থাকতে হয়েছে ভারতকে। মুখস্ত বোলিং অর্ডার থেকে বেরিয়ে এদিন ভারতকে হতভম্ব করতে অনেক বেশি কৌশলী ছিলেন মাশরাফি। টানা ৭ ম্যাচ টসে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এদিন টসে জিতেই সাহসী সিদ্ধান্ত, চেজিং। বোলিং চেঞ্জের কারিশমাটা ভালই ছিল তার। শুভাগতহোমকে দিয়ে দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ের দায়িত্ব দিয়ে ম্যাচের ছন্দটা এনেছেন ফিরিয়ে। এই শুভাগতহোমের প্রথম ২টি স্পেল ( ১-০-৪-০ ও ১-০-৩-০) ছিল এক কথায় অসাধারন। তাসকিনের বদলি হিসেবে ঢাকা থেকে উড়িয়ে আনা এই স্পিনার দ্বিতীয় স্পেলে রায়না,কোহলীর হাতে ছক্কা খেলেও ভারত ব্যাটিং সেনসেশন কোহলীকে ( ২৪) বোল্ড আউটে দিয়েছেন ফিরিয়ে ! শ্লগে মাহামুদুল্লাহকে বোলিংয়ে ডেকে আনা ঝুঁকিপূর্ন মনে হলেও ১৭ নম্বর ওভারে অফ স্পিনার মাহামুদুল্লাহ যুবরাজকে শিকারের বিপরীতে খরচা করেছেন মাত্র ৪ রান।
মুস্তাফিজুরের দ্বিতীয় ওভারের বল এলোমেলো ভাবে খেলে রোহিত,ধাওয়ান ছক্কা মেরে মনোবল ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা। প্রথম স্পেলে মার খেয়ে ( ২-০-২০-১) দ্বিতীয় স্পেলে দারুনভাবে ফিরেছেন এই বিস্ময় বোলার। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সিনিয়র পেস বোলার মুস্তাফিজুরকে সৃস্টিকর্তা প্রদত্ত বোলার বলে উল্লেখ করেছিলেন। তার সে মন্তব্যের যথার্থতা জানিয়েছেন মুস্তাফিজুর। প্রথম স্পেলে রোহিত শর্মা মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন ( ১৮)। জানেন, এই নিয়ে মুস্তাফিজুরের চতুর্থ শিকার তিনি ! দ্বিতীয় স্পেলে (২-০-১৪-১) রবীন্দ্র জাদেজা ফুল এন্ড স্টেইট ডেলিভারীতে স্ট্যাম্প উপড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখেছেন।
ডেথ ওভারের বোলার হিসেবে সুখ্যাতিটা ফিরে পেয়েছেন আল আমিন এই দিন। তৃতীয় স্পেলটি তার এক কথায় অসাধারন ( ১-০-২-২)। রায়না (৩০)ও পান্ডে ( ১৫) তার শিকার। শেষ ওভরটা অবশ্য সুনাম রাখতে পারেননি ( ১৪ রান)। শেষ ৩০ বলে ৩৪, এটা মেনে নেয়া যায়Ñতারপরও বলতে হচ্ছে, এখানেই ভারতকে একটু বেশিই উপহার দেয়া হয়েছে। প্রথম জুটির ৪২’র পর দ্বিতীয় জুটির ৪৩Ñবলার মতো অন্য কোন পার্টনারশিপই যে নেই ভারতের। ৯৫/২ থেকে ১৩৭/৭Ñ৪২ রানে ভারতের ৬ ব্যাটসম্যান ফিরিয়ে দেয়াও কি কম কিছু?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।