Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যেন শচীনের জাদুঘর!

বিশ্বকাপের ডায়েরী

প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শামীম চৌধুরী, ব্যাঙ্গালুরু (ভারত) থেকে:  চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মিডিয়া বক্সে ঢুকতে লাল সিরামিকের ইটে খোদাই করা রাহুল দ্রাবিড়ের প্রোফাইল। ৩৬টি টেস্ট এবং ১২টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির টাইম লাইন সাজানো সেখানে। বেঙ্গালুরুর ছেলে অনিল কুম্বলে ৪০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন নিজের হোম গ্রাউন্ডে। অথচ, ভারতের এই লিজেন্ডারী স্পিনারকে সেভাবে উপস্থাপন করেনি  কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। কর্নাটকের ছেলে না হয়েও সবচেয়ে বেশি কদর এখানে ব্যাটিং জিনিয়াস শচীন টেন্ডুলকারের। ক্লাব হাউজের পাশ দিয়ে হেঁটে সিড়ি বেয়ে উঠতে হয় প্রেস বক্সে। সেই ক্লাব হাউজের নীচতলায় কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোাসিয়েশন একটি জাদুঘর স্থাপন করেছে। ওই জাদুঘরকে বরং শচীন মিউজিয়াম বলাই ভাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীনের সকল কৃতির সাক্ষ্য বহন করছে এই জাদুঘরটি। শচীনকে নিয়ে স্মারক স্ট্যাম্প, শচীনের অটোগ্রাফ, প্রতিটি সেঞ্চুরির মূহুর্তগুলো, নামকরা ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে শচীনের সাক্ষাতের ছবিÑকি নেই এতে? ৫০টি বোর্ডে সাজানো আছে শচীনের স্মরনীয় মূহুর্তগুলো। কৈলাসচাঁদ নাহার নামের এক শচীন ভক্তের সংগ্রহশালার কারনেই জাদুঘরটির চেহারা এরকম।  এ  চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ১৬ টেস্টে ৮৬৯ রান করেছেন শচীন, চিন্নাস্বামীতে এর চেয়ে বেশি সংগ্রহ নেই কারো। শচীন সম্পর্কে লেখা আছে কি জানেন, ‘ডন অফ এ নিউ এরা’।  জাদুঘরকে শচীনের জাদুঘর বানিয়ে ফেলার কারণ হতে পারে এটাই।
এই জাদুঘরে ঢুকতেই পাথরে খোদাই করা এক ক্রিকেটারের ভাস্কর্য আছে। তবে ভাস্কর্যটি বিশেষ কোন ব্যক্তির নয় ! ১৯৭৪ সালে স্টেডিয়ামটির টেস্ট অভিষেকে নিজের অভিষেক হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গ্রেট ভিভ রিচার্ডসের। জাদুঘরটি মনে করিয়ে দিয়েছে তার শততম টেস্টে পাকিস্তান গ্রেট ইনজামাম উল হকের সেঞ্চুরির কৃতিও লেখা আছে এখানে। জাদুঘরের একটি অংশ জুড়ে ঠাঁই পেয়েছে রাঘাভেন্দ্রা রাও এর সংগ্রহ। যেখানে স্যার ডন ব্রাডম্যান পেয়েছেন ঠাঁই। বিজয় হাজারে,ভিনু মানকড়রাও পেয়েছেন জায়গা। ১৯৮৭’র বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে দু’দলের অটোগ্রাফ ব্যাটটিও সযতেœ রাখা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিষেক টেস্টে হাতে লেখা অফিসিয়াল স্কোরকাডটি যেনো জাদুঘরটির অমূল্য ধন। আছে কুম্বলের ৪০০ টেস্ট উইকেটের স্বারক বল,সেই ম্যাচে দু’দলের অটোগ্রাফ সম্বলিত ব্যাটও।
চিন্নাস্বামীর ক্লাব হাউজের সদস্যের সম্মান অনেক। ক্লাব হাউজে যার যার নামে বরাদ্দ সিট। যেখানে বসেই যে কোন ম্যাচ দেখার সুযোগ পান তারা। টি-২০ বিশ্বকাপের মতো আসরেও তাদের পরিচয়পত্রই যথেষ্ট! এই পরিচয়পত্র দেখেই নির্বিঘেœ স্টেডিয়ামে ঢুকে ক্লাব হাউজের প্রবেশমুখে সংগ্রহ করেছেন তারা টিকিট! ১৯৭৮ সালে ক্লাব হাউজ প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই বিশেষ নিয়ম মেনে চলেছে কর্তৃপক্ষ। ভারতের রাস্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরা,প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট রনজি ট্রফিতে খেলা কর্নাটক রাজ্যের ক্রিকেটাররা, স্বনামধন্য চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং আইএএসও আইপিএসএফ অফিসারদের জন্য সংরক্ষিত ক্লাব হাউজটি। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যেন শচীনের জাদুঘর!

২৬ মার্চ, ২০১৬
২৪ মার্চ, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ